কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় জানুন

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আজকের আর্টিকেলে চর্বি কমানোর বিভিন্ন উপায়, মেয়েদের চর্বি কমানোর উপায়,৭ দিনে চর্বি কমানোর উপায়, ঘরোয়া ভাবে চর্বি কমানোর উপায়, ব্যায়াম ছাড়া চর্বি কমানোর উপায়।

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

তলপেটের চর্বি কমানোর উপায় সহ আরও অনেক চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা অনেকেই আছেন যারা এই সমস্যায় ভুগছেন। আশা করছি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। চলুন তাহলে জেনে নিন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এ সম্পর্কে অনেকেই খুব চিন্তিত থাকেন। চলুন তাহলে কিভাবে পেটে চর্বি কমাবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। পেটের চর্বি মূলত আমাদের শরীরের জন্য খুবই অস্বস্তিকর বিষয়। অতিরিক্ত পেটের চর্বি আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখানোর পাশাপাশি শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এছাড়াও পেটের চর্বি, শরীরের অন্য আরও বিভিন্ন জায়গার চর্বির থেকে বেশি বিপদজনক।

তাছাড়াও পেটের চর্বির জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও শরীর খারাপ হয়। যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও লিভারের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই জীবন যাপনের অভ্যাসগুলো আমাদের পরিবর্তন করতে উচিত। মূলত যাদের এই ধরনের বেলি ফ্যাট রয়েছে তাদের। তাই পেটের চর্বি কমাতে প্রতিদিনের অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করুন আগে।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। এছাড়াও পেটের চর্বি কমাতে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। বাড়ির পাশে, রাস্তায় বা বাড়ির ছাদে প্রতিদিন নিয়ম করে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাটাহাটি করবেন। পেটের চর্বি কমাতে এটি অনেক সাহায্য করবে। এছাড়াও আরো অনেক উপায় রয়েছে। যেগুলো নিয়মিত করলে পেটের চর্বি কমানো যায়। যেমন

  • খাদ্য অভ্যাসঃ খাদ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। এতে শরীরের বিপাকক্রিয়া ঠিক হয়। ক্ষুধা কম লাগে ফলে পেটে চর্বি কমাতে সাহায্য হয়। প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে মসুর ডাল, মটর শুঁটির, মাছ, মুরগি রাখতে পারেন।
  • ক্যালরি পরিমানঃ ক্যালরি গহণের পরিমাণ কম রাখবেন। মনে রাখবেন পেটের বা শরীরে চর্বি কমানোর প্রধান কার্যকারী বিষয় হচ্ছে সঠিক খাদ্য তালিকা। তাই খাবারের কতটা ক্যালরি গ্রহণ করছেন। তা যাচাই করে নিবেন বিভিন্ন ফল, শাকসবজি বিভিন্ন দানা জাতীয় সদস্য এ খাবার গুলো আপনার খাবার তালিকায় রাখবেন।
  • ফাইবারঃ ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। এটা বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, শরীরে এনার্জি দেয়। ক্যালরির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেটের চর্বি কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তবে এই জাতীয় খাবারের মধ্যে ডাল, লেবু, শাকসবজি ফল ইত্যাদি খেতে পারেন। প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম জাতীয় খাবার ফাইবার জাতীয় রাখুন। এটি চর্বি কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে।
  • কোমল পানিঃ বিভিন্ন ধরনের কমল পানীয় বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় গহন কম করবেন। কমল পানীয়র মধ্যে প্রায় বেশির ভাগই চিনি থাকে। যা শরীরের মেদ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করুন পেটের চর্বি কমাতে ব্যায়াম এর কোন বিকল্প নাই। বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভেসকুলার ব্যায়াম গুলো করুন। যেমন সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা এবং লাফালাফি ইত্যাদি। এই ধরনের ব্যায়াম গুলো স্বাস্থ্যের উন্নতি পাশাপাশি পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে।
  • দুশ্চিন্তাঃ মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা এগুলো থেকে বিরত থাকুন। শরীরের কর্টিসল তৈরি করে। মানসিক চাপ কর্টিসল নামক হরমোন শরীরের চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্ককে অলস করে দেহের ক্রন্তি ভাব নিয়ে আসে।

