কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার সহজ উপায় জানুন
আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনযোগ দিয়ে পড়বেন। কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে কতো টাকা খরচ হতে পারে এবং কোন কোন নিয়ম মেনে ভিসা প্রসেসিং করলে সহজেই ভিসা পাওয়া যায় এগুলো দেখুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কি কি লাগে
- কানাডার ভিসা থাকলে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
- কানাডা থেকে অবৈধ ভাবে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
- ইউরোপ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- ইতালি থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসায় প্রসেসিং সময়
- শেষ কথাঃ কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আমেরিকা আমাদের কাছে একটি স্বপ্নের দেশ। আমেরিকা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে বিভিন্ন ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অনেকেই যাওয়ার সুযোগ পায় না। আমেরিকায় মূলত উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ থাকায় এবং উচ্চ শিক্ষার উন্নত ব্যবস্থা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকায়।
কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার আগ্রহটা অনেকের বেশি কাজ করে। এখন কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার বেশ কয়টি উপায় রয়েছে। আপনি চাইলে পড়াশোনা করার জন্য কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে পারেন। তাছাড়াও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজ করার জন্য কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে পারবেন। আবার ট্রাভেল ভিসায় ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে পারেন।
এখন এগুলোর মধ্যে আপনি যে ভিসায় যেতে আগ্রহী সেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তার জন্য আপনি কোনো এজেন্সি সাহায্য নিতে পারেন। যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান। তবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়েও পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। এছাড়াও আমেরিকায় বিশ্বের সেরা বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থাকায়।
পড়াশোনার জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ ও বৃত্তিমূলক ব্যবস্থা গুলো দারুন। যা আপনার পড়াশোনার জন্য অনেক সাহায্য করবে। তাছাড়াও আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান। তবে ট্রাভেল ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। যেহেতু কানাডা ও আমেরিকা পাশাপাশি দেশ। সেহেতু আপনার যদি কানাডার বৈধ কাগজ থাকে। তবে খুব সহজেই বর্ডার ক্রস করে আমেরিকায় যেতে পারবেন।
আর যদি স্থায়ীভাবে আমেরিকা থাকতে চান। তবে অবশ্যই আমেরিকার ভিসা লাগবে। তবে আপনি চাইলে আবার অবৈধ ভাবে স্থূলপথে আমেরিকার যেতে পারবেন। অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, ম্যানিটোবা, কুৎবেক ইত্যাদি প্রদেশ আমারিকা ঘেঁষে আছে। কানাডার এই প্রদেশ গুলো দিয়ে ট্রেনে বা বাসে করে আমেরিকায় অবৈধভাবে যেতে পারবেন। তবে আকাশ পথে যেতে চাইলে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া আপনি যেতে পারবেন না।
তাই যদি স্থায়ীভাবে বসবাস বা কাজের জন্য যেতে চান। তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন বৈধভাবে যাওয়ার। আর এজন্য আমেরিকা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে প্রথমেই আপনাকে। আবেদনের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগবে আপনার। যেগুলো সঠিক থাকলে আপনি স্বপ্নে দেশ আমেরিকায় যেতে পারবেন। এখন আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নিচে উল্লেখ করা হলো চলুন বিস্তারিত দেখে নিন।
কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কি কি লাগে
কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে জানুন। প্রথমেই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে যা ইতিমধ্যে বলেছি। আপনি কোন ভিসায় যেতে চান। সেই ভিসার উপর নির্ভর করে। আপনাকে আবেদন করতে হবে। এইজন্য আপনার পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়াররেন্স, মেডিকেল রিপোর্ট সহ আরো অনেক ডকুমেন্ট লাগবে। তারপর আপনার প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট।
ঠিক থাকলে তবেই আপনি টিকিট কেটে কানাডা থেকে আমেরিকায় যেতে পারবেন। এবার চলুন তাহলে কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কি কি কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো দেখে নিন। পাসপোর্ট অবশ্যই ই পাসপোর্ট হতে হবে। পাসপোর্ট এর ন্যূনতম ৬ মাস পর্যন্ত মেয়াদ সম্পন্ন হতে হবে।
- আপনার মেডিকেল এর টেস্ট রিপোর্ট লাগবে
- আপনার ভোটার আইডি কার্ড অবশ্যই লাগবে। বিশেষ করে ফটোকপি লাগবে
- আপনার ছবি লাগবে, অবশ্যই সেটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি হতে হবে
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অর্থাৎ আর্থিক সামর্থের প্রমাণ লাগবে। এটি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বেশি লাগে
- ওয়ার্ক পারমিট এর কপি লাগবে যদি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তবে
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গেলে আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রমাণপত্র লাগবে
- স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে এডমিশন অফার লেটার লাগবে
- আইইএলটি এস টফেন পরীক্ষার সনদপত্র লাগবে
- এসএসসি ও এইচ এস সি এবং সমমানের পরীক্ষার সনদপত্র লাগবে
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর কপি লাগবে
এই ডকুমেন্টগুলো মূলত আপনার ভিসার ধরনের ওপর নির্ভর করে প্রয়োজন হবে। সেই ক্ষেত্রে আরো কিছু কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগতে পারে। বা বাদ পড়তে পারে উপরের কাগজপত্র থেকে। ধরেন আপনি যদি পড়াশোনার জন্য যেতে চান। তবে এক রকম কাগজপত্র লাগবে। এই ক্ষেত্রে আপনার এডমিশন অফার লেটার লাগবে। এটি আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়তে যাবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া লাগবে।
এছাড়াও ইংরেজি জানেন এমন পরীক্ষার সনদপত্র লাগবে। আবার কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে। আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সনদপত্র লাগবে। যার মাধ্যমে যাবেন তাদের কাছ থেকে ওয়ার্ক পারমিট নেওয়ার প্রয়োজন বা নিবেন। তারপর ভিসা প্রসেসিং কমপ্লিট হলে এবং ভিসা হাতে পেলে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় পাড়ি দিবেন। তাহলে বুঝছেন কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন।
কানাডার ভিসা থাকলে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- নিকারাগুয়াঃ কানাডায় ভিজিটর ভিসা দিয়ে বাংলাদেশ সহ আরো অন্য দেশে নাগরিকরা খুব সহজেই নিকারাগুয়া যেতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে বৈধ ব্যবহৃত মাল্টিপল এন্টি কানাডা ভিজিটর ভিসা ও এন্টি গ্রান্টেড এর সময়সীমা ৩০ দিন পর্যন্ত।
- কোস্টারিকাঃ কানাডা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে আপনি কোস্টারিকা যেতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন মাল্টিপর আন্টি বৈধ ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত কানাডা ভিসা এবং গ্রান্টেড সময়সীমা ৩০ দিন পর্যন্ত।
- পানামাঃ কানাডা ভিজিটর ভিসা দিয়ে পানামা দেশে যেতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজন হবে মাল্টিপল এন্টি কানাডা ভিজিটর ভিসা ও গ্রান্টিনের সময়সীমা ৩০ দিন। কানাডা ভিজিট ভিসা কমপক্ষে ছয় মাসের ভ্যালেন্ট হতে হবে। পানামা কমিশন থেকে পাসপোর্ট তিন মাসের জন্য ভ্যালেন্ট হতে হবে।
- উত্তর আমেরিকা মেক্সিকোঃ কানাডা ভিজিটর ভিসা দিয়ে চমৎকার দর্শনীয় স্থান জনপ্রিয় দেশ মেক্সিকোতে ঘুরে আসতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে মাল্টিপর আন্টি ভিজিটর ভিসা। আন্টি গ্রান্টেড নির্ভর করবে। কতদিন ভ্রমণ করবেন তার উপর, আর বৈধ পাসপোর্ট।
