বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। মূলত যেসব মায়েদের ছোট ফুটফুটে বাচ্চা রয়েছে এবং কিছুদিন এর মধ্যে দাঁত উঠবে সেসব মায়েদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। 

বাচ্চাদের-দাঁত-ওঠার-সময়-করণীয়

এছাড়াও আজকের আর্টিকেল থেকে বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ, বাচ্চাদের দাত ওঠার বয়স সহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ সময় বাচ্চারা কোন খাবার ঠিকমতো খেতে চাই না।  ঘুমাতে চাই না। যার কারণে শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। তবে চলুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। মূলত সৌন্দর্যের আরেকটি অংশ হলো দাঁত। তার ওপর আবার শিশুদের দাঁত আরো আকর্ষণীয় লাগে। বাচ্চাদের নরম তুলতুলে মুখের ছোট ছোট দাঁত দেখতে চমৎকার লাগে। বাচ্চাদের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফোকলা দাঁতের মিষ্টি হাসি। মূলত ছয় মাস থেকে ৯ মাস এর মধ্যে বাচ্চাদের দাঁত ওঠা শুরু হয়।

অনেকের আবার এর আগেই উঠে যায়। সাধারণত ছোট শিশুদের শরীর অনেক নরম থাকে। তাই তাদের মাড়ি অনেক তুলতুলে নরম হওয়ার ব্যাথা পায় বেশি। এজন্য এ সময় বাচ্চাদের দাঁত ওঠার দিকে খুবই যত্নশীল থাকা উচিত। বাচ্চার মায়েদের বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। কেননা এ সময় বাচ্চাদের অনেক রকম শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। তাই মায়েদের বাচ্চাদের ওপর বিশেষ যত্ন রাখার দরকার হয়। 

এতে বাচ্চার দাঁত ওঠার জন্য সাহায্য করবে ভালো। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় বিষয়গুলো জেনে নিন। প্রথমত ছোট বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় মাড়ি ব্যথা থাকে অনেক। যেহেতু বাচ্চাদের মাড়ি অনেক নরম হয় সেহেতু মায়েদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে এ সময়। বাচ্চাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। কেননা বাচ্চারা যে কোন কিছু সহজে মুখে দেয়।

এজন্য তাদের হাতে কোন ফলের টুকরা বা সবজি ভালো ভাবে পরিষ্কার করে হাতে দিতে পারেন। এছাড়াও কোন খেলনা দিতে পারেন। কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিবেন। যাতে তারা মুখে দিলেও কোন জীবাণু ভিতরের না যেতে পারে। এছাড়াও বাচ্চার হাত পা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। এতে বাচ্চা শরীর সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে সাহায্য করবে।

  • বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় মুখ দিয়ে লালা পড়তে থাকে। তাই বারবার পরিষ্কার করে দিবেন এবং নরম কাপড় সাথে পেঁচিয়ে দিতে পারেন। 
  • অতিরিক্ত ব্যথায় বাচ্চারা অস্বস্তি বোধ করে। কান্নাকাটি করে, শান্তি পায় না এ সময় চাইলে একটু মাড়ি ম্যাসাজ করে দিতে পারেন।  
  • বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় মাড়ি অনেক ব্যাথা থাকে। ফলে কোন খাবার সহজে খেতে চায় না। এজন্য বাচ্চাদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। চাইলে এ সময় আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
  • বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় ঠান্ডা খাবার গুলো খাওয়াইতে পারেন এতে বাচ্চা খেয়ে শান্তি পাবে। গরম খাবার না দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • বাচ্চাকে প্রতিদিন নিয়ম করে অবশ্যই বুকে দুধ খাওয়াবেন। এটি বাচ্চার ব্যাথা দূর করতে অনেকটা সাহায্য করবে।
  • বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় মাড়ি অনেক শিরশির অনুভব হয়। এবং বাচ্চা অস্বস্তিবোধ করে। এক্ষেত্রে আপনি নরম যুক্ত মাজন ব্রাশ হাতে দিতে পারেন। এটি বাচ্চা চিবালে অনেকটাই আরাম পাবে। 
  • এ সময় বাচ্চা অনেক কান্নাকাটি করে। কোন কিছু ভালো করে খেতে চায় না। তাই বাচ্চাকে চিবানোর জন্য ওয়াশ ক্লথ দিতে পারেন। এতে বাচ্চা ভালো লাগবে।
  • দাঁত ওঠার সময় মাড়ি ফুলে থাকে ব্যাথা করে। এ সময় অবশ্যই বাচ্চার মাড়ি বারবার পরিষ্কার করে দিবেন। বিশেষ করে খাবার খাওয়ানোর পর। যেনকোন খাবার মাড়িতে লেগে না থাকে।
  • বাচ্চাকে সব সময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করবেন। এ সময় শিশুর মন মেজাজ ভালো থাকে না। কোন কিছু ভালো লাগে না তার। তাই ভালো ভালো খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে পারেন।
  • শিশুদের এ সময় মিষ্টি খাবার কম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে রাতে একদমই খাওয়াবেন না। এতে বাচ্চার মাড়ি বেশি ব্যথা হতে পারে।
  • এছাড়াও অতিরিক্ত বাচ্চা অস্বিরতা৷ করলে অস্বস্তিতে এবং শরীর খারাপ হলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিবেন।

