দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় জানুন
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে অনেক আগ্রহী হন। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে আশা করছি। আজকের আর্টিকেলে মাধ্যমে জানতে পারবেন। পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
অতিরিক্ত গ্যাস হলে করণীয়, পেট ফাঁপা দূর করার উপায়, পেটের গ্যাস হলে কি সমস্যা হয়, এছাড়াও পেটে গ্যাস হলে বুক ধরফর করে কিনা সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
- দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
- পেটের গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হতে পারে
- দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়
- সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না
- অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়
- পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে
- বুকে গ্যাসের ব্যাথা কমানোর উপায়
- চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়
- শেষ কথাঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে জেনে নিন। গ্যাস মূলত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাধারন একটি সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তবে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো খাবার। খাবার হজমের সমস্যা বা নির্দিষ্ট কিছু খাদ্যের প্রভাবে গ্যাস হতে পারে। এছাড়াও অনিয়ন্তিত জীবন যাপন, বাজে খাদ্য অভ্যাস গুলোর কারণে আমাদের পরিপাকতন্ত্র ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়।
যার কারণে দেখা দেয় এসিডিটিস বদ হজম ও বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা। তাছাড়াও গ্যাসের সমস্যার জন্য পেট ফুলে যাওয়া খুবই অস্বস্তিকর বিষয় দেখা দেয়। মূলত বাহিরের বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদির কারণেও গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফলে হতে পারে কোষ্টকাঠিন্য ও বদহজম। তবে চিন্তিত হবার কিছু নেই নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানো সম্ভব। চলুন তাহলে পদ্ধতি গুলো দেখে নিন।
পেটে ম্যাসাজঃ যদি গ্যাসের সমস্যার লক্ষণ গুলো দেখেন। তবে পেটের উপরিভাগের মেসেজ করতে পারেন। এতে গ্যাস আপনার অন্তের নিচে দিকে এসে পায়ু দ্বারের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি ডান হাত বুকের খাঁচার ডান দিকে হাড়ের নিচে ধরে গোল ভাবে মেসেজ করতে থাকুন। দেখবেন পেটের গ্যাস দ্রুত কমে যাবে।
গরম পানিতে গোসল করাঃ পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে গরম পানিতে গোসল করতে পারেন এটি অনেক কার্যকারী। তাছাড়া এটি পেটের ব্যথা বা গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।পেটের অন্ত ভালো রাখে।
ফাইবার যুক্ত খাবারঃ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে অবশ্যই খাবার তালিকা ফাইবার যুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করবেন। এটি পেটের গ্যাস কমাতে দ্রুত সাহায্য করে। একজন পুরুষের ক্ষেত্রে দিনের ৩৮ গ্রাম ফাইবার ও নারীদের ক্ষেত্রে ২৫ গ্রাম ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
পর্যাপ্ত পানি খাওয়াঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে পারেন। এটি পেটের গ্যাস বের হতে সাহায্য করে। এছাড়াও গ্রিন টি খেতে পারেন। এটি গ্যাসের সমস্যা বা পেটের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
কলাঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমাতে কলা খেতে পারেন। এটি অনেকটাই পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের পেটের সমস্যা দূর করতে এটি কার্যকারী।
হাটা ও ব্যায়াম করাঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমাতে হাঁটাহাটি করতে পারেন বা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে অন্ত ঠিক মতো কাজ করে এবং পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্যায়াম করলে শরীর অনেকটা হালকা থাকে।
ডাবের পানিঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমাতে ডাবের পানি দারুন কাজ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী মিনারেলস যা খেলে পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে।
রসুনঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমাতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খেতে পারেন। এটি পরিপাকতন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। এছাড়াও পেটের গ্যাস কমাতেও এটি দারুন কাজ করে।