- ক্যারিবিয়ানদের অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডাঃ প্রায় ৩৬৭ এর বেশি বিচ রয়েছে এদেশে। অ্যান্টিগুয়া ও বর্বুডা তিনটি দ্বীপ দ্বারা মূলত গঠিত। অ্যান্টিভা বার্বুটা ভ্রমনের জন্য আপনার প্রয়োজন হবে। মাল্টিপল এন্টি ভিজিটর ভিসা। আন্টি গ্রান্টেড 3০ দিন। কানাডা ভিজিট ভিসার পাসপোর্ট এর মেয়াদ 6 মাস।
- কিউবাঃ কানাডার ভিজিটর ভিসার মাধ্যমে খুব সহজেই কিউবাতে যেতে পারবেন। এজন্য যা লাগবে এন্ট্রি মাল্টিপল ভিজিটর ভিসা। এন্ট্রি গ্রান্টেড ৩০ দিন এর মেয়াদ ও টুরিস্ট কার্ড।
- বারমুডাঃ বারমুডা যেতে পারবেন কানাডার ভিজিটর ভিসার মাধ্যমে। এইজন্য কিউবার মতো একই কাগজ গুলো লাগবে।
- জর্জিয়াঃ কানাডার ভিজিন ভিসা থাকলে বাংলাদেশ সহ অন্য যেকোন দেশের ব্যক্তিরা জর্জিয়া ঘুরতে পারবেন। আর এইজন্য আপনার লাগবে বৈধ ব্যবহারিত মাল্টিপল এন্টি কানাডা ভিজিটর ভিসা। জর্জিয়া যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার লাগবে বৈধ পাসপোর্ট, এন্টি গ্রান্টেড সময়সীমা ৯০ দিন। একটানা 90 দিন পর্যন্ত আপনি কানাডা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে থাকতে পারবেন। এছাড়াও জর্জিয়াতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই নব্বই দিনের বিরতি দেওয়া লাগবে। অর্থাৎ ১৮০ দিনের মধ্যে আপনি এক টানা নব্বই দিনের বেশি সময় জর্জিয়াতে থাকতে পারবেন না।
- মিশরঃ যেকোনো দেশের পর্যটক মিশর পছন্দ করেন। সারি সারি খেজুর গাছের বাগান, চিকচিকে বালু, সারি সারি উটের দেখা মিলবে মিশরে গেলে। অপরূপ সৌন্দর্য ভ্রমণের জন্য অনেকেই খুবই পছন্দ করে মিশর। আপনার কানাডা ভিসা থাকলে যেতে পারবেন এই মিশরে। এজন্য আপনার লাগবে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট। মাল্টিপল এন্টি ভিজিট ভিসা কানাডার। এন্টি গ্রান্টেড সময়সীমা ৩০ দিন পর্যন্ত। তবে আপনার ভিজিটি ভিসা থাকলেও অবশ্যই মিশরের প্রবেশের আগে নিতে হবে। আগে থেকেই পাসপোর্ট এর ভিজিট ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- মন্টিনেগ্রোঃ কানাডার ভিজিট ভিসা মাধ্যমে আপনি মেন্টিনেগ্রো দেশে যেতে পারবেন। আর এখানে যেতে আপনার যা লাগবে। অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট, বৈধ মাল্টিপল এন্ট্রি কানাডা ভিসা, এন্ট্রি গ্যারান্টেড এর সময়সীমা ৩০ দিন পর্যন্ত।
- উত্তর মেসিডোনিয়াঃ অন্যান্য দেশের মতো উত্তর মেসিডোনিয়া দেশেও আপনি যেতে পারবেন কানাডার ভিজিট ভিসার মাধ্যমে। আর এই ক্ষেত্রে আপনার যা লাগবে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট, বৈধ মাল্টিপল এন্টি কানাডার ভিসা, এন্টি গ্রান্টেডের সময়সীমা ১৫ দিন পর্যন্ত। উত্তর মেসিডোনিয়াতে অবস্থান করার ৫ দিন পর পর্যন্ত এই ভিসার মেয়াদ থাকতে হবে। এছাড়াও আপনি মোট ৯০ দিন পর্যন্ত উত্তর মেসিডোনিয়াতে থাকতে পারবেন। তাছাড়া 90 দিনের বেশি আপনি থাকতে পারবেন না।
- ব্রিটিস ভার্জিন আইল্যান্ডসঃ বাংলাদেশ সহ অন্য যেকোন দেশের ব্যক্তিরা কানাডার ভিজিট ভিসার মাধ্যমে বৃটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের খুব সহজে যেতে পারবেন। আর এইজন্য আপনার থাকতে হবে। বৈধ পাসপোর্ট, বৈধ ব্যবহৃত মাল্টিপল এন্টি ভিজিট ভিসা। এছাড়াও আপনার ভিজিট ভিসা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস আসার দিন পর্যন্ত ছয় মাসের বৈধ থাকা লাগবে। সময়সীমা ১৮০ দিন থাকতে হবে।
- টার্কস ও কেইকোসঃ ভিজিট ভিসার মাধ্যমে আপনি টার্কস ও কেইকোস দেশে যেতে পারবেন। আর এই জন্য আপনার লাগবে। বৈধ পাসপোর্ট, বৈধ ব্যবহৃত মাল্টিপল আন্টি ভিজিট ভিসা, ভিজিট ভিসা আন্টি গ্রান্টেড এর সময়সীমা নম্বর দিন পর্যন্ত ইত্যাদি। এই দেশ গুলোতেও কানাডার ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন।
কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এটি অনেকে জানতে চান। তবে কানাডা থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে। আপনি কার মাধ্যমে আবেদন করবেন তার উপর বা কোন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তার উপর। এখন যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান। তবে বিভিন্ন এজেন্সি বিভিন্ন রকম টাকা চাইবে। আর এই ক্ষেত্রে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে আপনার খরচ পড়বে বেশি।