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে চলুন এবার জেনে নিন। মহিলাদের পেটের মেদ হওয়ার বিশেষ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে হরমোন জনিত সমস্যা একটি। মহিলাদের হরমোন পরিবর্তিত হয় বেশি। বিশেষ করে  বয়সন্ধির সময় হরমোন পরিবর্তিত হয়। তখন ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন হ্রাস পায়। যা নিতম্ব ও পেট বড় করে তুলে। 

এছাড়াও চর্বিযুক্ত খাবার ও বিভিন্ন ভাজা পোড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার। পেটে চর্বি বেড়াতে সাহায্য করে। মেয়েরা সাধারণত এই খাবারগুলো খেতে বেশি পছন্দ করে। আমার অনেকের বংশগত কারণেও পেটে চর্বি হতে পারে। অনেকের পরিবারে বা বংশের সবারই ওজন বেশি থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মানুসিক চাপে মেয়েদের দেহের বিশেষ একটি হরমোন নিঃসরণ হয়। 

যা তাদের পেটের চর্বি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সারাদিনের ব্যস্ততায় অনেক মহিলারা নিজের যত্ন নেওয়ার সময় পায় না। আবার অনেক মহিলা নিজের জীবন যাপনের সঠিন নিয়মনীতি না মানায় এই সমস্যা ভুগে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন মহিলাদের পেটে চর্বি দেখা দেয়। চলুন এবার মহিলাদের পেটে মেদ কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন।

তাড়াতাড়ি খাবার অভ্যাসঃ পেটের মেদ কমাতে তাড়াতাড়ি খাবার অভ্যাস করার চেষ্টা করবেন। এটি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে অনেক।

খাবারের পরিমাণ সঠিক রাখাঃ কখনোই অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। এতে যেমন শারীরিকভাবে অস্বস্তি লাগে। ঠিক তেমনি পেটে চর্বি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই খাবারের পরিমাণটা সঠিক রাখবেন।

প্রতিবেলার খাবার খাওয়াঃ অনেকেই আছেন সকালে না খেয়ে থাকেন। মনে করেন সকালে না খেয়ে থাকলে বা বিভিন্ন সময় না খেয়ে থাকলে হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বা যত না খেয়ে থাকবেন তত মনে হয় ওজন বা মেদ কমবে। আসলেই এই ধারনা গুলো সবই ভুল। ঠিক এগুলোর উল্টাটায় ঘটে। তাই এটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর বরং না খেয়ে থাকলে চর্বি তৈরি হয় তাড়াতাড়ি। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিবেলার খাবার সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাণে খাওয়ার।

শরীরচর্চায় মনোযোগ দিনঃ প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করার চেষ্টা করবেন। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটবেন। এটি আপনাকে যেমন সুস্থ রাখবে ঠিক তেমনি চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। তাছাড়াও পেশি শক্তিশালী করে অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।

৭ দিনে পেটের চর্বি কমানোর উপায়

৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। বর্তমানে অনেকেরই চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে পেটের অতিরিক্ত চর্বি। ব্যস্ত লাইফে নিজেদের যত্ন নেওয়ার সময় অনেকেরই হয়ে ওঠে না। এজন্য বিভিন্ন অনিয়ন থেকে পেটে অতিরিক্ত চর্বি তৈরি হয়। যার জন্য শরীরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। বাজে খাদ্য অভ্যাস ও লাইফ স্টাইল এর জন্য মূলত এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। 

এই সমস্যাগুলো অনেকেই ভুগছেন। চলুন তাহলে সাত দিনে কিভাবে পেটে চর্বি কমাবেন জানি। পেটে চর্বি কমানোর জন্য প্রথমে যোগব্যায়াম করতে পারেন। নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ৬০০ মতো ক্যালােরি ক্ষয় হয়। ফলে পেটের চর্বি ঝরতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে লেবু পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। সকালে নাস্তার আগে পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং একটি ফল খান।

