কলার খোসা দিয়ে রুপচর্চা

 

কলার খোসা দিয়ে রুপচর্চা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আপনাদের। কি অবাক হচ্ছেন তো শুনতে অদ্ভুত লাগছে তাই না। তবে হ্যাঁ এটাই সত্যি যে 

কলার-খোসা-দিয়ে-রুপচর্চা

এই সহজলভ্য কলার খসায় মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বহু গুনাগুন।  তাই কলা খাওয়ার পর খোসা ফেলে না দিয়ে আমরা চাইলে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি। চলুন তাহলে কলার খোসা কি কি গুন বা উপাদান রয়েছে ও কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারি সেগুলো দেখে নিন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কলার খোসা দিয়ে রুপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রুপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রুপচর্চা গুলো জেনে নিন। কলা এমন একটি সহজলভ্য ফল যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মূলত কাঁচা পাকা সব রকমই কলা  স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কলা আমাদের  পুষ্টির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও দারুন কাজ করে। এছাড়াও কলার খোসার বিভিন্ন গুণাগুন রয়েছে। যেগুলো আমাদের জন্য খুবই উপকারী। চলুন তাহলে এবার কালার খসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায় কিভাবে দেখে নিন।

কালো দাগ দূর করেঃ কালো দাগ দূর করতে কলার খোসা দারুন কার্যকরী। নিয়মিত কলার খোসার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগালে দাগ দূর হয়। শরীরের বিভিন্ন ধরনের কালো  দাগ বা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেও কলার খোসা খুবই উপকারী। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।

বলিরেখা দূর করেঃ কলার খোসা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। কলা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বকের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। নিয়মিত কলা খেলে ত্বকের বলিরেখা দূর হাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরো ভালো ফলাফল পেতে কলার খোসা পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটি কলার খোসার পেস্ট  ও একটি ডিমের কুসুম যোগ করে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এতে ত্বক হবে সুন্দর, মসৃণ ও নরম। 

ঠোঁটের যত্নঃ ঠোঁটের যত্নে কলার খোসা খুবই ভালো কাজ করে। কলার খসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঠোঁটের যত্নে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ঠোঁট সুন্দর রাখতে নিয়মিত কলার খসার ঘষতে পারেন। এটি ঠোঁটের আদ্রতা বাড়তে সাহায্য করে। এছাড়াও ঠোঁট সুন্দর করে এবং ঠোঁটে চকচকে ভাব নিয়ে আসে।

ত্বকের যত্নঃ ত্বকের যত্নে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে কলার খোসা দারুন কাজ করে। এজন্য ছোট ছোট টুকরো করে কলার খসা কেটে নিন। এরপর শরীরের কালো অংশে  ভালো ভাবে ঘষে নিন এবং 20 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে, ত্বক সুন্দর থাকবে। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

দাঁতের যত্নঃ দাঁতের যত্নেও কলার খোসা ভীষণ উপকারী। কলার খোসাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। তাই দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে কলার খোসা সাহায্য করে। দাঁতের দাগ বা মাড়ীর দাগ দূর করতে কলার খোসা ঘষতে পারেন। নিয়মিত কিছুদিন এভাবে ঘষলে দাঁত হবে সাদা ও ঝকঝকে।

মশার কামড়ঃ অনেক সময় মশার কামড়ের ফলে হাতে পায়ে বা শরীরে চুলকানি হয়। এছাড়াও শরীর লাল হয়ে যায় ফুলে যায়। তাই মশার কামড়ের চুলকানি ও জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এটি জ্বালা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বক শীতল করবে।  এজন্য কামড়ানো জায়গা গুলোতে কলার খোসা ঘষে নিবেন।

আঁচিল কমাতেঃ আঁচিল কমাতেও কলার খোসা খুবই উপকারী। আঁচিল দূর করতে কলার খোসার সাদা অংশ নিয়মিত ঘুষতে পারেন। এছাড়াও আঁচিল চিরতরে দূর করার জন্য আঁচিলের উপর এক টুকরো কলার খোসা নিয়ে চাপা দিয়ে গজ ব্যান্ডেজ করে দিন। নিয়মিত কিছুদিন এভাবে করলেই দেখবেন আঁচিল দূর হয়ে গেছে।

ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করেঃ ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে কলার খোসা ছোট ছোট আকারে কেটে নিন এবং দাগের উপর আলতো করে ঘষতে থাকুন। খোসাটি বাদামী রঙের হয়ে গেলে ব্রনের উপর আধাঘন্টা রেখে দিন। এরপর গরম পানিতে ভিজানো তোয়ালে দিয়ে ভালো করে খোসাটি তুলে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্রণের দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের জ্বালা ভাব কমাতেও সাহায্য করে।