আবার আপনি যদি নিজে আবেদন করেন। সেই ক্ষেত্রে খরচ পড়বে কম। তবে আপনি নিজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি অভিজ্ঞতা থাকে আপনার তবেই। তাছাড়া অভিজ্ঞতা না থাকলে। নিজে আবেদন না করাই ভালো হবে। তারপর আপনি যদি আবার বাংলাদেশ থেকে কানাডা। তারপরে আমেরিকা যেতে চান তবে সেই ক্ষেত্রে খরচ হবে ভিন্ন। আবার কানাডার স্থায়ী কেউ কোন ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোন কারণে যেতে চাই।
তবে সে ক্ষেত্রে খরচ কম হবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কানাডা থেকে আমেরিকা 50 হাজার থেকে 2 লাখ টাকা। ওয়ার্ক পারমিটের জন্য লাগতে পারে তিন থেকে চার লাখ টাকা এবং ট্রাভেল ভিসার জন্য আমেরিকা যেতে লাগতে পারে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। আবার সময় অনুযায়ী কম বেশি ও লাগতে পারে। তাহলে আশা করি বুঝছেন, কেমন খরচ হতে পারে।
কানাডা থেকে অবৈধ ভাবে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
কানাডা থেকে অবৈধ ভাবে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই ভেবে থাকেন। বিশেষ করে অনেক বাংলাদেশী কানাডা যাওয়ার পর অবৈধ ভাবে আমেরিকা যেতে চান। আপনি চাইলেই কানাডা থেকে আমেরিকা অবৈধভাবে যেতে পারবেন। তবে এই ভাবে যাওয়াটা অনেকটা ঝুঁকি পূণ্য। তাই এভাবে না যাওয়াই উত্তম। কানাডা ও আমেরিকা পাশাপাশি দেশ হওয়ায় অবৈধ ভাবে অনেকেরই যাওয়ার আগ্রহটা বেশি।
কিন্তু অবৈধ ভাবে যাওয়ার পর যদি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন একবার। তবে মোটা অংকের জরিমানা ও জেল হতে পারে আপনার। তাই অবৈধ ভাবে না গিয়ে, বৈধভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আমেরিকায় অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বৈধভাবে গিয়ে সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন। তাছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য চমৎকার চমৎকার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও ফুল টাইম, পার্ট টাইম অনেক ধরনের জব রয়েছে। যেগুলো করে আপনি সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। এছাড়াও স্কলারশিপ নিয়ে যদি আমেরিকায় যেতে পারেন। তবে পড়াশোনার খরচের জন্য খুবই ভালো হবে। নিশ্চিতে পড়াশোনা শেষ করে সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এটি অনেকেই জানতে চান। চলুন তাহলে এই ব্লগের মাধ্যমে জেনে নিন। পূথীবির মধ্যে সবথেকে শক্তি শালী ও সুন্দরতম দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ আমেরিকা। আমেরিকা আমাদের বাংলাদেশীদের কাছে একটি স্বপ্নের দেশ। বাংলাদেশের অনেকেই আমেরিকায় ভ্রমন করতে বা কাজের উদ্দেশ্য যেতে চান।
কেউ আবার পড়াশোনা বা উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে চান। তাছাড়াও আনেকেই আবার স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যেতে চান। অর্থনেতিক দিক দিয়ে এবং শাসন ক্ষমতার দিক দিয়ে অন্যতম দেশ আমেরিকা। তাছাড়াও চোখ জুড়ানো আমেরিকার রুপ। আমি নিজেও খুব পছন্দ করি আমেরিকা। অপরুপ সৌন্দর্য ও পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন, মনোমুগদ্ধকর প্রকূতি দিয়ে ভরা আমেরিকা।
এছাড়াও আমেরিকায় বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড রয়েছে। যা আমাদের দেশে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। এখন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে খরচের বিষয় টা পুরোই নির্ভর করে আপনি কোন ভিসায় যাবেন তার উপর। কেননা স্টুডেন্ট ভিসায় জন্য খরচ এক। চিকিৎসার জন্য খরচ হবে আরেক রকম। আবার ওয়ার্ক পারমিট ও টুরিস্ট ভিসায় ভিন্ন।
প্রতিটি ক্যাটাগরির ভিসার খরচ আলাদা। তারপরও কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাইলে আপনার খরচ হতে পারে বর্তমানে ২৫-৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। সাধারনত এজের্ন্সির মাধ্যমে খরচ বেশি হয়। তাছাড়া নিজে অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন থেকে, ভিসা পাওয়া পর্যন্ত খরচ হতে পারে ৪-৫ লাখ। এছাড়াও সময় সাপেক্ষ বা এজেন্সি অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে খরচ।