দইঃ পেটের গ্যাস কমাতে বা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে দই খেতে পারেন। দই খাবার হজম করতে অনেকটাই সাহায্য করে। চাইলে দুপুরে অল্প পরিমাণ টক দই খেতে পারেন।
পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হতে পারে
পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হতে পারে চলুন বিস্তারিত দেখে নিন। পেটের গ্যাস খুবই একটি অস্বস্তিকর বিষয়। এছাড়াও পেটে গ্যাস হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন
- পেট ফুলে যাওয়া, পেট ব্যথা, জ্বালাপোড়া সহ পেটের মধ্যে কনকন করা ইত্যাদি।
- মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ওজন কমে যাওয়া, শরীরে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি।
- বমি বমি ভাব, খিদে কমে যাওয়া, অম্বল হওয়া ও তিতা ঢেকুর ওঠা ইত্যাদি।
- অতিরিক্ত গ্যাসের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে।
- পেটে গ্যাসের সমস্যার জন্য ফুসকুড়ি বা অস্বস্তি অনুভব করা।
- পেটে গ্যাস হলে মলে রক্ত দেখা দিতে পারে।
- এছাড়াও অতিরিক্ত পেটে গ্যাস হলে আরো বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
তবে উপরিক্ত সমস্যাগুলো দেখা দিলে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও যেসব কারণে গ্যাস হয় সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। মূলত অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে গ্যাসের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাছাড়াও অতিরিক্ত গ্যাস দূর করতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। পানি পান করতে পারেন, দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন যেমন ম্যাক্সপ্রো, লসসেটেল, সেকলো ইত্যাদি। তবে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করবেন।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেই। পেটের গ্যাস একটি অস্বস্তিকর সমস্যা যা খুবই বিরক্তজনক। বিভিন্ন খাদ্য অভ্যাস ও দৈনন্দিন জীবনযাপনের বিভিন্ন ভুল থেকে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়াও দেখা দেয় পেট ব্যথা ও হজমের মতো সমস্যা।
- পেঁপেঃ পেটের গ্যাস কমাতে পেঁপে অনেক কার্যকরী। এতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা আপনার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
- শসাঃ পেটের গ্যাস কমাতে শসা অনেক উপকারী শসা তে রয়েছে ফ্লেভারনয়েড ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি নামক উপাদান যা পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে, এছাড়াও পেট ঠান্ডা রাখে।
- আদাঃ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, পেট ফাঁপা বা পেটে গ্যাসের সমস্যার জন্য আদা অনেক উপকারী। এ ধরনের সমস্যা হলে আদা কুচি করে সামান্য লবন দিয়ে খেতে পারেন। দেখবেন গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে।
- দারুচিনিঃ পেটের গ্যাস কমাতে অনেক কার্যকরী তাছাড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও হজমের জন্য দারুন কাজ করে। এক গ্লাস পানি ও আধা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো একসাথে ফুটিয়ে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। দেখবেন এতে গ্যাস দূর হবে।
- জিরাঃ পেটে গ্যাস দূর করতে জিরা অনেক উপকারী। এছাড়াও পায়খানা, বমি ও আরো অন্যান্য সমস্যার জন্য জিরা অনেক কার্যকারী একটি উপকরণ।
- লবঙ্গঃ পেটের গ্যাস দূর করতে লবঙ্গ খেতে পারেন। দুই তিনটি লবঙ্গ চুষে খেতে পারেন। তাছাড়াও বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ দারুন কাজ করে।
- এলাচঃ পেটে গ্যাসের সমস্যা বা অম্বল দূর করতে এলাচ গুঁড়া খেতে পারেন এটা দারুন কাজ করে।
- মৌরি পানিঃ পেটের গ্যাস দূর করতে মৌরি ভিজিয়ে পানি খেতে পারেন। এটি পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও গ্যাস দূর করতে দারুন কাজ করে।
- পুদিনা পাতার পানিঃ পেট ফাঁপা, বমি ভাব ও পেটের গ্যাস দূর করতে পুদিনা পাতার পানি পান করতে পারেন। এজন্য এক কাপ পানিতে ৫ থেকে ৬ টা পুদিনা পাতা ফুটিয়ে সেই পানি খেতে পারেন।
- ঠান্ডা দুধঃ এসিডিটি দূর করতে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করতে পারেন। এছাড়াও পাকস্থলী গ্যাস্ট্রিক ও এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে এটি অনেক কার্যকারী।
- কমলাঃ গ্যাস দূর করতে কমলা অনেক উপকারী। পাকস্থলী অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।
- চীয়া বীজঃ এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চীয়া বীজ ফলের রস, পুডিং বা ঠান্ডা পানির সাথে খেতে পারেন।
- উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ খাবারঃ আঁশ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে রয়েছে বীজ, বাদাম, ব্লকলি ও সবুজ শাক-সবজি যা খেলে হজম শক্তি ভালো কাজ করে এবং গ্যাস দূর করে।
- দইঃ হজমের সমস্যা দূর করতে বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে দই দারুন কাজ করে। কেননা দই এ রয়েছে কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া।
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এটি অনেকেই জানতে চান। চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন। প্রতিটি মানুষের সকালটা যদি সুন্দর ভাবে শুরু হয়, তাহলে সারাদিনটাই ভালো কাটে। আর এজন্য সকালটাই শুরু করা উচিত সঠিক জীবন যাপন ও সঠিক খাদ্য অভ্যাস দিয়ে। কেননা বর্তমানের গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে চাকুরীজীবীদের এ ধরনের সমস্যার বেশি দেখা যায়।
অনেকেই আছেন সকালে ব্রেকফাস্ট না করেই ঘর থেকে বেরিয়ে যান। অফিসে গিয়ে একেবারে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। যার ফলে ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয় গ্যাসের সমস্যা, বমি বমি ভাব, মাথা ঝিমঝিম, বুকের চাপ চাপ ব্যাথা, কিছু খেলেই পেটে গ্যাস তৈরি হচ্ছে, হজমের সমস্যা হচ্ছে, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া মত সমস্যাও দেখা দেয়। পেটে কামড় অনুভব হয় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যা এক ধরনের বিরক্তই অনুভব হয়। কোন কাজে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এজন্য সবারই উচিত সঠিক জীবন যাপন ও খাদ্য অভ্যাস তৈরি করার। এছাড়াও অনেকেই আছেন সকালে নাস্তা কেমন করা উচিত এর সম্পর্কেও তেমন কোন ধারনা নেই। এক্ষেত্রে অনেকেই আছেন সকালে শুধু টোস্ট বিস্কুট, দুধ চা খেয়ে কাটিয়ে দেন। অনেকেই আবার হোটেলের তেলে ভাজা পরোটা, বুটের ডাল দিয়ে সকালের নাস্তা করে ফেলেন। অনেকেই আবার ভাজা ডিম পরোটা দিয়ে সকালে নাস্তা শেষ করে দেন। কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত না।
এছাড়াও আপনি যদি সকালে নাস্তা উল্টাপাল্টা কোন খাবার খেয়ে থাকেন। তবে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সারাদিন তাই অস্বস্তিকর ভাবে কাটাতে হতে পারে। অনেকেই আছেন না বুঝেই উল্টাপাল্টা খাবার খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে তেলে ভাজা বাহিরের খাবার। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই সবারই জানা প্রয়োজন সকালে কোন খাবার গুলো খেলে গ্যাস হবে না এবং সারাদিনটা সুন্দরভাবে সুস্থভাবে কাটানো যাবে, চলুন তাহলে জেনে নিন।
- লেবু পানিঃ সকালটা শুরু করতে পারেন লেবু পানি দিয়ে এটি গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। তবে যাদের লেবুতে সমস্যা রয়েছে তারা এড়িয়ে চলবেন।
- খেজুরঃ খেজুর হজম প্রক্রিয়া ভালো করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের সমস্যা দূর করে। কেননা খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা এ ধরনের সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য চাইলে আপনি সকালে খেজুর খেতে পারেন এতে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা দূর হবে।
- কাঠবাদামঃ কাঠবাদাম ৫-৬ টা পানিতে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ পর সকালে খেতে পারেন। এটি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। অনেকেই আছেন দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকেন। যার ফলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় নিয়মিত এভাবে কাঠ বাদাম খেলে এ সমস্যা দূর হবে।
- তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতা সকালে চা বানানোর সময় কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে খেতে পারেন। এটি পেটের গ্যাস দূর করতে দারুন কাজ করে।
- আমলকিঃ খালি পেটে বিভিন্ন ফলের জুস করে খেতে পারেন। তবে গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য আমলকি জুস করে খেতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা এই সমস্যা দূর করার সাথে সাথে ত্বক সুন্দর রাখে।
- ইউসুফবুল ভুসিঃ অনেকে আছেন সকালে ইউসুফবুল ভুসি খেয়ে থাকেন। এটিও পেটের সমস্যা দূর করতে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, গ্যাসের সমস্যা দূর করতে দারুন কাজ করে। চাইলে আপনি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে খেতে পারেন এটি।