চোখের নিচে কালো ও ফোলা ভাবঃ  চোখের কালি ও ফোলা ভাব কমাতে কলার খোসা দারুন কাজ করে। কলার খসাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম এবং প্রাকৃতিক ময়শ্চরাইজার। যা চোখের কালো ভাব ও ফোলা ভাব দূর করে। এজন্য কলার খোসার সাদা অংশ নিয়ে অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে কয়েক ঘন্টা চোখের নিচে লাগিয়ে রাখবেন। এটি কালো দাগ এবং চোখের নিচের ফোলা ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।

কলার খোসার পুষ্টি উপাদান

কলার খোসার পুষ্টি উপাদান গুলো দেখে নিন। সহজলভ্য ফলের মধ্যে কলা হলো অন্যতম একটি ফল। যা নানান পুষ্টিগুনে ভরপুর এবং সারা বছরই পাওয়া যায়। কলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের ত্বক ও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কলার খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন যেমন ভিটামিনের এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি সহ ভিটামিন ই। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরো রয়েছে দ্রবনীয় ও অদ্রবনীশ আঁশ।

আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

এছাড়াও আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ ও বি ১২, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও পটাশিয়াম যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ছোপ ছোপ দাগ ও চোখের কালো দাগ দূর করতেও ভীষণ সাহায্য করে। তাছাড়াও ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সহায়তা করে। কলার খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ই।

যা ত্বকের কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। কলার খোসাতে থাকা এন্ডিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে সাহায্য করে। এছাড়াও কলার খোসাতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস যা ত্বকের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া হাত থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন ক্ষয় দূর করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

কলার খোসার উপকারিতা

কলার খোসার উপকারিতা গুলো চলন এবার দেখে নিন। আমরা ইতিমধ্যে কলার খোসার পুষ্টি উপাদান গুলো জেনে আসছি এবং কলার খোসা আমাদের জন্য কতটা উপকারী জানতে পেরেছি। কলার খোসায়  রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোষগুলো সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়াও কলার খোসার আরো কিছু উপকারিতা রয়েছে চলুন সেগুলো দেখে নিন।

বয়সের ছাপ কমায়ঃ কলার খোসা বয়সে ছাপ কমাতে সাহায্য করে। বাহিরের ধুলাবালি বা সূর্যের রশ্মীর কারণে খুব অল্প বয়সে অনেকের মুখে বয়সের ছাপ পড়ে। তাই নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করলে বয়সের ছাপ কমে যায়। কেননা কলার খোসাতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। 

  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ কলার খোসা ত্বকের উজ্জ্বলতা  বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ড্যামেজ ত্বককে সুন্দর করতে সহায়তা করে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে তারুণ্য ভাব ধরে রাখে।
  • চুলের যত্নে কলার খোসাঃ চুলের যত্নে কলার খোসা খুবই উপকারী। চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে ও শুষ্কতা দূর করে। কলার খসাতে রয়েছে পটাশিয়াম যা চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর রাখে ও চুলকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কলার খোসা সাহায্য করে। নিয়মিত কলার খোসা মুখে লাগানোর ফলে ত্বকে হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
  • ডায়াবেটিসের ঝুকি কমাতে সাহায্য করেঃ  কলার খোসাতে রয়েছে বিভিন্ন দ্রবণীয় এবং অদ্রবনীয় আঁশ ও ফাইবার যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
  • হজমে সাহায্য করেঃ কলার খোসাতে থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীর কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।  
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করেঃ কলার খোসা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যাপক সাহায্য করে। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ কলা খোসাতে  রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • ত্বকের ডার্ক সার্কেল দূর করেঃ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কালশিটের দাগ কমায় এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।
  • খসপচড়া দূর করতে সাহায্য করেঃ শরীরের খসপচড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষাঃ সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে বাঁচতে কলার খোসা লাগাতে পারেন। এটি ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
  • ব্রণ দূর করতে সাহায্য করেঃ ব্রণ দূর করতে  কলার খোসা লাগাতে পারেন।  এটি ব্রণ দূর করতে ব্যপক সাহায্য করে। 