ইউরোপ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
ইউরোপ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন। আমরা ইতিমধ্যে ভিসা প্রসেসিং এর বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। তারপরও আপনাদের সুবির্ধাথে ইউরোপ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করছি। আপনারা অনেকেই আছেন যারা ইতিমধ্যে ইউরোপে গেছেন। কিন্তু এখন ইউরোপ থেকে আরও উন্নত দেশ আমেরিকায় যেতে চাচ্ছে।
তাদের জন্য কয়েকটি ভিসায় আবেদন করার সুযোগ রয়েছে আমেরিকা যাওয়ার। ওর্য়াক পারমিট, স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তারজন্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে আপনার। চলুন তাহলে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে আপনার ভিসার আবেদন এর জন্য দেখে নিন।
- আমেরিকা যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন ফরম
- বৈধ পাসপোর্ট এবং তা সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে
- মেডিকেল টেস্ট সার্টিফিকেট
- একাডেমি সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার। এটি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়।
- আইইএলটিস বা টোফেল সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ডকুমেন্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
- কাজের ভিসার জন্য যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- ট্রাভেল ভিসার জন্য পূবের ট্রাভেল ভিসার প্রমাণ
- অন্যান্য আরও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
ইউরোপ থেকে আমেরিকা যেতে হলে উপরের এই ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন হবে আশা করছি বুঝেছেন। এছাড়াও কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস উপরে উল্লেখ করেছি।
ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে এবার বিস্তারিত আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো। আমরা ইতিমধ্যে কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে আসছি। এখন ভারত থেকে আমেরিকা কিভাবে যাবেন চলুন জেনে নিন। মূলত ভারত থেকে যে কোনো দেশের ভিসা, বাংলাদেশের তুলনায় তারাতাড়ি পাওয়া যায়। এমন অনেকেই আছেন যারা বাংলাদেশী শুধু ভিসার জন্য ভারত গেছেন।
তাছাড়াও আমেরিকা অনত্যম একটি জনপ্রিয় দেশ। অনেক ডকুমেন্ট নিয়ম নীতি মেনে তারপর ভিসা পাওয়া যায়। তারপর অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। সহজেই আমেরিকার ভিসা পাওয়া যায় না। এই ক্ষেত্রে ভারত থেকে আবেদন এর পর ভাগ্য ভালো হলে কয়েক মাস পর ভিসা পেতে পারেন। যেমন স্টুডেন্ট ভিসায় সঠিক ভাবে নিয়ম অনুযায়ি আবেদন করলে।
কয়েক মাস পর ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেকটাই। অন্য দিকে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য হলে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পযন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। আর ভিসা আবেদন এর জন্য প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগে তা আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করে আসছি। আশা করছি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং জেনে নিবেন।
ইতালি থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
ইতালিতে গিয়ে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের আর্টিকেলে। অনেকেই আছেন যারা ইতালি যাওয়ার পর ভাবেন কিভাবে আমেরিকায় যাওয়া যায়। তবে ইতালি থেকে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পাওয়া সহজ। এছাড়াও আমেরিকা যাওয়ার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। আপনি চাইলে স্পাউস ভিসার মাধ্যমে আমেরিকায় যেতে পারেন।
