কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় জানুন

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এ সম্পর্কে অনেকেরই জানার অনেক ইচ্ছে থাকে। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে। এছাড়াও আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন ত্বক শুষ্ক হয় কোন ভিটামিন এর অভাবে 

কোন-ভিটামিন-খেলে-চেহারা-সুন্দর-হয়

ত্বক টান টান রাখতে কি খাবেন,কোন খাবার গুলো ত্বক ফর্সা করবে, কোন ভিটামিন এর অভাবে চুলকানি হয় সহ আরও অনেক বিষয় সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ তথ্য জানতে মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। আমরা সবাই জানি আমাদের শারীরিক সুস্থ্যতার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে নির্দিষ্ট কোন ভিটামিন খেয়ে চেহারা সুন্দর করা সম্ভব না। এজন্য বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন যুক্ত খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে। তবে চেহারা সুন্দর করা সম্ভব। চলুন তাহলে চেহারা সুন্দর করতে কোন কোন ভিটামিন খাবেন তা দেখে নিন।

ভিটামিন এঃ চেহারা সুন্দর করতে ভিটামিন এ খুবই কার্যকরী। এটি ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখে। ত্বকের শুষ্কতা, বলিরেখা দূর করে। ত্বকের কোষের গঠনকে পূর্ণ নির্মাণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বককে করে তুলে মসৃণ ও সুন্দর। ভিটামিন এ যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিমের কুসুম ,মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, গাজর, দুধ, কলিজা, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।

ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো চেহারা সুন্দর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেননা এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে ত্বককে কোষের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। বয়সের ছাপ দূর করে চেহারা কোমলতা ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে আমলকি, মালটা ,লেবু, টমেটো, পেঁপে, কাঁচা মরিচ, কমলা ইত্যাদি।

ভিটামিন ইঃ ত্বকের প্রাকৃতিক মশারাইজার হিসেবে দারুন কাজ করে। ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে প্রদাহ কমায়। স্বিন ড্যামেজ প্রতিরোধ করে, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বলিরেখা কমায় উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন এ যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাকসবজি, বাদামী চাল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল, বাদাম ইত্যাদি।

ভিটামিন ডিঃ চেহারা সুন্দর করতে ভিটামিন ডি দারুন কাজ করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও খসখসে ভাব কমাতে সহায়তা করে। ত্বকের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পদাহ কমায় বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ত্বককে করে তুলে কমল ও উজ্জ্বল। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিমের কুসুম, দুধ, সকালের সূর্যের আলো, টোনা মাছ, ইলিশ মাছ ইত্যাদি।

ভিটামিন কেঃ এটি ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতে সাহায্য করে। যেমন চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের রক্ত জমাট বাধা সমস্যা প্রতিরোধ করে। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের ক্ষত চিহ্ন দূর করতে দ্রুত সাহায্য করে। ভিটামিন কে যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে বাঁধাকপি, ব্রকলি, পালং শাক, টমেটো ইত্যাদি।

ভিটামিন বিঃ চেহারা সুন্দর রাখতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৩,  ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৭ এগুলো ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্রণ কমায়, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে মাছ, ডিম, মাংস, মুরগি, বাদাম, আলু, ডাল, কলা ইত্যাদি।

কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়

কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয় এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে অনেক আগ্রহী হন। চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে জেনে নিন। আমাদের ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টির কোন বিকল্প নেই। কেননা ভিটামিন বা পুষ্টির ঘাটতি ফলে আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর বিভিন্ন প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন ত্বক শুষ্ক হয়ে, জালা ভাব, নিস্তেজ ভাব, বয়সের ছাপ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই ত্বকের যত্নে ভিটামিনের গুরুত্ব অনেক। চলুন তাহলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে কোন ভিটামিনের অভাবে তা দেখে নিন।

ভিটামিন ইঃ এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‍্যাডিকেল এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কোষের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ত্বককে সুস্থ রাখে, শুষ্কতা ও নিস্তেজ ভাব দূর করতে সাহায্য করে। কেননা ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বকের আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ত্বক বিবর্ণ হয়ে পড়ে এবং শুষ্ক ও খসখসে দেখায়।

ভিটামিন ডিঃ এটি ত্বকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক রাখে। ত্বকের কোষ বূদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে ভিটামিন ডি এর অভাবে সোয়াসিস ও একজিমা দেখা দেয়। যা ত্বকের শুষ্কতার জন্য দায়ী হয়।

ভিটামিন সিঃ এর অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় কেননা এতে রয়েছে ত্বক প্রতিরক্ষামূলক শক্তিশালী একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কোলাজেন উৎপাদন করে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বিঃ এই ভিটামিনের অভাবে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন ত্বকের শুষ্কতা, ব্রণ, ফুসকুড়ি, ঠোট ফাটা, ত্বক ফাটা, একজিমা,বলিরেখা ইত্যাদি এছাড়াও এতে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভিটামিন এঃ এই ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এটি ত্বকের কোষ গঠনের সাহায্য করে। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। একজিমার মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বক টান টান রাখে কোন খাবার