- ব্রকলিঃ ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এ ধরনের খাবার সকালে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এগুলো গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে
- জিরাঃ গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সকালে জিরা ভেজানো পানি খেতে পারেন।
- সুষম খাবারঃ বিভিন্ন ধরনের তেলে ভাজা খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে সকালটা শুরু করতে হবে।
- লাল আটাঃ লাল আটার রুটি খেতে পারেন সকালের নাস্তায়, এতে গ্যাস হয় না।
- ডিমঃ সকালের নাস্তায় ডিম ভাজা না খেয়ে, ডিম সিদ্ধ খেতে পারেন এতে পেটের গ্যাস তৈরি হবে না।
- দারুচিনিঃ সকালে আমাদের সবারই চা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে দারুচিনি দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন এটি স্বাস্থ্যকর।
- ফলঃ সকালে নাস্তায় পেঁপে, তরমুজ, আপেল এই ফলগুলো খেতে পারেন। এগুলো হজম শক্তি বাড়ায় এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করণীয়
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করণীয় এটি অনেকেই জানতে চান চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন। বর্তমানে গ্যাসের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন ধরনের ভেজাল খাবার, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন সবকিছু মিলিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বাজে রকমের প্রভাব ফেলে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা সহ গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এমনও হয় এই সমস্যাগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে। তবে কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে, অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পারেন। চলুন তাহলে উপায় গুলো দেখে নিন।
- তেল মসলা জাতীয় খাবার বা ভাজাপোড়া এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
- মিষ্টি, কফি, কোকাকোলা, চা এবং গ্যাস তৈরি হবে এমন খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
- স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন, এতে শরীর ভালো থাকবে।
- খাবারের পর অতিরিক্ত শুয়ে না থেকে কিছুটা হাঁটাহাটি করার চেষ্টা করুন।
- একবারে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- ধীরে ধীরে খাবার চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন, এতে গ্যাসের সমস্যা হবে না।
- খাবারের সাথে বিভিন্ন কাঁচা ফল বা পানি একসাথে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- অতিরিক্ত রাত জাগা অভ্যাস পরিত্যাগ করুন, সঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়বেন।
- রাতে ঘুমানোর আগে উষ্ণ পানি এক গ্লাস পান করুন, এতে বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে।
অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হলে কাঁচা জিরা, আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ, পুদিনা পাতা ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলো গ্যাসের সমস্যা দূর করতে ভালো কাজ করে। কেননা কাঁচাজিরা পেটের বিভিন্ন সমস্যা সহ পেটের গ্যাস দূর করতে দারুন কাজ করে। এজন্য আপনি চাইলে এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে জেরা গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া লবঙ্গ, আদা এগুলো পেটের গ্যাস দূর করতে দারুন কাজ করে। সেক্ষেত্রে দুই তিনটা লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
এছাড়াও বেশি বেশি পানি পান করতে পারেন। পেটের সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত শুয়ে না থেকে একটু বসে থাকতে পারেন বা হাটাহাটি করতে পারেন। এছাড়াও অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা বা পেটের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করবেন। কেননা অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা থেকে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত সমস্যা হলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়া উচিত।
পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। মূলত অতিরিক্ত শরীরে গ্যাস জমা হয়ে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা ঘটে। এতে পেটের অস্বস্তি ও চাপ সৃষ্টি হয়। মূলত বাজে খাদ্য অভ্যাস ও দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়, যা খুবই বিরক্তিকর বিষয়। পেট ফুলে যাওয়া, পেট ভারী, বমি ভাব এগুলো পেট ফাঁপার লক্ষণ।
