১৬ ডিসেম্বর কি দিবস জানুন

১৬ ডিসেম্বর কি দিবস আপনারা হয়তো অনেকেই আছেন এখনো জানেন না। কিন্তুু আমাদের সবারই বাঙালি জাতি হিসেবে জানা উচিত এই বিষয় গুলো সম্পর্কে। কেননা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই দিবস। তাই যদি ১৬ ডিসেম্বর সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। 

১৬-ডিসেম্বর-কি-দিবস

তবে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকে আমরা ১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস সহ ১৬ ডিসেম্বর সম্পর্কে ইতিহাস, তাৎপর্য ও রচনা এবং ১৬ ডিসেম্বর এর শুভেচ্ছা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব আজকের আর্টিকেলে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ১৬ ডিসেম্বর কি দিবস

১৬ ডিসেম্বর কি দিবস

১৬ ডিসেম্বর কি দিবস চলুন এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনে নিন। বাংলাদেশে অন্যান্য জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম দিবস হলো বিজয় দিবস। এটি মূলত প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই বিজয় দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে 

ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে। যার কারণে একে বিজয় দিবস বলা হয় অর্থাৎ এই দিনেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। যার স্মরণে আমরা প্রতিবছরে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে থাকি। এই দিনেই বাংলাদেশে প্রথম স্বাধীনতা উদযাপন করা হয় এবং তার পর থেকেই বিজয় দিবস হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে যুক্ত হয়েছে।

মূলত পুরো বাংলাদেশে লাখো শহীদদের স্মরণ ও সম্মান জানানোর হয় এই দিনে। লাখো শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই বিজয় দিবস। যা আমরা কখনোই ভুলবো না। সারা জীবন চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই বিজয় দিবস। তাহলে বুজছেন বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

১৬ই ডিসেম্বর কেন বিজয় দিবস পালন করা হয়

১৬ই ডিসেম্বর কেন বিজয় দিবস পালন করা হয় এই সম্পর্কে এবার চলুন বিস্তারিত জেনে নিন। ১৯৭১ সালে লাখো শহীদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন একটি দেশ বাংলাদেশ। যা ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা কখনোই তাদের আত্মত্যাগের কথা ভুলবো না। মূলত ১৬ ডিসেম্বরে প্রথম বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

আর এই জন্যই ১৬ই ডিসেম্বর কে বিজয় দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যার কারণে আমরা প্রতিবছর ১৬ই ডিসেম্বর কে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকি। প্রিয় পাঠক আশা করি বুজতে পারছেন। আমাদের লাখো শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তাদের সম্মান জানানোর জন্য আপনার প্রতি বছর এই দিনটি পালন করে থাকি।

লাখ লাখ শহীদের তরতাজা প্রাণে বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা যুগের পর যুগ বা পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর জন্য ইতিহাস হিসেবে ডিসেম্বরে বিজয় দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছরে বিজয় দিবসের কথা আমরা বাঙালিরা কখনো ভুলবো না। বিজয় দিবস আমাদের গৌরব আমাদের অহংকার যা আমরা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত করেছি।

বিজয় দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য

বিজয় দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য জেনে নিন এবার। বিজয় দিবস এমন একটি দিন, যে দিনে পুরো বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতির দীর্ঘ লড়ায়ের সমাপ্তি ঘটে। যা এক গৌরবময় দ্বীন হিসেবে আবেগ দিয়ে উদযাপন করা হয়। শহীদের বিজয় দিবস আমাদের বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের এক অন্যতম ইতিহাস। যার জন্য বিভিন্ন জন বিভিন্ন বাক্য বলে থাকেন মূলত শহীদের স্মরণে বা তাদের আত্মত্যাগের জন্য এই বাক্যগুলো বলা হয়ে থাকে। চলুন তাহলে বিজয় দিবস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বাক্যগুলো দেখে নিন।

  • বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বাংলাদেশে জাতীয় একটি ছুটির দিন। যা সারা দেশে ব্যাপকভাবে পালন করা হয়।
  • এই দিনটিতে বাঙালিরা লাখো বীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে থাকেন। যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি।
  • ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনটি পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
  • এটি এমন একটি দিন যেদিনে বাঙালিগণ তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতে সম্ভাবনা ও গৌরবময় ইতিহাস উদযাপন করেন।
  • এটি এমন একটি দিন যে দিনে বাঙালিরা পুরো বিশ্বকে দেখায় তারা একটি স্বাধীন জাতি ও শক্তিশালী।
  • এটি এমন একটি দিন যে দিনে বাঙালিগণ সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা পূর্ণব্যক্ত করে থাকেন।
  • এই দিনটিতে সমস্ত বাঙালি জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুচকাওয়াজ সহ বিভিন্ন আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে থাকেন।
  • বিজয় দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সার্বভৌমত্বের এটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য দিন। 
  • এই দিনে লাখ লাখ শহীদদের স্মরণে সম্মানতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
  • এই দিনে শহীদের স্মরণে সবাই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অবস্থিত হয় ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
  • ১৬ই ডিসেম্বরে প্রতিবছরে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীন থেকে  রাষ্ট্রপতি, বিভিন্ন দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা অর্পণ করে থাকেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে।
  • এছাড়াও এই দিনের বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা বা বিভিন্ন শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সবাই ভোর বেলায় খালি পায়ে ফুল নিয়ে যায়
  • এই দিনে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা গণ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে থাকেন।

বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা

বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা গুলো এবার আলোচনা করব চলুন বিস্তারিত জেনে নিন। ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জন্য মহান বিজয় দিবস। কেননা লক্ষ লক্ষ বাঙালির রক্তের বিনিময়ে  ও তাদের বিভিন্ন ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই বিজয় দিবস। যা ইতিহাসের পাতায় চির স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। তবে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য রচনা খুবই মর্মান্তিক। যা কখনোই ভোলা সম্ভব না।

১৬-ডিসেম্বর-কি-দিবস

দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা অর্জিত করেছে লাল সবুজের পতাকা। ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনে পাকহানাদার বাহিনির সাধারণ জনগণের উপর বিভিন্ন ধরনের নির্মম নির্যাতন ও অত্যাচারের অবসান ঘটে এই দিনে। পাকিস্তানি বাহিনীরা আত্মসমর্পণ করেন বাঙ্গালীদের কাছে এই দিনে। যা আমরা ইতিমধ্যে ডিসেম্বর কি দিবস এর মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করে আসছি।

১৬ই ডিসেম্বর লাখো শহীদদের স্মরণে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রের জন্য সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়ে থাকে এবং সেই সাথে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে সকাল থেকে শুরু হয় জাতীয় সংগীত গাওয়া ও জাতীয় পতাকা উড়িয়ে মুক্তি যোদ্ধা সৈন্যেদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্কুল-কলেজে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুষ্ঠান বা আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তাছাড়াও রেডিও, টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেল গুলোতে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। ১৬ই ডিসেম্বরের এই দিনটিতে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের পাকিস্তানের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী এর আত্মসমর্পণ এর দলিল স্বাক্ষর করেন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরোরার কাছে জমা করেছিলেন। মূলত ইংরেজদের শাসনামলে বহু বাঙালি বহুবার রক্ত দিয়েছিলেন।

বিভিন্ন অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অবদান ছিলেন বাঙালি জাতির। কিন্তু তারপরেও ইংরেজদের মতোই পাকিস্তানিদের কাছ থেকেও বিভিন্ন অত্যাচারের শিকার হয় বাঙালি জাতি। যার কারণে পরবর্তীতে শুরু হয় নতুন আরেকটি সংগ্রাম। যার মধ্যে থাকে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৬ ঐতিহাসিক ছয় দফা, ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান যা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

পরবর্তীতে বিভিন্ন সংগ্রামের পর পাকিস্তানিরা বাঙ্গালীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং বাঙালি ফিরে পায় নতুন আরেকটি স্বাধীন দেশ। মুক্তি পায় সাধারণ জনগণ, ভূমি, মাটি, পশুপাখি, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি। বাঙালি বিজয় দিবস পালনের জন্য ১৬ ডিসেম্বর আকাশে উড়িয়ে দেয় লাল সবুজের পতাকা। 

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে আলোচনা করব চলুন বিস্তারিত জানুন। ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা কেন জানানো হয় এটি সবারই জানা উচিত। তবে এটি এই প্রজন্মের অনেকেই সঠিক ভাবে জানেন না। এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই তাদের। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানানোর চেষ্টা করব বিস্তারিত চলুন তাহলে জেনে নিন। 

১৬ই ডিসেম্বর প্রথম স্বাধীনতা অর্জিত হয় এবং সেই থেকে এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই সাথে বিজয় দিবসের বিভিন্ন শুভেচ্ছা জানানো হয় লাখো শহীদদের স্মরণে। মূলত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরোও উজ্জীবিত করে তুলেন। এই মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি সকল বাঙালি অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রয়েছে।