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ সম্পর্কে এবার জেনে নিন। মূলত বাচ্চাদের দাঁত বিভিন্ন কারণে ওটতে দেরি হতে পারে। অনেকের খুব তাড়াতাড়ি দাঁত উঠে। আবার অনেক বাচ্চার দাঁত উঠতে কিছুটা দেরি হতে পারে। বিভিন্ন কারণে জন্য এ সমস্যা গুলো হতে পারে। বিভিন্ন হরমোন জনিত বা পুষ্টি সমস্যার জন্য এ সমস্যা গুলো হতে পারে। এতে চিন্তা কোন কিছু নেই। চলুন তাহলে বাচ্চার দাঁত না ওঠার কারণ গুলো দেখে নিন।

  • পুষ্টির ঘাটতিঃ অনেক বাচ্চা অপুষ্টিতে ভূগে থাকে। সঠিক পরিমাণ পুষ্টি না পাওয়ায় এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যদি ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম এর অভাব দেখা দেয়। তবে বাচ্চার দাঁত দেরিতে উঠতে পারে।
  • প্রি ম্যাচুরিটি শিশুঃ অনেক বাচ্চার এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রি ম্যাচুরিটি শিশুদের একটু দেরিতে দাঁত ওঠতে পারে অন্যান্য শিশুদের তুলনায়।
  • জেনেটিক বা বংশগত কারণঃ অনেক শিশুর জেনেটিক বা বংশগত কারণে জন্য দেরিতে দাঁত ওঠে। বংশে যদি অন্য কোন ভাই বোনদের এই সমস্যা হয়। তবে শিশুটিরও এমনটি হতে পারে।
  • ভিটামিনের ঘাটতিঃ বিভিন্ন ভিটামিনের সমস্যা জন্য দাঁত ওঠতে দেরি হতে পারে। তাছাড়াও বিভিন্ন জন্মগত কিছু সমস্যার জন্য দাঁত  দেরিতে উঠতে পারে যেমন হাইপোথাইরয়েড।
  • পরিবেশগত কারণঃ বিভিন্ন পরিবেশগত কারণেও শিশুদের দেরি হতে পারে দাত ওটতে। বিভিন্ন জায়গার পরিবেশ আবহাওয়া বিভিন্ন রকম হয়। সেক্ষেত্রে এর প্রভাব বাচ্চাদের উপর পড়তে পারে। তাই এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কিছু নেই।
  • ওষুধের প্রভাবঃ বিভিন্ন ধরনের বাচ্চাদের রোগ বালাই থেকে  রক্ষা করার জন্য। অনেক রকমের মায়েরা ওষুধ প্রয়োগ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এই ওষুধগুলোর প্রভাবে বাচ্চার দাঁত  দেরিতে উঠতে পারে।
  • হরমোন গত সমস্যাঃ অনেক বাচ্চা আছে হরমোনগত বা ভিটামিনের সমস্যার জন্য দেরিতে দাঁত ওঠতে পারে। তবে এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তারপরও অতিরিক্ত চিন্তিত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। 