কলার খোসার অপকারিতা

কলার খোসার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আমরা ইতিমধ্যে কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত উপরে আলোচনা করেছি। মূলত কলা অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হলেও এর কিছু  অপকারিতাও রয়েছে। এজন্য আমাদের সবারই জানা উচিত উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা গুলো। কলার খোসার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আমরা সহজেই এটি ব্যবহার করা থেকে সর্তক থাকতে পারবো। 

কলার-খোসা-দিয়ে-রুপচর্চা

চলুন তাহলে দেখে নিন কি কি সমস্যা হয়।

  • ত্বকের শুষ্কতাঃ কলার খোসা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এজন্য কলার খসা ব্যবহার করার পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। 
  • ফাঙ্গার সংক্রমণঃ অনেক সময় নষ্ট কলার খোসা ব্যবহারের ফলে ফাঙ্গাস সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এজন্য কলার খোসা সতেজ ও ভালো দেখে ব্যবহার করা উচিত।
  • চুলের তেলতেলে ভাব সৃষ্টিঃ চুলের যত্নে অনেকেই কলার খোসা ব্যবহার  করেন অনেকেই। তবে চুলের খোসা ব্যবহার করার পর ভালো ভাবে চুল যদি না ধোয়া হয়। তবে চুলে নোংরা ও ময়লা জমতে পারে। তাই চুলের খোসা ব্যবহারের পর খুব ভালো ভাবে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন।
  • বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতিঃ পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে অনেক সময় কলা তে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। এই কলা গুলো যদি ত্বকে ব্যবহার করা হয় তবে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার পানি নিয়ে ধুয়ে নিবেন।
  • এলার্জির সমস্যাঃ অনেকেরই কলার খোসা ব্যবহার করার ফলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে। চুলকানি সৃষ্টি হয় জ্বালাপোড়া দেখা যায়। এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা আগে পরীক্ষা করে নেবেন তারপর ব্যবহার করবেন।

কলার খোসার ব্যবহার

কলার খোসার ব্যবহার গুলো সম্পর্কে অনেকেই সঠিক ধারণা নেই। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কলার খোসার ব্যবহার গুলো দেখে নিন। কলা আমাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হলেও কলার খোসাও কিন্তু কম না। বিভিন্ন কাজে কলার খোসাও দারুন কাজ করে। কাঁচা হোক বা পাকা হোক খাবার হিসেবে যেমন কলা খুবই সুস্বাদু, ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু কলা খাওয়ার পাশাপাশি কলার খসাও আমাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারযোগ্য ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন

যেমন গয়না পরিষ্কার করতে কলার ঘষা খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে কলার ঘষার ভেতরের সাদা অংশটি যে কোন রুপার জিনিসের উপর গহনার ওপর ঘষলে খুব দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যায় এছাড়াও ঘরে বিভিন্ন ধোলা দূর করতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও খষা দিয়ে গাছ পরিষ্কার করতে পারেন বন্য হ্যান্ডব্যাগ এবং বেল্ট থেকে শুরু করে জুতা পরিষ্কার করতেও কলার কষা খুবই সাহায্য করে বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে বলার ভাষা ব্যবহার করতে পারেন একটি নরম কাপড় দিয়ে কাটে আসবাবপত্র বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন

বাগান পরিচর্যা

কলার খোসা দিয়ে বাগান পরিচর্যা করতে পারেন। কলা খাওয়ার পর কলার খোসা ফেলে না দিয়ে প্রাকৃতিক সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও পটাশিয়াম যা গাছের বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকেও গাছকে রক্ষা করতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কিছু অ্যাফিড জাতীয় পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে এবং পানি শুষে নেয়।

এজন্য কলার খোসা ছোট করে কেটে মাটিতে পুতে দিলে কলার খোসাতে থাকা পটাশিয়াম এইসব পোকামাকড়কে গাছের আশেপাশে আসতে দেয় না। এতে গাছ সুন্দরভাবে বাড়ে। তাই বাগানের পরিচর্যায় চাইলে আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুবই উপকারী এছাড়াও রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে বিভিন্ন সবজি গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। 

জুতা পালিশ করতে

জুতা পালিশ করতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় অনেকদিন ধরে জুতা পরে থাকলে রং নষ্ট হয়ে যায় বা জুতার উপরে নোংরা পড়ে জুতা দেখতে বাজে লাগে। এজন্য কোন রকম অস্থির না হয়ে। আপনি চাইলে ঘরে বসেই কলার খোসা ব্যবহার করে জুতা পরিষ্কার করতে পারেন। এজন্য একটি কলার খোসা নিয়ে তার ভেতরের সাদা অংশ জুতার উপরে পালিশ করুন।