ত্বক টান টান রাখে কোন খাবার এর সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাদের জন্য আশা করি আজকের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। ত্বকের যত্নে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কসমেটিক ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও অনেকেই নিয়মিত পার্লারে ত্বকে যত্ন নিয়ে থাকেন। তারপরও ত্বকের স্থায়ী সৌন্দর্য ফিরে পায় না।

এজন্য অবশ্যই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি খাবারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের ভিতর থেকে সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে পুষ্টিকর ভিটামিন যুক্ত খাবার খুবই প্রয়োজন। চলুন তাহলে ত্বক টান টান রাখে এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার গুলো দেখে নিন।

বাদাম ও আখরোটঃ ত্বক টানটান রাখতে ও তারুণ্য ধরে রাখতে এ ধরনের খাবার খুবই উপকারী। কেননা এগুলো ত্বকের ফ্রি রেডিকেল ড্যামেজ থেকে আপনার ত্বকের রক্ষা করে। এছাড়াও এতে রয়েছে হেলদি ফ্যাট ও প্রোটিন যা তারুণ্য ধরে রাখতে দারুন কাজ করে। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের বাদাম বা আখরোট রাখতে পারেন। যেমন পেস্তা বাদাম, কাজুবাদাম, চিনা বাদাম ইত্যাদি।

  • কাঠবাদামঃ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে বা ত্বককে টান টান করতে কাঠবাদাম খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন ই যা ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। এছাড়া রয়েছে হেলদি ফ্যাট ও প্রোটিন যা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • টমেটোঃ ত্বককে টান টান রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত টমেটো খেতে পারেন। এটি বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং তারুণ্য ধরে রাখে, বয়সে ছাপ কমায় ত্বককে করে তুলে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
  • লেবুঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ও ভিটামিন সি যুক্ত লেবু খেতে পারেন। এটি ত্বকের যত্নে উপকারী। এছাড়াও ত্বককে টান টান রাখতে খুবই সাহায্য করে। সহজলভ্য এই ফলটি ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।
  • শাকসবজিঃ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে শাক-সবজি খেতে পারেন। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার যা বয়সের ছাপ কমায় ত্বক উজ্জ্বল ও টান টান করতে সাহায্য করে।
  • মাছঃ আমিষের অনেক বড় উৎস হল মাছ। বিভিন্ন সামুদ্রিক বা মিঠা পানির মাছের রয়েছে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন, মিনারেল যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বক টান টান রাখে।
  • ভিটামিন সি যুক্ত ফলঃ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেতে পারেন যেমন আমলকি, মালটা, কমলা ইত্যাদি এগুলো ত্বককে টান টান রাখতে সাহায্য করে।
  • গ্রিন টিঃ ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে গ্রিন টি খুবই উপকারী। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বৃদ্ধি করে। বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বককে টান টান রাখতে সহায়তা করে।
  • চিয়া সীডঃ এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফাটি অ্যাসিড, এন্টি অক্সিডেন্ট ও আরো অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান। এই শস্য ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দারুন কাজ করে। এছাড়া এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  • রসুনঃ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে রসুন কার্যকারী। ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কেননা এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, প্রপার্টিজ ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  • ডিম ও দুধঃ ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের ডিম খুবই উপকারী। আদর্শ আমিষ উৎস ডিম ও দুধ যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে। বয়সে ছাপ কমায়  ত্বককে টান টান রাখতে সাহায্য করে।

কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়

কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয় এটি অনেকেই জানতে চান। বিশেষ করে সৌন্দর্য প্রিয় ব্যাক্তিরা বর্তমানে চেহারা ফর্সা করার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। তাছাড়াও আরো অনেকেই অনেক রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে ভিতর থেকে চেহারা সুন্দর বা ফর্সা করতে নিয়মিত কিছু ফল খেতে পারেন। 

কোন-ভিটামিন-খেলে-চেহারা-সুন্দর-হয়

এগুলো আপনাকে ভেতর থেকে সুন্দর করতে সাহায্য করবে যেমন 

  • কমলা 
  • মালটা
  • আমলকি
  •  জাম্বুরা 

লেবু ইত্যাদি এগুলো তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি যা আপনার ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল করতে দারুন কাজ করে। এছাড়াও ত্বকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। স্কিনকে ন্যাচারালি উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। মেলানিনের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও অন্যান্য কসমেটিক প্রোডাক্ট এর মতো কোনো ক্ষতিকারক প্রভাব পরেনা। তাই আপনি চাইলে ত্বকের যত্নে বা উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত আরো কিছু ফল খেতে পারেন যেমন