এতে পেট ভরা লাগবে অন্য ভারী খাবার খাওয়ার চাহিদা কমবে। তাছাড়াও খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেট মুক্ত খাবার রাখুন। তবে আমাদের  এনার্জি বৃদ্ধির জন্য সামান্য কার্বোহাইড্রেট রাখতে পারেন। মসলা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন। অল্প মসলা যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। মসলার মধ্যে ব্যবহার করতে পারেন দারচিনি, আদা, রসুন। এগুলো পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো খান। যেমন মুরগির মাংস, মাছ, ডিম ইত্যাদি। ১ টি বা ২ টি ফল খান। তবে চেষ্টা করবেন টক জাতীয় ফল খাওয়ার জন্য। যা মেদ কমানোর জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়াও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও মেদ কমাতে প্রতিদিন সকালে রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি মেদ কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে। শুকনো মরিচ গুঁড়া পরিহার করার চেষ্টা করবেন। 

৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় ব্যায়াম

তিন দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় ব্যায়াম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। শরীরের মেদ, ভুঁড়ি বা চর্বি যায় বলুন না কেন বর্তমানে এই সমস্যায় অনেকেই আছেন। অস্বস্তিকরের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে অনেকেই। তবে আপনি যদি একটু সময় বের করে কিছু কাজ করতে পারেন। তবে অনেকটায় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ঘুম থেকে ওঠা থেকে  রাত পর্যন্ত একটি নিদিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী চলবেন। 

কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

তাছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। সাথে নিয়ম করে কিছু শরীরচর্চা করবেন। দেখেন অনেকেই ডায়েট করে, জিম করে কিন্তু কিছুতেই পেটের মেদ কমাতে পারে না। এতে শরীরের চর্বি কমলেও কিন্তু বেলি ফ্যাট কমাতে বিরক্ত হয়ে যায়। পরে আবার আগে মতো জীবন যাপন করতে শুরু করে অনেকই। তাই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী যদি প্রতিদিনের অভ্যাস করে তুলতে পারেন তবেই ওজন বা চর্বি কমানো সম্ভব। 

লেগ রেইজসঃ এই ব্যায়ামটি আপনি বিছানায় শুয়ে থেকেই করতে পারবেন। এই ব্যায়াম করতে শুধু মাত্র পা দুটো উপরে ৪৫° অ্যাঙ্গেরে উপরে উঠিয়ে রাখুন। যতক্ষন পারেন। এই ভাবে নিয়মিত করতে পারেন। দেখবেন মেদ, ভুঁড়ি ভ্যানিস হয়ে যাবে। প্রথম অবস্থায় হলে ধীরে ধীরে বারে বারে করুন এই ব্যায়ামটি।

সিট-আপসঃ এই ব্যায়ামটি করতে মাটিতে শুয়ে পড়ুন সোজা হয়ে। হাঁটু ভাজ করে রাখুন। মাথার নিচে দুই হাত রাখুন। এবার ধীরে ধীরে শরীরের উপরের দিকটা ওঠানোর চেষ্টা করুন। এই ভাবে মাঝামাঝি অবস্থায় উঠুক আর শুয়ে পড়ুন। এই ভাবে কয়েক বার করুন। 
পুশ আপঃ পেটের চর্বি কমাতে  পুশ আপ ব্যায়াম করতে পারেন। এটি হাতে উপর ভর দিয়ে বুক ডাউন দিন। এই ভাবে যত বার পারেন করুন।
ওয়ার্কিংঃ আমাদের শরীরের জন্য ওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত শরীর চর্চার মধ্যে ওয়ার্কিং একটা। নিয়মিত হাঁটার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে সকালে আর বিকেলে। 
যোগ ব্যায়ামঃ শরীর সুস্থ আর সুন্দর রাখতে যোগ ব্যায়াম এর কোন  বিকল্প নাই। কোন নিড়িবিড়ি জায়গায় বা বাহিরের কোন ফাকা জায়গায় যোগ ব্যায়াম এর আসন পেতে বসে পড়ুন ধেন এ। চোখ বন্ধ করে একদম সোজা হয়ে এক পা অন্য পায়ের মধ্যে গুটিয়ে যোগ ব্যায়াম করতে বসে পড়ুন।জোরে জোরে শ্বাস নিন আর ছাড়ুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকুন।
জগিংঃ পেটের মেদ কমাতে জগিং অনেক সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে জগিং করতে পারেন। তাছাড়া ও আরও অনেক ব্যায়াম করতে পারেন যেমন
ফ্লাটার কিক
পেটের ট্রেচিং ইত্যাদি। 

পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়

ঘরোয়া ভাবে পেটে চর্মি কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানুন। সুস্থ শরীর ও শারীরিক সৌন্দর্য সবারই কাম্য। কিন্তু সারাদিনের ব্যস্ত জীবনযাপন বা বিভিন্ন কারণে এ সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে যায় অনেকেরই। কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে এর চর্বি কমানোর সম্ভব চলুন তাহলে বিস্তারিত জানি।কাঁচা মরিচ খাবার তালিকায় যোগ করবেন। পেটের মেদ জমতে বাধা প্রাপ্ত হবে। 

  • মেথিঃ মেথি চর্বি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মেথি ভিজানো পানি খেতে পারে। এটি দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া হজম শক্তি বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও চুলের যত্নে মেথির কোন তুলনা নাই।
  • ফলঃ পেটের চর্বি বা ওজন কমাতে সাহায্য করে গ্রীষ্মকালের একটি ফল মালা বার তেতুল। কলেস্টেলর কমাতে সাহায্য করে এটি।
  • আমলকিঃ আমলকি ও হরতকি ভেজানো পানি খালি পেটে খেতে পারেন। এটি পেটে চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
  • লেবুঃ সকালে উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস পান করতে পারেন। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের দ্রুত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
  • প্রোটিনঃ প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা খাবার তালিকা রাখবেন। প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরের পেশি গঠন এবং পেট ভরা অনুভূতি জাগায়। যার কারণে প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ করে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
  • জিরা পানিঃ প্রতিদিন জিরা পানি খেতে পারেন।বিশেষ করে  সকালে। এটি হজম শক্তি বাড়ায় এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
  • শস্যঃ শস্যজাতীয় খাবার খাবেন উচ্চ আশঁযুক্ত খাবার শরীরকে সুস্থ রাখে। তাছাড়াও পেটে চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
  • পানিঃ পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পানি খুবই উপকারী এবং তা আমরা সবাই জানি। খেতে পারেন শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে
  • মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ বা বিভিন্ন দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকবেন। কালটিসলের নামক হরমন মানুসিক চাপ বাড়াতে সাহায্য করে। যা আমাদের চর্বি বাড়াতে  ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। 

ব্যায়াম ছাড়া পেটের চর্বি কমানোর উপায়

ব্যায়াম ছাড়া চর্বি কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন। ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ গরম পানি পান করবেন। এটি তল পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। গরম পানি খাওয়ার ১৫ মিনিট পর মেথি ভজানো পানি খাবেন। মেথি আগের দিন ভিজিয়ে রেখে সকালে ফুটিয়ে পানি পান করবেন। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মেথি দিবেন। আবার চাইলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

রাতে ঘুমানোর আগে দারচিনি ও আদা। গরম পানিতে একটু ফুটিয়ে পানিটা খাবেন। এটি আমাদের পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও যে কোন দুই সময় পরিমাণ মতো পরিপূর্ণ খাবার গ্রহণ করবেন। দুপুরের খাবারে পরিপূন রাখবেন। রাতে ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে শরীরের ওজন বা চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। 

প্রতিদিন নিয়ম করে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। আমাদের শরীরের মেদ কমাতে কিন্তু ঘুমের কোন বিকল্প নাই। রাতের খাবারটা তাড়াতাড়ি শেষ করবেন। ব্যায়াম ছাড়াও নিয়মিত অভ্যাসগুলো আপনার জীবন যাত্রায় যুক্ত করতে পারলে। শরীর সুস্থ থাকা পাশাপাশি চর্বি কমাতেও অনেক সাহায্য করবে। এতে আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। 