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানুন। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় অনেক সমস্যা হয়ে থাকেন। এজন্য বাচ্চার মায়েদের অবশ্যই শিশুদের দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত এবং এ সময়ে বাচ্চাদের বাড়তি যত্ন ও বিশেষ কিছু করণীয় কাজগুলো সঠিকভাবে করা উচিত। আমরা ইতিমধ্যে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে আসছি। এখন চলুন লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানুন।

দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়াঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণের মধ্যে একটি হলো বাচ্চার দাঁতের মাড়ি ফুলে ওঠা। আপনি যদি লক্ষ্য করেন আপনার বাচ্চার দাঁত এর মাড়ি অনেকটাই ফুলে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনি বুঝে নেবেন বাচ্চার দাঁত উঠতে শুরু করছে। এ সময় বাচ্চাদের একটু যত্ন নিবেন কেননা বাচ্চারা এ সময় অনেকটা ব্যথা অনুভব করে।

কামড়ানোর প্রবণতা বেড়ে যায়ঃ শিশুর দাঁত ওঠার লক্ষণের মধ্যে আরেকটি হলো কামরানোর প্রবণতা বেড়ে যায়। এ সময় বাচ্চার দাঁতের মাড়ি শিরশির অনুভব করে এবং বাচ্চা যে কোন কিছু শুধু কামড়াতে চাই। আপনি যদি লক্ষ্য করেন আপনার সন্তান এরকম করছে তো বুঝে নিবেন কিছুদিনের মধ্যেই নতুন দাঁত গজাবে।

রুচি কমে যাওয়াঃ  দাঁত ওঠার লক্ষণের মধ্যে আরেকটি হল রুচি কমে যাওয়া। এ সময় বাচ্চার মাড়ি ব্যথা থাকে ফলে বাচ্চা কোন কিছু খেতে চায় না। বাচ্চার মেজাজ খিটখিটে  থাকে। অতিরিক্ত কান্না করে। কোন কিছু ভালো লাগে না। কোন কিছু খায় না শরীর খারাপ করে। এরকম হলে বুঝে নিবেন বাচ্চার দাঁত ওঠবে।

কান বা মাথা চুলকানোঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণের মধ্যে এটি একটি। এ সময় বাচ্চারা কান, মাথা চুলকাতে থাকে। যেহেতু বাচ্চার দাঁতের মাড়ি ব্যথা থাকে। সেজন্য বাচ্চা বারবার কান মাথা চুলকাতে থাকে। যদি দেখেন বাচ্চার মধ্যে এই লক্ষণগুলো তবে বুঝবেন বাচ্চার দাঁত উঠবে।

অস্থিরতাঃ অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া বাচ্চার দাঁত ওঠার আরোও একটি লক্ষন। এ সময় বেশিরভাগ শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে যায়। কোন কিছু ভালো লাগে না। ছটফট করতে থাকে। বেশি জ্বালাতন করে কোন কিছু খেতে চায় না। ঠিকমতো ঘুমায় না, কান্নাকাটি বেশি করে, খেলনা দিলেও খেলতে চায় না। বাচ্চা তার মাকে ছাড়তে চায় না। কারো কাছে যেতে চাই না। 

বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় জ্বর

বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় জ্বর কেন হয় চলুন জানুন জেনে নিন। মূলত বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় দাঁতের মাড়ি ব্যথা থাকে। বাচ্চারা শান্তি পায় না এই ক্ষেত্রে বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এতে অনেক মা মনে করেন বাচ্চাদের জ্বর হয়েছে। কিন্তু এ তাপমাত্রা কখনোই ১০১ ডিগ্রী থেকে অধিক হয় না। যদি এর থেকে অধিক হয় তবে ধরে নেবেন বাচ্চার অন্য কোন কারণে জন্য জ্বর হতে পারে।