এই জন্য আমেরিকায় আপনার পরিচিত বা ফ্যামিলির কেউ থাকলে সুবিধাটা বেশি। আবার পড়াশোনা করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যেতে পারেন। মূলত ইতালি আমেরিকা দুটোই উন্নত দেশ। তারপরেও আমেরিকা পুরো পৃথিবীর মধ্যে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই আমেরিকায় জীবনে যাপন করাটা অনেকের পছন্দ।
আপনি উপরে উল্লেখিত যেকোন ভিসার মাধ্যমে আবেদন করে খুব সহজেই আমেরিকা যেতে পারবেন। তবে এজন্য আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। সঠিক কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য কোন এজেন্সির বা দালালের সহযোগিতা নিতে পারেন। দালালের বা এজেন্সির মাধ্যমে আবেদনের জন্য খরচটা একটু বেশি হতে পারে।
তবে ইতালি থেকে আমেরিকায় ভিসা আবেদন করলে সহজে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি যদি ফ্যামিলি ভিসায় যেতে চান। তবে ফ্যামিলি ভিসায় যেতে যে যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেগুলো সঠিকভাবে জমা দিবেন। তাছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ভিজিট ভিসায় আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগে তা আমরা উপরে উল্লেখ করেছি দেখে নিবেন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। সাধারণত আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বেশ কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। যেগুলো সঠিকভাবে মেনে ভিসা আবেদন করলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তবে আপনি কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আমেরিকা যেতে আপনি আবেদন করতে পারেন স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্পাক পারমিট ভিসা, ফ্যামিলি ভিসা, ডাইভারসিটি ভিসা লটারি।
এখন এই ভিসা গুলোর মধ্যে কোনটা আবেদন করতে কি কাগজপত্র লাগবে এগুলো জানাবো চলুন জেনে নিন। স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদনের জন্য কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন এটা আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করলে ভিসা পাওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি। আর আপনরা একাডেমি ফলাফল ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকলে কম সময়ের মধ্যে আপনি আমেরিকায় ভিসা পেয়ে যাবেন।
স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সুযোগটা যে কোন দেশে খুব বেশি থাকে। যদি আপনার কাগজপত্র সঠিক থাকে। তবে স্টুডেন্ট ভিসায় যেকোনো দেশে আপনি খুব সহজে যেতে পারবেন। এছাড়া অন্যান্য ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয়। কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে ভিসার জন্য। তবে আমেরিকার যদি আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন বা ফ্যামিলির কেউ থাকে। তবে খুব সহজে আপনি ভিসা পেতে পারবেন।
এছাড়াও ডাইভারসিটি ভিসা লটারি মাধ্যমে যেতে পারবেন। এটি মূলত গ্রীন কার্ড লটারি হিসেবে পরিচিত। প্রত্যেক বছর এরকম একটি লটারি মাধ্যমে গ্রীন কার্ডের আবেদন করার সুযোগ দিয়ে থাকেন। এগুলোর মাধ্যমে চাইলে আপনি আমেরিকায় যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যেতে আপনার কাগজপত্র সঠিক হলে ভিসা পাওয়ার পর বিমানের টিকিট কেটে আপনি প্রথমে ডুবাই তারপর আমেরিকা যেতে পারবেন।
এই জন্য আপনার সময় লাগতে পারে। আনুমানিক ২৬ থেকে ৩৫ ঘন্টা সময় লাগতে পারে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার যেতে। আর বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে খরচ হতে পারে কমপক্ষে আনুমানিক ২৪ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে টাকার খরচটা নির্ভর করে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপর। আপনি কোন ভিসার মাধ্যমে যাবেন তার উপরে। প্রতিটা ভিসার জন্য আলাদা খরচ লাগে এবং ভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
বাংলাদেশ থেকে কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসায় প্রসেসিং সময়
বাংলাদেশ থেকে কানাডা টুরিস্ট ভিসায় প্রসেসিং সম্পর্কে এই পযার্য়ে আলোচনা করবো। ভ্রমন করার জন্য অনেকেরই পছন্দের দেশ কানাডা। ভ্রমন প্রিয় ব্যক্তিদের কাছে কানাডা একটি জনপ্রিয় দেশ। বাংলাদেশ এর মতো আরও অনেক দেশেই, কানাডায় ভ্রমন করতে পছন্দ করে। কানাডায় ভ্রমনের জন্য রয়েছে টরেন্টো, ভ্যানকুভার, কুইবেক ইত্যাদি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।