তলপেটে চর্বি কমানোর উপায়

তলপেটে চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। চলুন তাহলে জেনে নিন। তলপেটে চর্বি যা শরীরের জন্য খুবই খারাপ। এটি মূলত শরীরের ফিটনেস বাজে ভাবে নষ্ট করে দেয়। তাছাড়াও শারীরিক ও বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এছাড়াও চলাচল করতে বা পছন্দ মত ড্রেস পড়তে অনেক সমস্যা হয়। তাবে তলপেটে চর্বি মহিলাদের এ সমস্যা বেশি হয়। একটা মহিলা সন্তান জন্ম দান করার পর।

মূলত তলপেটে অতিরিক্ত চর্বি জমতে বেশি শুরু করে। এ সময় নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব ও ফ্যাট জাতীয় খাবার শরীরের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। এছাড়াও আরো অনেকেরই এই সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত জ্যাঙ্কফুড বা অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ফলে তলপেটে চর্বি বৃদ্ধি পায়। এগুলো দূর করতে অবশ্যই আপনাকে দৈনিক অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করতে হবে। চলুন তাহলে পরিবর্তন গুলো জেনে নিন।

রাত জেগে এটা ওটা খাওয়া বন্ধ করবেন। অনিয়মিত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই হাবিজাবি রাত জেগে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অনেকেই আছেন চিপসের প্যাকেট, চানাচুর, আইসক্রিম, কেক মিষ্টি খেয়ে থাকেন। এগুলো থেকে বিরত থাকবেন। চেষ্টা করবেন সূর্যাস্তের পরেই যত দ্রুত সম্ভব রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া। এতে শর্করা চর্বি ও চিনি শরীরের জমতে পারবে না। 

  • খাবারের প্লেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ রাখা। সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার তালিকায় চর্বি মুক্ত আমিষ রাখা খুবই প্রয়োজন। চেষ্টা করবেন প্রতি বেলায় ২০ থেকে ৩০ গ্রাম আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া।
  • খাবারে শর্করা নির্বাচনের ব্যাপারে সতর্ক হবেন। পেটে চর্বি জমাতে শর্করা জাতীয় খাবার বেশি সাহায্য করে। সাদা চাল, সাদা আটা এই খাবারগুলো শর্করার জন্য অনেকাংশের দায়ী। দেহে শর্করার পরিমাণ কমাতে লাল চাল, লাল আটা, গোটা শস্য এই ধরনের খাবার বা বিভিন্ন খাবার খেতে পারেন।
  • কার্ডিওব্যায়াম পেটের চর্বি কমাতে প্রতিরোধ করে। এছাড়াও শরীরের ওজন কমাতে ও চর্বি কমাতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নাই। আপনার সুবিধা মত যে কোন ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারেন।
  • যেকোনো চর্বি কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। ঘুম আমাদের হরমোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সাথে আমাদের শরীর কে সুস্থ ও সুন্দর রাখে।

পেটের চর্বি কমাতে ১০ টি খাবার

পেটের মেদ কমাতে ১০ টি খাবার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। পেটের মেদ বা চর্বি এই সমস্যায় এখন অনেকেই ভুগছেন। পেটের মেদ কমাতে বিভিন্ন জন বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। অনেকেই আবার বিভিন্ন রকম ডায়েট করে। কিন্তু তারপরেও মেদ কমাতে পারে না। উল্টো আরও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। ডায়েট করার ফলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। সাধারণত এমন অনেক খাবার আছে
কিভাবে-পেটের-চর্বি-কমানো-যায়