দেখবেন আপনার জুতা এক্কেবারে নতুন এর মত চকচক করছে। তবে জুতা পালিশ করার জন্য অবশ্যই পাকা কলার খোসার থেকে, কাঁচা কলার কিন্তু বেশি কার্যকরী। তাই আপনি চাইলে নিয়মিত কাঁচা কলার খোসা জুতা পালিশ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এটি চমৎকার কাজ করে এতে আপনার টাকাও অনেক সাশ্রয়ী হবে।

দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়াতে

দাঁতের উজ্জলতা বাড়াতে কলার খোসা খুবই উপকারী। দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও কলার খোসায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ও পেরিওডেনটাল ডিজিজের বিরুদ্ধে লড়াই করে দাঁত সাদা রাখতে সাহায্য করে।

এজন্য প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার আগে কলার খোসার ভেতরের অংশ দাঁতে মাজুন। এভাবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করে আপনার দাঁত পরিষ্কার করে ফেলুন। এ সময় অবশ্যই যতটা সম্ভব ঠোট খোলা রাখার চেষ্টা করবেন। এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে দেখুন কতটা উপকারী। এছাড়াও কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী।

প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রাথমিক চিকিৎসায় কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এই উপাদানগুলো বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের কামড় জ্বালাপোড়া ইত্যাদি কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে। এছাড়াও পোকামাকড় কামড়ালে বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ বা ক্ষত দেখা যায়। যা দূর করতে কলার খোসা ঘষতে পারেন।

ঘরবাড়ি ও অলংকার সৌন্দর্য বাড়াতে

কলার খোসা থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট দীর্ঘদিনের জমে থাকা নোংরা বা ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে দারুন কাজ করে। তাছাড়াও রুপার বিভিন্ন অলংকার পরিষ্কার করতেও কলার খোসা দারুন ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত ঘরবাড়ি বা অলংকার সুন্দর রাখতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।

পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কলা ব্যবহার

কলাতে যেমন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ঠিক তেমনি কলা খোসাতেও রয়েছে প্রোটিনের ভরপুর। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সহজলভ্য কলা যেমন কার্যকরী। ঠিক তেমনি তার খোসাও বেশ উপকারী। তাই চাইলে কলার খোসা ভালোভাবে ধুয়ে জুস হিসেবে খেতে পারেন।

ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার

কলার খোসা ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটি কলা খোসা সহ টুকরো করে কেটে নিন এরপর মিক্সারে মিক্সড করে নিন এবং সাথে দুই টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে নিন এরপর এই প্যাকটি ফ্রিজে রেখে দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তারপর ঠান্ডা হলে এই প্যাকটি মুখে ব্যবহার করে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

কলার খোসার স্ক্রাব তৈরি কলার খোসা দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। এজন্য কলার খোসা গুলো ছোট ছোট করে কেটে স্ক্রাবার হিসেবে স্কিনে ব্যবহার করুন। এটি ডেট সার্কেল দূর করে ত্বকের তৈল গন্তি নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। স্ক্রাবিং এর ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন।

ব্যথার উপশম ঘটায় ব্যথা কমাতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। যে সব জায়গায় ব্যথা অনুভব করবেন। সেখানে কলার খোসা লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট রাখার পর দেখবেন ব্যথা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে। এছাড়াও আরো ভালো ফলাফল পেতে কলার খোসা বেটে কয়েক ফোটা ভেজিটেবল অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে লাগাতে পারেন। দেখবেন দ্রুত ব্যথা দূর হয়ে গেছে।

সোরিয়াসিস সরিয়ে দেয়ঃ ত্বকের সোরিয়াসিস দূর করতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।  সোরিয়াসিস  হলো এক ধরনের স্কিন ডিজিজ। যা ত্বকের উপর লাল বা সাদা দাগ দেখায় এবং ওইসব অংশগুলো চুলকায়। তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে দূর করতে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গা গুলোতে কলার খোসা লাগাতে পারেন। এছাড়াও কলার খোসা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।

রিংকেল কমায় কলার খোসা রিংকেল কমাতে খুবই সাহায্য করে। কলার খোসা ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং রিঙ্কেল দূর করে ত্বক সুন্দর রাখে। একটি কলার খোসা পেস্ট করে নিয়ে তাতে একটি ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন এগুলো দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত কলার খোসা দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রেখে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি রিংকেল কমানোর পাশাপাশি আপনার ত্বক সুন্দর রাখতে খুবই সাহায্য করবে।