হাজারো বাঙ্গালীর তরতাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা যা কখনো ভুলে যাওয়ার মতো না। আজ ৫২ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাঙালিদের মনে শহীদদের জন্য এখনো শ্রদ্ধা ভালোবাসা রয়েছে। যা আজীবন চলমান থাকবে এবং পরবর্তী ইতিহাসের পাতায়। 

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর ইতিহাস

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর ইতিহাস সম্পর্কে এবার বিস্তারিত জেনে নিন। ১৯৭১ সালের তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু হয়। ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও হাজারো মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পাই স্বাধীন একটি দেশ বাংলাদেশ। যা পৃথিবীর ইতিহাসে এবং বিশ্বের মানচিত্রের আলাদা একটা দেশ ও জাতি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। মূলত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা বাঙালি উপর ঝাপিয়ে পড়ে।

তারপর থেকে শুরু হয় সংগ্রাম। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতিরা সংগ্রামে বিজয়ী হয়। যার কারণে ১৬ই ডিসেম্বর সব জায়গায় উদযাপন করা হয়। এছাড়াও এই দিনটিকে সরকারি ভাবে ছুটির ঘোষণা দিয়ে থাকেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্ত ক্ষয়ে যুদ্ধের পর অর্জিত হয় ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর। হাজার হাজার বাঙালির জয় বাংলা শ্লোগানের ঢাকা শহরের আবেগ ঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এই দিনে।

এছাড়াও ভারতীয় যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং এবং পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান লেপটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী বীর মুক্তি বাহিনী কাছে অস্ত্র ও সৈন্য সমর্পণ করেন এবং দলিল স্বাক্ষর করেন। যার প্রতিনিধিত্ব করেন ডেপুটি গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বাহিনীর। যার ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী পক্ষ থেকে কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম সফিউল্লাহ যুদ্ধবিরতি প্রদান করেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল গর্ন্ধধ সিং নাগরাকে বহনকারী সামরিক জীপ ঢাকার মিরপুর থামের ব্রিজের কাছে। এছাড়াও বেলা ১১ টার দিকে দুজন প্রতিনিধি সদর দপ্তর থেকে ফিরে আসেন। নিয়াজির প্রতিনিধি হিসেবে আসেন মেজর জেনারেল জামশেদ দুপুর ১২ টার দিকে। নাগরা নেয়াজিস্ট অফিসে নিয়াজির অফিসে পৌঁছান এবং শুরু হয় আত্মসমর্পণের শর্ত আলোচনা। পরবর্তীতে নিয়াজী আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর প্রদান করতে রাজি হন।

২৬ শে মার্চ কি দিবস

২৬ শে মার্চ কি দিবস জানতে চাচ্ছেন তো চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। আমরা ইতিমধ্যে উপরে ১৬ ডিসেম্বর কি দিবস জেনে আসছি। আর এখন জানাবো ২৬ মার্চ কি দিবস। আমরা প্রতিটি বাঙালির মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে কম বেশি জানা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে অনেকেরই এগুলো নিয়ে সঠিক ধারণা নেই। তবে আমাদের সবারই জানা উচিত ২৬ মার্চ সম্পর্কে।

১৬-ডিসেম্বর-কি-দিবস

২৬ শে মার্চ মূলত স্বাধীনতা দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করে। পরবর্তীতে ২৬ শে মার্চে বাঙালি জাতি স্বাধীন একটি দেশ পায় বাংলাদেশ। যা পুরো বিশ্বে জায়গা করে নেয়  বাংলাদেশ নামক দেশটি। হাজারো ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ এত সুন্দর ভোরের সূর্য দেখতে পাচ্ছি। লাখ লাখ শহিদের আত্মত্যাগের কথা লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না। 

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য গুলো সম্পর্কে এখন জানানোর চেষ্টা করব জেনে নিন। শুরুতে বলে রাখি বিজয় দিবসের বক্তব্য দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন সবার আগে সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা যেকোনো কাজ করার আগে যদি সঠিক প্রস্তুতি না নিয়ে থাকি। তবে সেই কাজটি সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করতে পারি না। 