যদিও পেট ফাঁপা সমস্যা তেমন গুরুতর নয়। তবুও জীবনযাত্রা বিভিন্ন অসুবিধা সৃষ্টি করে। তবে চিন্তিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। কিছু ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই পেট ফাঁপা সমস্যা দূর করা যেতে পারে। এখন পেট ফাঁপা দূর করতে ঘরোয়া উপায় গুলো দেখে নিন।
- সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করা। খাবারের অনিয়ম হলে পাকস্থলীতে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। যার ফলে গ্যাস্টিকের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য পাকস্থলী সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত খাবার খাবেন।
- একবারে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে, সারা দিনে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। অনেকেই আছেন একবারে পেট ভরে খাবার খান, যার ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এতে পাকস্হলী ফুলে যায় এবং গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
- পেট ফাঁপা, বদহজম এগুলো দূর করতে দয়ের সাথে বা গরম দুধের সাথে ইসুবগুল খেতে পারেন এটি দারুন কাজ করে।
- পেট ফাঁপা দূর করতে উষ্ণ গরম পানি সাথে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে দারুন কাজ করে।
- অনেকের অনেক খাবারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য যে খাবারগুলো খেলে আপনার বুক জ্বালাপোড়া বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয় সে খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন।
- গ্যাসের সমস্যা দূর করতে কিসমিস খেতে পারে। এটি গ্যাস কন্ট্রোলে আনতে দারুন কাজ করে।
- গ্যাসের সমস্যা দূর করতে বা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে এক বেলা পানির সাথে ফুটিয়ে খেতে পারেন এটি খুব ভালো কাজ করে
- পেট ফাঁপা দূর করতে পেটের উপরে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে গ্যাস পায়ু দ্বারা এর দিয়ে বের হয়ে যাবে।
- পেট ফাঁপা দূর করতে পানি বা চা এর সাথে মিশিয়ে আপেল সিডের ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি নিয়মিত খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- পেটের সমস্যা দূর করতে এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো মেথি গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে দারুন কার্যকারী একটি উপাদান।
পেট ফাঁপা সমস্যা দূর করতে অবশ্যই উপরের টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করবেন। পানি খাওয়ার ফলে আপনার পেটের মধ্যে থাকা গ্যাস খুব সহজেই বের করে আনে। তাছাড়াও এই উপায় গুলো বা এই পদ্ধতি গুলো মেনে চলার পরও যদি দেখেন আপনার পেট ফাঁপা সমস্যা দূর হচ্ছে না। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করবেন।
পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে
পেটে গ্যাস হলে কি বুক ধরফর করে এর সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী হন। চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে জেনে নিন। আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এই বিষয়টি। পেটে অতিরিক্ত গ্যাসে পেটে ব্যথা শুরু হয়, হার্টবিট বেড়ে যায়, এছাড়াও বুক ধরফর করে। অনেকেই এ সমস্যাগুলো দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে এগুলো গ্যাস্ট্রিকের কারণে হতে পারে। তবে যদি বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করেন তবে বুঝবেন এটা গ্যাসের কারণে হতে পারে এবং ধীরে ধীরে তার আশেপাশে ছড়িয়ে যায়। এজন্য অবশ্যই ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ব্যথা বা চিনচিন ব্যথা অনুভব হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এছাড়াও রক্তশূন্যতা দেখা দিলেও বা রক্তচাপ কমে গেলে অনেকের বুক ধরফর করতে পারে।
এজন্য কেন কোন সমস্যার জন্য বুক ধরফর করছে, এটি চিহ্নিত করে ডক্টরের পরামর্শ নিতে পারেন। অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা থেকে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবহেলা না করে অবশ্যই ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাজে খাদ্য অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিত।
বুকে গ্যাসের ব্যাথা কমানোর উপায়
বুকে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে অনেকেই অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন, তাদের জন্য আশা করি আজকের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জানুন। তাছাড়াও আমরা ইতিমধ্যে উপরে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে আসছি যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। গ্যাসের আর একটি সমস্যা বা লক্ষণ হল বুকের ব্যথা।