তাছাড়াও উন্নত জীবনযাপন, অর্থনৈতিক ও পড়াশোনার দিক থেকেও কানাডা অনেকের পছন্দের দেশ। এছাড়াও সুন্দর আবহাওয়া ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশে, পর্যটকের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে কানাডা। এখন ভ্রমনের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে আপনার ভিজিট ভিসা। তবে এই ভ্রমন এর জন্য ভিসা প্রসেসিং একটু কষ্টকর। তাছাড়া সম্পুর্ণ নিয়ম নীতি অনুযায়ী আবেদন করলে ভিজিট ভিসা পাওয়া যায় সহজেই, তবে একটু সময় লাগে।
আর এইজন্য আপনাকে অবশ্যই কানাডার ভিজিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে মানতে হবে। আর অবশ্যই আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট বৈধ হতে হবে। পাসপোট এর সর্বনিম্ন মেয়াদ অবশ্যই ৬ মাসের থাকতে হবে। পাসপোর্ট না থাকলে নতুন পাসপোর্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর আপনার সব ডকুমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত কানাডাডিয়ান কোন ভালো এমবাসিতে জমা করে দিবেন।
এই ক্ষেত্রে আপনার আরও কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। যেমন অন্য আরও কয়েকটি দেশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা, আর্থিকভাবে সচ্ছলতা প্রমাণ অর্থাৎ ব্যাংক স্টেটমেন্ট। এগুলো তো হলো যোগ্যতা আপনার। এবার চলুন কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো দেখুন। আপনার ভিসা আবেদন করার জন্য যে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে সেগুলো বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
- ভিজিট ভিসা আবেদন ফরম
- ভোটার আইডিকার্ডের ফটোকপি, অবশ্যই আবেদনকারীর
- বৈধ পাসপোর্ট ৬ মাস মেয়াদি
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- সদ্য উঠানো পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- বিবাহিত হলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
কানাডা ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বায়োমেট্রিক জমা দেওয়া টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনার আঙুল এর ছাপ, ও ছবি দেওয়া লাগবে। এই ডকুমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে নিয়ে তারপর এজেন্সিতে জমা দিবেন। জমা সঠিক ভাবে হলে ভিসা প্রসেসিং টাইম ১ থেকে ২ মাস এর মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে ডকুমেন্ট এর কোন সমস্যা থাকলে সেই ক্ষেত্রে একটু দেরি হতে পারে।
তাছাড়া এক থেকে দুই মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন আপনার ভিজিট ভিসা। এছাড়াও কানাডা ভিজিট ভিসায় যেতে আপনার মোট খরচ হতে পারে ৫ থেকে ৬ লাখ। অবশ্যই ভিজিট ভিসায় দেশ ভ্রমনের জন্য আপনার আর্থিক সচ্ছলতা থাকা লাগবে। এটি আবার বিভিন্ন সময় ও বিমানের টিকিট এর মূল এবং এজেন্সির জন্য খরচ কম বেশি হতে পারে এটি মনে রাখবেন।
শেষ কথাঃ কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত প্রয়োজনীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। সাথে কানাডা থেকে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা প্রসেসিং, বিভিন্ন নিয়ম নীতি, ইউরোপ থেকে কানাডায় যাওয়ার উপায়, ভারত থেকে কানাডায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আরও জানিয়েছি টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন এবং উপকূত হয়েছেন। এখন নিয়মনীতি মেনে আপনিও যেতে পারেন স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। যদি আপনার ডকুমেন্টস গুলো সঠিক থেকে। তবে আশা করা যায় ভিসা পাওয়ার জন্য কোন সমস্যা হবে না। তবে যদি যেতে পারেন তো পড়োশোনা করে দারুন ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন। সুন্দর পরিবেশে সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরি করে জীবন যাপন করতে পারেন।
লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url