তাই সঠিক প্রস্তুতি নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য বিষয়। বিজয় দিবসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সুন্দর করে গুছিয়ে বলার চেষ্টা করবেন। আর এজন্য চাইলে কথাগুলো কোন খাতায় বা নোটপ্যাডে আগেই সুন্দর করে লিখে রাখতে পারেন। এরপর বারবার বক্তিতা দেওয়ার জন্য প্র্যাকটিস করতে পারেন। এর ফলে আপনার মধ্যে থাকা নার্ভাস ও দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে। 

এছাড়াও স্টেজে ওঠে বক্তব্য দেওয়ার আগে অবশ্যই নিজেকে পরিপাটি ও নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলবেন। বক্তব্য শুরুতেই, আপনার সামনে থাকা শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করবেন। আপনার বক্তব্য গুলো আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল ভাবে উপস্থাপনা করবেন। বক্তব্যর মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রসঙ্গ বা উদাহরণ ব্যবহার করবেন।

বক্তব্য শেষে অবশ্যই শ্রোতাদের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বলে যাবেন। প্রিয় পাঠক এতক্ষণ বক্তব্য দেওয়ার আগে বিষয়গুলো সম্পর্কে কিছু টিপস দিলাম। এখন চলুন বিজয় দিবসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য কিভাবে দিবেন জানুন। প্রথমেই শুরু করবেন এইভাবে। 

প্রিয় দেশবাসী বা প্রিয় সুধীবৃন্দ, আজ মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর। আজকের দিনে আমরা পেয়েছি স্বাধীন একটি দেশ বাংলাদেশ। এই দিনে আমরা সবাই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাদের বিশাল আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম এক বাংলাদেশ। আজকের দিনে আমরা আবারো স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের সেই গৌরবময় ইতিহাস।

আমরা জানি আমাদের এই বিজয় দিবস অতি সহজে আসেনি। এরজন্য  ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করার পর হাজারো দামাল ছেলেরর বুকের তরতাজা রক্তের বিনিময়ে ও হাজারো মা বোনের ইজ্জতের ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। লক্ষ লক্ষ বীর সন্তানের বুকের তাজা রক্ত দেশপ্রেম এর জন্য ঢেলে দিয়েছিলেন এই দিনে। তাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

আমরা আজকের দিনে সেই লাখো বীর শহীদদের স্মরণ করে তাদেরকে সম্মান জানিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সকল অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে আমরা সবাই সুন্দর ও একটি আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কে দেখতে চাই। আমরা চাই আমাদের দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। সেই সাথে আরো চাই আমাদের দেশে কোনরকম দুর্নীতি, অজ্ঞতা, অশান্তি ও অনাহারি থাকবে না। সুন্দর, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির পরিপূর্ণতা এক বাংলাদেশ দেখতে চাই।

আমরা চাই বিশ্বের মানচিত্রে নবজাগরণের উদ্দীপ্ত উজ্জ্বল দেশ হিসেবে বাংলাদেশেের পরিচিত হোক। আর এজন্য আমাদের সকলের উচিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম ও একতা। বিভিন্ন বিভেদ, বিচ্ছেন হানাহানি ও সংঘাত, স্বার্থপরতা দূর করে কাজ করা। দেশের ও সামাজের স্বার্থে সবাই একযোগে কাজ করা উচিত। সমস্ত বিভেদ ভুলে একতা থাকা উচিত। 

দেশের উন্নতির জন্য ও স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করা উচিত। আর বক্তব্য বাড়াবো না। প্রিয় সূধীবৃন্দ যারা এতক্ষণ অসীম ধৈর্য নিয়ে আমার বক্তব্য শুনেছেন আপনাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ সবাইকে। আসসালামু আলাইকুম ভালো থাকবেন সবাই।

শেষ কথাঃ ১৬ ডিসেম্বর কি দিবস

১৬ ডিসেম্বর কি দিবস এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলে। প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এখনো ১৬ ডিসেম্বর এর দিবস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না। আশা করছি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। এছাড়াও ১৬ ডিসেম্বর এর বিভিন্ন ইতিহাস, তাৎপর্য,  গুরুত্ব সহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলে।

প্রিয় পাঠক বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের সবারই মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস ও বিভিন্ন দিবস সম্পর্কে জানা উচিত। কেননা হাজারো রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আজকের এই স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ। তাই লক্ষ লক্ষ শহীদ ও হাজারো মা বোনদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে তাদের প্রতি সম্মান ও শদ্ধা জানানো আমাদের সবারই উচিত। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দেশের ইতিহাস গুলো জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।  আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই মতামত জানাবেন কমেন্ট করে। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url