যেগুলো আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি চর্বি বা মেদ কমাতেও সাহায্যে করে। চলুন তাহলে খাবার গুলো দেখে নিন।
  • ফুলকপিঃ পেটের চর্বি বা ওজন কমাতে সাহায্য করে এই ফুলকপি। ফুলকপির ক্যালোরি কম এবং আঁশ বেশি। তাই এটি খেলে ক্ষুধা ভাব দূর হয়। যার ফলে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও ফুলকপি তে থাকা উপাদান হরমোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। 
  • পালংশাকঃ পেটের চর্বি কমাতে পালংশাক ব্যাপক ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন রকম পুষ্টি গুনে ভরপুর এই পালংশাক। এতে কম ক্যালোরি এবং আঁশ বেশি। যা খেলে অনেক সময় ধরে পেট ভরা থাকে। এতে থাকা থাইলাকয়েড নামক উপাদান আপনার খাওয়ার চাহিদা বা ক্ষুদা ভাব ৯৫ শতাংশ কম করে দেয়। বিভিন্ন খাবারে যুক্ত করে আপনি পালংশাক খেতে পারেন। পালংশাক শাকে থাকা ম্যাগনেশিয়াম দেহের রক্তের শর্করা ঠিক রাখতে সাহায্য। যার কারণে ওজন বা চর্বি কমে।
  • শশাঃ শশা রুপচর্চা বা শরীরচর্চা দুটোর জন্যেই উপকারী। শশা আমাদের দেহের পানি বাড়াতে থাকে। যার ফলে পেট ভরা ভাব আসে। তাছাড়াও দূষিত উপাদান শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। 
  • করলাঃ খেতে তিতো স্বাদের এই করলা  আমাদের শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এটি অনেকেই পছন্দ করে না। কিন্তু আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে করলা ভাজি। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং পেটে চর্বি কমাতে সহায়তা করে। 
  • সবুজ চাঃ সবুজ চায়ে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করবে। তাছাড়া সবুজ চা মন কে প্রফুল্ল করে তুলে।
  • আঁশজাতীয় খাবারঃ রক্তের ইনসুলিন বৃদ্ধি করতে এ ধরনের খাবার সাহায্য করে। যা দেহের রক্তের শর্করা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে। 
  • বাদাম ও অলিভ অয়েলঃ পেটের বা শরীরের চর্বি বা মেদ কমাতে সহায়তা করে বাদাম ও অলিভ অয়েল। যদিও বাদাম ও অলিভ অয়েল থেকে ফ্যাট পাওয়া যায় তবুও অনেক উপকারী। কেননা শরীরের জন্য কিছু ফ্যাট প্রয়োজন।
  • সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছ থেকে আমরা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পায়। যা আপনার ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করবে। 
  • পানিঃ চর্বি কমাতে পানির ভূমিকা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। 
  • মসলাঃ মসলা নিয়েও আমরা ইতিমধ্যে মধ্যে আলোচনা করেছি উপরে। দেখে নিবেন। 

পেটের চর্বি কমাতে সকালের ৭টি অভ্যাস

পেটের চর্বি কমাতে সকালে সাতটি অভ্যাস গুলো কি চলুন জেনে নিন। মূলত অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ব্যায়াম, স্ট্রেস, অতিরিক্ত মদ্যপান, কম ঘুম, ও বংশগত কারণে আমাদের শরীরে বা পেটে চর্বি জমে। এছাড়াও আরো অনেক সমস্যার জন্য শরীরে মেদ জমতে পারে। সকালের নিয়মিত কিছু অভ্যাসের জন্য দূর হতে পারে আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি বা মেদের সম্যসা।

প্রতিটি কাজই সঠিক নিয়মে করলে। আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী হয়, চলুন তাহলে জানুন। সকাল টা আপনার শুরু হক ১ গ্লাস পানি দিয়ে। এটি আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। যা ওজন কমানোর পাশাপাশি চর্বিও কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে সকালে প্রতিদিন পানি পান করা উচিত। কমপক্ষে এক গ্লাস পানি যা সারাদিন আপনাকে এনার্জেটিক রাখতে সহায়তা করবে।

তাছাড়াও আপনি চিয়া সিড রাতে ভিজিয়ে সকালে খেতে পারেন। ওজন বা চর্বি কমতে এটিও দারুণ কাজ করে। এছাড়াও উষ্ণ গরম পানি ও লেবু খেতে পারেন। মেদ কমাতে লেবু রস ও পানি চমৎকার কাজ করে। তবে এগুলোর শুধু আপনাকে হাইড্রেট করবে না বরং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যাদের গ্যাস বা অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে তারা লেবু পানি খালি পেটে না খাওয়ায় উত্তম। 