মসৃণ ত্বকের জন্য ব্যবহার মসৃণ ত্বকের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত শুষ্ক ও খসখসে ত্বকের জন্য কলার খোসার ভেতরের অংশ লাগাতে পারেন। এটি কিছুক্ষন রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এটা আপনার ত্বক মসূণ, মোলায়েম ও সুন্দর হতে সাহায্য করবে।

 সুস্বাদু খাবার কলা মুলত কাঁচা বা পাকা সব রকমই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। সহজলভ্য এই ফল পেট ভরাতে ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্বাদু খাবারের তালিকায় কলার খোসা ফেলে না দিয়ে। খাবার তৈরি করতে পারেন। এজন্য পরিমাণ মতো কাঁচ করার খোসা খুঁচিয়ে ভাপিয়ে নিবেন। সাথে গোলমরিচের গুড়া, পেঁয়াজ, রসুন সামান্য কালোজিরা ও তেল দিয়ে চমৎকার ভর্তা বানাতে পারেন। সাথে আরো স্বাদ বাড়াতে চিংড়ি মাছ যোগ করতে পারেন।

কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি 

কলার খোসা সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন সবজি গাছে বা ফুলের গাছের কলার খোসা শুকিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। কোনার খোসায় রয়েছে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম যা খুব ভালো বায়ো-ডিগ্রেডেবল এজেন্ট হিসেবে দারুন কাজ করে। আপনি চাইলে নিয়মিত সবজি ফল ও ফুল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কলার খোসা শুকিয়ে গুড়া করে গাছে গুড়াই ব্যবহার করতে পারেন।

এটি বিভিন্ন পোকামাকড় দমনের পাশাপাশি গাছের সার হিসেবে দারুণ কাজ করে। যেমন বিভিন্ন লাউ, মরিচ, টমেটো, সিম, বেগুন বিভিন্ন ফুল ফল ইত্যাদি গাছে ব্যবহার করতে পারেন। এটি গাছের সুস্থতার পাশাপাশি গাছের ফলন বৃদ্ধিতেও দারুণ কাজ করে। 

চুলের যত্নে কলার খোসা

চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার গুলো সম্পর্কে এবার জেনে নিন। ফলের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ফল হলো কলা। এটি খেতে যেমন মজা ঠিক তেমনি সহজলভ্য। তবে শুধু খাবার হিসেবে নয় রূপচর্চার জন্য এখন বেশ প্রচলিত এই কলা। বিশেষ করে চুলের শুষ্কতা দূর করতে বা চুলের যত্নে ভীষণ কার্যকরী। কলা আমাদের ত্বকের যত্নের পাশাপাশি চুলের যত্নের জন্য দারুণ কাজ করে।

প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস হল কলার খোসা। মাথার ত্বকে জমে থাকা নোংরা ধুলাবালি, ময়লা এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। কলার খোসা। এছাড়াও ত্বকের আদ্রতা জনিত সমস্যা গুলো দূর করতে কলার খোসা সাহায্য করে। কেননা কলার খোসায় রয়েছে ময়েশ্চারাইজার এবং পটাশিয়াম। তাছাড়াও নিষ্প্রাণ চুলের যত্নে পাকা কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।

চুল পড়া দূর করতেও নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের দিনে ১০০ টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক পর্যায়ে ধরা হয়। কিন্তু এর থেকে অতিরিক্ত চুল পড়লে এবং নতুন চুল না গজালে অনেকেই এটি নিয়ে ভীষণ চিন্তিত থাকেন। তাই এসব সমস্যা দূর করতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কলাতে যেমন রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,  প্রোটিন, সিলিকা ইত্যাদি।

তাই নিয়মিত কলা দিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এছাড়াও চুলের সমস্যা সমাধান করতে কলার খোসা খুবই কার্যকরী। এটি চুল উঠা সমস্যা দূর করে। চুলের গোড়া শক্ত হতে সাহায্য করে। এমনকি কলার খোসা ব্যবহারে চুল সুন্দর মোলায়েম এবং সিল্কি হয়ে ওঠে। তাছাড়াও কলার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলকে শক্তিশালী করতে আরো বেশি সাহায্য করে। চুলের পুষ্টি জোগায়।  চুলের রুক্ষতা কমাতে সাহায্য করে। চলুন এবার কয়েকটি হেয়ার মাস্ক বা প্যাক দেখে নিন। 