এটি খুবই যন্ত্রণা দায়ক বিষয়। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারাই ঠিক এই যন্ত্রণাটা অনুভব করতে পারবেন। বর্তমানে বেশিরভাগই ব্যক্তি এ ধরনের সমস্যায় শিকার হন। বিভিন্ন হজম সংক্রান্ত কারণে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাছাড়াও আরো অনেক কারণে বুকের ব্যথা হতে পারে যেমন হার্টের জন্য বুকের ব্যথা দেখা দেয়। কিন্তু গ্যাসের জন্য বুকের ব্যথা হলে কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন যেমন
- রাতে তাড়াতাড়ি খাবার শেষ করার চেষ্টা করবেন। ঘুমানোর অন্তত ৩-৪ ঘন্টা আগে কেননা অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন খাওয়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়লে এসিডিটি বা বুকে ব্যথার মত সমস্যা হতে পারে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন। এটি বুকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং খাবার হজম হতে সাহায্য করে। যার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বুকের ব্যথা দূর হবে।
- বুকের ব্যথা দূর করতে এক টুকরো গুড় চুষে খেতে পারেন। গুড় আমাদের সবারই খুব পরিচিত উপকরণ এটি বুকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- আপেল সিডের ভিনেগার বুকের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। হজম শক্তি উন্নতি করে গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে।
- হাসি খুশি থাকা বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস, মানসিক চাপ এগুলো থেকে দূরে থাকা।
- নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং নিয়মিত রাতে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া।
- বাহিরের ভাজা পোড়া বা অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলা।
- ধূমপান বা মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়
চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আমরা ইতিমধ্যে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সহ আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আসছি। যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। অনেকেই আছেন গ্যাসের সমস্যাই খুবই জর্জরিত এবং প্রতিনিয়ত গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন হয়। এতে চিরতরে গ্যাস দূর হয় না
এজন্য প্রাকৃতিক কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই চাইলে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যাগুলো থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। এজন্য প্রথমেই খাদ্য অভ্যাসের দিকে নজর দিতে হবে। কেননা গ্যাস্টিকের অন্যতম কারণ হলো বাজে খাদ্য অভ্যাস। এছাড়াও খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চেষ্টা করুন অন্তত সকালে প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করার।
পানি গ্যাস্টিক জনিত সমস্যা দূর করতে দারুন সাহায্য করেন। এছাড়াও এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও অন্যান্য খাবারের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে আলুর রস খেতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যালকালাইন উপাদান যা গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও সঠিক জীবন যাপন সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করুন। একমাত্র সঠিক জীবন যাপন ও খাদ্যের মাধ্যমে চিরতরে গ্যাস দূর করা সম্ভব।
শেষ কথাঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলে। এছাড়াও পেটে গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়, চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়, সকালে খালি পেটে কি খেলে গ্যাস হবে না সহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি যাদের এ ধরনের অনেক সমস্যা রয়েছে। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে।
প্রিয় পাঠক এ ধরনের আরও প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন এবং আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে মতামতটি জানাবেন। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হবেন, সুস্থ থাকবেন। সঠিক জীবন যাপন ও খাদ্য অভ্যাসের মাধ্যমে চাইলেই গ্যাস্টিক সহ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করা সম্ভব। এজন্য চেষ্টা করবেন সঠিক জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলার ধন্যবাদ।
লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url