  • কলাঃ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড যা মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে হাইড্রেটেড রাখে ও উজ্জ্বল করে।
  • পেঁপেঃ এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • ডালিমঃ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও আন্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ত্বককে উজ্জ্বল ও টান টান রাখতে সাহায্য করে।
  • শসাঃ এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। বলিরেখা ও বয়সে ছাপ কমাতে সহায়তা করে। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে চমৎকার কাজ করে।
  • পেয়ারাঃ এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও লাইকোপিন যা ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ত্বক নরম,কোমল ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বককে হাইড্রেটেড করে।
  • নারিকেলঃ এতে রয়েছে এন্টি মাইক্রোবিয়াল যা ত্বকের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। যেমন বয়সের ছাপ, বলিরেখা এগুলো দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।
  • আপেলঃ এই ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ও ফাইবার এছাড়াও আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ফ্রি রেডিকেলস দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বয়সের ছাপ দূর করে উজ্জলতা বৃদ্ধি করে।
  • আমঃ পুষ্টিকর স্বাধে ভরা আম যা আমাদের সবারই খুবই পছন্দের একটি ফল। তাছাড়া এই ফলে রয়েছে  ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, বিটা কেরোটিন ইত্যাদি। যা ড্যামেজ ত্বককে ঠিক করতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। ত্বককে উজ্জ্বল করে।

কোন খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয়

কোন খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয় এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনাদের সুবিধার্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, তাহলে জেনে নিন। আমরা অনেকেই স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল, মসৃণ ত্বক চাই। অনেক নামিদামি কসমেটিক বা নিয়মিত যত্ন নেওয়ার পরেও সঠিক ফলাফল পায় না। কেননা সুস্থ ত্বকের জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা ঘুম ও খাবারের গুরুত্ব অনেক। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে আপনাকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। যেমন

  • টমেটোঃ ত্বকের যত্নে টমেটোর কোন বিকল্প নেই। এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দারুন কাজ করে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম। যা আপনার ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে চমৎকার কাজ করবে। এছাড়াও টমেটোতে লাইসোপিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার ত্বকের বলিরেখা, শুষ্ক ভাব ও বিভিন্ন দাগ দূর করতে সহায়তা করবে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
  • গাজরঃ ত্বকের যত্নে গাজরের ভূমিকা অনেক। নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর, সজীব ও উজ্জ্বল। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন যা আপনার শরীরের গিয়ে ভিটামিন এ ঘাটতি পূরণ করে। তাছাড়াও সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে আমাদের ত্বকের রক্ষা করে। ত্বকের টিস্যু তৈরিতে সাহায্য করে।
  • কলাঃ ত্বকের যত্নে কলা অনেক উপকারী। এটি খেলে যেমন উপকার, ঠিক তেমনি এর ফেসপ্যাক আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য খুবই কার্যকারী। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য কলা খুবই উপকারী। এটি ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
  • বাদামঃ ত্বককে লাবণ্যময় করে তুলতে বাদাম খুবই সাহায্য করে। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই যা পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
  • গ্রিন টিঃ এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের  উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চমৎকার কাজ করে। তাছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি, অ্যামিনো অ্যাসিড,  এনজাইম সহ উপাদান যা দেহে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ, লালচে দাগ, কাটা দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বককে উজ্জ্বল করে।
  • পানিঃ আমাদের শরীরের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পানির কোন বিকল্প নাই। পানি আমাদের শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
  • ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খুবই উপকারী। যেমন বিভিন্ন চর্বিযুক্ত মাছ। যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দারুন কাজ করে।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এ ধরনের খাবার খুবই কার্যকারী। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে বাদাম, মটরশুটি, নাশপাতি ইত্যাদি। যা প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
  • সবুজ শাক-সবজিঃ অন্যান্য বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। কেননা শারীরিক সুস্থতা ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সবুজ শাকসবজি খুবই উপকারী। এছাড়াও ভালো ফলাফল পেতে চাইলে কাঁচা সবজি বা স্যালাদ খেতে পারেন।

কি খেলে চেহারা সুন্দর হয়

 কি খেলে চেহারা সুন্দর হয় জানতে চাচ্ছেন তো, চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করে আসছি কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। মূলত সুন্দর, স্বাস্থ্যকর চেহারা আমাদের সবারই কাম্য। আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বক সুন্দর, কমল, মসৃণ ও লাবণ্যময় দেখতে।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে চেহারার সৌন্দর্য দিন দিন নষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক, প্রোডাক্ট, পার্লার বা আরো বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে চেহারা কিছুদিনের জন্য ঠিক করা গেলেও। পরবর্তীতে আবার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন র‍্যাশ বিভিন্ন বরণ ব্রণ দেখা দেয়। এজন্য প্রাকৃতিকভাবে ভেতর থেকে স্বাস্থ্যকর চেহারা পেতে অনেকে খাবারের দিকে মনোযোগী হন।