কলা খসা ও মধুর হেয়ার প্যাকঃ চুলের যত্নে কলার খোসা ও মধু দিয়ে হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এজন্য দুইটি কলার খোসা সাথে দুই চামচ মধু মিশিয়ে শ্যাম্পু করার আগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন তারপর ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কলার খোসা ও অ্যাভোকাডো দিয়ে হেয়ার প্যাকঃ চুলের যত্নে কলার খোসা দিয়ে ও এভোকাডো দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন। এজন্য এভোকাডো ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে তাতে দুইটি কলার খোসার পেস্ট ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ভালো করে শ্যাম্পু নিয়ে ধুয়ে নেবেন। কেননা এতে রয়েছে ভিটামিন ই, বায়োটিন এবং অন্যদিকে কলার খোসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের খুশকি দূর করে চুলের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। 

কলার খোসা এবং টক দইয়ের হেয়ার প্যাকঃ চুলের যত্নে কলার খোসার সাথে টক দই দিয়ে এ প্যাক বানিয়ে চুলা লাগাতে পারেন। এজন্য পরিমাণমতো কলার খোসা ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিবেন এবং তার সাথে পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। তারপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নেবেন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন।

পাকা কলার ফেসপ্যাক

পাকা কলার ফেসপ্যাক সম্পর্কে এবার জেনে নিন। কলা যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ঠিক তেমনি ত্বকের জন্য উপকারী। আপনার যদি ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেন তবে আজিই পাকা কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া ভাবে খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন কলা দিয়ে ফেসপ্যাক।

কলার-খোসা-দিয়ে-রুপচর্চা

যা আপনার ড্যামেজ ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করবে। এজন্য পাকা কলার খোসাও খুবই উপকারী। আমরা বেশিরভাগ মানুষই কলার খোসা ফেলে দিই। কিন্তু পাকা কলার খোসার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে আপনি জানেন কি। এটি আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করবে। চলুন ত্বকের যত্নে কয়েকটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে জেনে নিন।

পাকা কলা ও মধুঃ কলার ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য একটি কলা পেস্ট করে নিন এবং তার সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন এটি ১০ থেকে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে মুখ দিয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ব্যবহার করুন।

কলা লেবুর রসঃ শরীরের বিভিন্ন জায়গার কালো দাগ দূর করতেও কলা খুবই সাহায্য করে। এজন্য একটি কলার পেস্ট করে তার সাথে সামান্য লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ভালোভাবে শরীরে ব ঘাড়ে ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

কলা ও হলুদঃ রোদে পুড়া বা বিভিন্ন ধরনের কালচে দাগ ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে কলা ও হলুদের প্যাক বানিয়ে লাগাতে পারেন। এজন্য একটি কলার পেস্ট নিয়ে সাথে হলুদের গুড়া এবং সামান্য পানি মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলার খোসা 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলার খোসা খুবই উপকারী। আমরা ইতিমধ্যে কলার খোসার বিভিন্ন গুনাগুন উপকারিতা সম্পর্কে উপরে আলোচনা করে আসছি। এছাড়াও কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে আসছি। এই পর্যায়ে এখন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলার খোসার গুনাগুন গুলো দেখে নিন। প্রতিদিনের বিভিন্ন নোংরা ধুলা বালি কারণে ত্বকের উজ্জলতা দিন দিন হারিয়ে যায়।ত্বকে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। 

কলার খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় খুব সহজেই আপনি কলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। এটি ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে। শুষ্কতা দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ পিগমেন্টেশন দূর করতে কলার খোসা দারুন কাজ করে। ভালো ফলাফল পেতে ফ্রেশ কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি জন্য সাহায্য করে।

শেষ কথাঃ কলার খোসা দিয়ে রুপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রুপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলে। এছাড়াও কলার খোসার বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক কলা আমাদের জনপ্রিয় ও খুবই সহজলভ্য একটি ফল। তাই আপনি চাইলেই খুব সহজেই অতিরিক্ত বাহিরের পোডাক্ট ব্যবহার না করেই ঘোরয়া পদ্ধতিতে কলার খোসা দিয়ে রুপচর্চা করতে পারেন। 

এটি আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি গুন যা আমাদের পুষ্টির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক ও চুলের যত্নে কলার ভূমিকা অপরিসীম। তাই কলা খাওয়ার পর কলার খোসা ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে আপনার। তবে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্ট করে জানাবেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url