বাচ্চাদের-দাঁত-ওঠার-সময়-করণীয়

এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তাছাড়া বাচ্চাদের মুখ অনেক নরম যার কারনে দাঁত ওঠার সময় মারি ফুলে যায় ব্যথা হয়, লাল হয়ে যায়, শক্ত হয়ে যায়, দাঁত উঠে এসময় বাচ্চাদের অনেকটাই কষ্ট হয়। এজন্য বাচ্চাদের গায়ের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ জ্বর হলে চিন্তিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। কিছুদিন পর ঠিক হয়ে যাবে। তবে অতিরিক্ত জ্বর হলে বা অনেক দিন স্থায়ী হলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিতে পারেন।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পায়খানা

বাচ্চাদের দাঁত ওটার সময় পায়খানা কেন হয় এ সম্পর্কে চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নিন। মূলত দাঁত ওঠার সময় বিভিন্ন বাচ্চার বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কোন বাচ্চা ডায়রিয়া হতে দেখা যায়। আবার কোন বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। তবে বেশিরভাগ সময় বাচ্চাদের ডায়রিয়া বেশি হয়। কেননা এ সময় বাচ্চাদের মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা পড়ে এবং এর লালা মাধ্যমে বিভিন্ন জীবাণু বাচ্চার ভিতরে চলে যায়।

যার কারণে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে পাতলা পায়খানার সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়াও এ সময় বাচ্চারা বিভিন্ন জিনিস কামড়াতে চায়। যার মাধ্যমে বিভিন্ন অপরিষ্কার জিনিস থেকে ব্যাকটেরিয়া জীবাণু প্রবেশ করে। যার কারণে পায়খানার মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও এ সময় বাচ্চাদের খাদ্য অভ্যাস গুলো পরিবর্তিত হয়।

কেননা এ সময় বাচ্চাদের দাঁতের মাড়ি শিরশির করে ব্যথা অনুভব হয় ফুলে যায়। তাই বাচ্চার মায়েরা চেষ্টা করেন শক্ত কোন খাবার বা কোন ফলের টুকরা হাতে দিয়ে রাখতে। যার ফলে শক্ত খাবার গুলো বাচ্চার সহজে হজম করতে পারে না। এজন্য এ সময় পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা বাড়তে পারে।তবে অতিরিক্ত সময় পার হয়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। 

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় বমি

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় বমি করে কেন এ সম্পর্কে জেনে নিন। মূলত বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। কেননা এ সময় ছোট বাচ্চাদের শরীর অনেক নমনীয় থাকে। সহজে বাচ্চারা ব্যথা অনুভব করে। যার ফলে বিভিন্ন কারণে বাচ্চারা বমি করে থাকে। তাছাড়া এই সময় বাচ্চারা হাতের কাছে যা পায়, সেটাই মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে। যার কারণে বমি করতে পারে।

এছাড়াও বাচ্চারা এই সময় কোন কিছু খেতে চায় না। শরীর খারাপ থাকে এজন্য বমি করতে পারে। অনেক সময় বাচ্চারা এ সময় অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে,যার ফলে বমি করতে পারে। বমি করতে পারে অতিরিক্ত অস্থিরতাবোধ করলে। আবার অনেক বাচ্চা অতিরিক্ত ব্যথায় শরীরের জ্বর আসে। এজন্য বমি করতে পারে। আবার অনেক বাচ্চার পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। শরীরে বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দেয় 

এবং শরীর সবসময় খারাপ থাকে এজন্য বমি করতে পারে। অনেক বাচ্চা আবার এ সময় কাশি হয়, যার কারণেও বমি করতে পারে। তাই বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় বমি করা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। বাচ্চার ঠিকমত যত্ন নিলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এছাড়াও অতিরিক্ত বাচ্চা বমি করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। বাচ্চাদের যত্নে মায়েদের বেশি সতর্ক থাকা উচিত। 

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার বয়স কত

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার বয়স কত এর সম্পর্কে চলুন এবার জেনে নিন। অনেক মায়েদেরই জানার অনেক আগ্রহ থাকে। বাচ্চার কত বয়স হলে দাঁত গজাবে। বিশেষ করে যেসব মায়েরা যখন প্রথম সন্তানের মা হয়। তখন শিশুকে নিয়ে মায়েদের মনে নানান ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে জানার আগ্রহটা বেশি কাজ করে। যেমন বাচ্চা কত বয়স পর হাঁটা শিখবে।