মেডিটেশন করুনঃ অন্তত ১০ মিনিট দিনের শুরুতেই রাখুন মেডিটেশনের জন্য। স্ট্রেন ও বিভিন্ন মানসিক চাপ কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মেডিটেশন বেশ উপকারী। স্ট্রেস ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি পেটের চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ১০ মিনিট মেডিটেশন করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার হরমোন ব্যালেন্স রাখতে সাহায্য করবে এবং স্ট্রেস হ্রাস করবে। 

নিয়মিত ব্যায়ামঃ আমরা সবাই জানি চর্বি কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম এর কনো বিকল্প নেই। তবে সকালের ব্যায়াম বা শরীরচর্চা চর্বি কমাতে খুব সাহায্য করে। কিছু সহজ ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করে খুব সহজেই আপনি চর্বি বা মেদ কমাতে পারবেন। যেমন ইয়োগা,  জগিং, মর্নিং ওয়াক ও এইচআইআইটি ওয়ার্ক আউট করবেন। সকালের শুরুতেই ফ্রি হ্যান্ড এক্সাসাইজ করুন আগে। তারপর শরীর কে অ্যাকটিভ করে অন্য ব্যায়াম গুলো শুরু করুন। নিয়ম করে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করুন। দেখবেন তাড়াতাড়ি মেদ, ভূড়ি সব কমে যাবে। 

প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তাঃ চেষ্টা করুন সকালের নাস্তাটা ভালো করে করার। বিশেষ করে প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা করার। এতে সারাদিন আপনি এনার্জি পাবেন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে এবং খুদা ভাব দূর হবে। বার বার খওয়ার প্রবণতা কমবে। তাই সকালের নাস্তাটা রাজার মতো করার চেষ্টা করবেন। দুধ, ডিম, কলা, দই এবং প্রোটিন স্মুদির জাতীয় খাবার রখতে পারেন নাস্তায়।

সারাদিন এর রুটিন করুনঃ সারাদিন এর অভ্যাস ঠিক রাখতে রুটিন বা মিল প্ল্যানিং করা উচিত। সারাদিন কি  খাবেন আর কি খাবেন না তা আগেই ভেবে ফেলুন। এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। 
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ সকালের খাবার তালিকায় ফাইবার বা প্রোটিন দিয়ে শুরু করুন। এতে ক্ষুধা ভাব দূর হবে এবং পেটে চর্বি কমাতে সহায়তা করবে। শরীরকে ফিট রাখবে।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ আমরা ইতিমধ্যে বলেছি কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এবং শরীর ফিট রাখতে ঘুম কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম কিন্তু আপনার বেলি ফ্যাট দূর করতে অনেক সাহায্য করে। অনিয়মিত ঘুম আমাদের হরমন ইমব্যালেন্স করে দেয়। এতে খাবার খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং বেলি ফ্যাট বাড়তে সাহায্য করে। তাই অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘন্টা নিয়ম করে ঘুমান। ভালো ঘুম সারাদিন মনকে প্রফুল্ল ও সজীব রাখতে সাহায্য করে। 

শেষ কথাঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় 

কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। সাথে মেয়েদের পেটের চর্বি কমানোর উপায়, তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়, চর্বি কমানোর জন্য বিভিন্ন টিপস সহ আরও বিস্তারিত অনেক টপিক আলোচনা করেছি। আশা করছি যারা পেটের চর্বি বা মেদ এর সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারে আসবে।

মূলত নিয়মিত জীবন যাপন এর অভ্যাস এবং প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাস এগুলো অনিয়মিত হওয়ার জন্যেই পেটে চর্বি জমে। তাই আপনি যদি ফিটনেস ধরে রাখতে চান। তবে সবার আগে আপনার প্রতিদিনের রুটিন পরিবর্তন করুন। নিয়মিত খাওয়া, ঘুম, শরীরচর্চার একটি নিদিষ্ট অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দেখবেন ধিরে ধিরে নিজের অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url