অনেকেই ভাবতে থাকেন কোন খাবার খেলে বা কি খেলে চেহারা সুন্দর থাকবে। তাদের সুবিধার্থে বলছি চেহারা সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণ করুন। এছাড়াও পুষ্টিকর ভিটামিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। সবুজ শাকসবজি খান। তাছাড়াও খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা করুন।

কোন ভিটামিন ত্বক ফর্সা করে

কোন ভিটামিন ত্বক ফর্সা করে এটি অনেকেই জানতে চান। চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন। আমাদের ত্বকে কালার নির্ভর করে মূলত মেলানিন নামক রঞ্জন পদার্থের ওপর। যাদের দেহে মেলানের পরিমাণ বেশি তাদের গায়ের রং কালো হয় এবং যাদের দেহে মেলানিনের পরিমাণ কম তাদের গায়ের রং ফর্সা হয়।

তাছাড়াও বিভিন্ন কারণে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হতে থাকে। বিশেষ করে সূর্যের আলো, বাহিরের ধুলাবালি ও বাজে খাদ্য অভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, অতিরিক্ত বাহিরের প্রোডাক্ট ইত্যাদি। এগুলোর বিভিন্ন কারণে আমাদের ত্বক দিন দিন সৌন্দর্য হারায়। ত্বকে দেখা যায় বিভিন্ন বলিরেখা, দাগ। তবে সঠিক জীবন যাপন ব্যায়াম ও কিছু পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে 

আমরা এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। ত্বক কুঁচকে যাওয়া রোধ করে। ত্বকে শুষ্কতা, খসখসে ভাব দূর করে। বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ ও পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক করে তোলে উজ্জ্বল ও ফর্সা।

পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়

পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয় চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। পানি আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও কোন বিকল্প নেই। পানি আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটা আমাদের সবারই জানা। ত্বকের যত্নে পানি  খুবই প্রয়োজন। কেননা পানির স্বল্পতা দেখা দিলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে পরে, কোমলতা ও উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।

কোন-ভিটামিন-খেলে-চেহারা-সুন্দর-হয়

ত্বক খসখসে হয়ে পরে। এছাড়াও আরো অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও পানির কম খাবার ফলে আমাদের ত্বক ডিহাইড্রেটড হয়ে যায়। যার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা একদম নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য অবশ্যই ত্বকের সুস্থতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পানির কোন বিকল্প নাই। পানি আমাদের ত্বকের ভিতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে দারুন কাজ করে।

তাছাড়াও আমাদের দেহের আরো অন্যান্য সমস্যা দূর করতে দারুন কাজ করে। তাছাড়াও পানি আমাদের চুল পড়া রোধ করতেও সাহায্য করে। পানি বা পানি জাতীয় খাবার যেমন ফলের রস আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য একজন সুস্থ্য স্বাভাবিক ব্যক্তির প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ক্লাস পানি পান করা উচিত।

কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয়

কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয় এর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তো, তাহলে মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। আশা করি উপকারে আসবে। মূলত আমাদের চুল, ত্বক ও নখের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ও খনিজের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা এগুলোর ঘাটটির ফলে আমাদের ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্যের উপর বাজে প্রভাব ফেলে। এছাড়াও ভিটামিনের অভাবে আমাদের ত্বক শুষ্ক, খসখসে, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। মূলত চারটি ভিটামিনের ঘাটতির কারণে আমাদের শরীরে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন

  • ভিটামিন এঃ এর অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের চুলকানি সহ আর অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
  • ভিটামিন ডিঃ এর অভাবেও আমাদের শরীরে চুলকানি সহ বিভিন্ন ধরনের ব্রণ র‍্যাশ দেখা যায়।
  • ভিটামিন ইঃ এর অভাবেও আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও চুলকানি, চামড়া কুচকে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
  • ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি এর অভাবে আমাদের ত্বকে শুষ্ক, খসখসে ও মলিন হয়ে যায়। যার ফলে চুলকানি দেখা যায়।
  • জিংকঃ জিংকের অভাবেও আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও সোরিয়াসিস ও একজিমা মত সমস্যাও দেখা দেয়।

শেষ কথাঃ কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে। আশা করি যাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার অনেক আগ্রহ ছিল তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে। এছাড়াও আরো জানিয়েছি কোন ফল বা খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয়। কোন ভিটামিন ত্বক টান টান রাখতে সাহায্য করে

এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। চেহারা সুন্দর রাখতে পুষ্টিকর ও ভিটামিন যুক্ত খাবারের পাশাপাশি সঠিক জীবন যাপনের চেষ্টা করুন। মানসিক দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি যদি উপকৃত হন। তবে কমেন্ট করে মতামত জানাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url