বাচ্চা কখন কথা শিখবে, বাচ্চার কখন দাঁত গজাবে এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের বিষয়গুলো জানার আগ্রহ কাজ করে বেশি। এখন বাচ্চার এসব গুলো নির্ভর করে। বাচ্চাদের হরমোন, ভিটামিন, পরিপূর্ণ পুষ্টি ও জেনেটিক ইত্যাদি দিক গুলোর ওপর। তাছাড়াও বিভিন্ন বাচ্চা জন্য বিভিন্ন রকম সময় লাগতে পারে। কেননা প্রতিটা বাচ্চার শারীরিক গঠন জেনেটিক গঠন পুষ্টির চাহিদা এক না। 

তাই অনেক বাচ্চাদের দাঁত অনেক তাড়াতাড়ি গজায়। আবার কোন বাচ্চার দাঁত ওঠতে অনেকটা দেরি হয়। তারপরেও মায়েদের জেনে রাখা উচিত মূলত কত বয়স থেকে বাচ্চাদের দাঁত ওঠতে শুরু করে। সাধারণত একটি বাচ্চার ৬ মাস বয়স থেকে দাঁত গজাতে শুরু করে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণ বশত অনেক বাচ্চারই দাঁত  ওঠতে দেরি হতে পারে। 

কেননা এ সময় বাচ্চা কোন কিছু খেতে চায় না। অস্থিরতা বোধ করে, বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাই এ সময় বাচ্চার অতিরিক্ত যত্ন নিবেন। এছাড়াও দাঁত উঠার সময় বাচ্চারা বিভিন্ন জিনিস মুখে দেয়। সেদিকে নজর রাখবেন। অপরিষ্কার কোন কিছু মুখে দিতে তা আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করে আসছি। তাই এটি নিয়ে চিন্তার তেমন কোন কিছু নেই। 

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সঠিক সময়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সঠিক সময় কোনটা চলুন এবার এই সম্পর্কে জানুন। প্রতিটি মানুষের সৌন্দর্যের একটি অংশ হল দাঁত। সুন্দর দাঁতের হাসি সবাই পছন্দ করে থাকেন। আমরা পরিণত বয়সে মুখ ভর্তি দাঁত পেয়ে থাকি। কিন্তু একটি শিশু জন্মের পর কোনরকম দাঁত থাকে না। মূলত ৬ মাস বয়স থেকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত ছোট বাচ্চাদের দাঁত ওঠতে থাকে। 

বাচ্চাদের-দাঁত-ওঠার-সময়-করণীয়

আর এই দাঁত গুলোকে বলা হয় দুধ দাঁত। বাচ্চাদের এ সময় দেখতে অনেক কিউট লাগে। তবে অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটে। কারো কারো তাড়াতাড়ি দাঁত ওঠে। আবার ১৪ মাস বয়সে দাঁত ওঠে যায় অনেকের। তবে দাঁত ওঠতে কম বা বেশি সময় লাগলেও এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। প্রতিটি বাচ্চা একটি নির্দিষ্ট সময় পর দাঁত ওঠে যায়। তাই এটা নিয়ে ভাবনার কোন কারণ নেই। 

তবে দাঁত ওঠার সময় বাচ্চাদের নরম তুলতুলে মুখের মাড়ি অনেকটা ব্যথা করে। ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়, তাই এ সময় মায়েদের একটু বেশি বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া উচিত। সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। কেননা এ সময় বাচ্চারা হাতের কাছে যা পায় তাই মুখে দেয়। এতে বিভিন্ন রোগ জীবাণু প্রবেশ করে। অনেক রকমের অসুখ দেখা যায়। তাই এ সময় মায়েদের উচিত একটু বেশি বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া।

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠলে করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠলে করণীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে  অনেকের জানার ইচ্ছে থাকে, চলুন তাহলে জেনে নিন। প্রতিটি শিশুর নির্দিষ্ট সময় পর দাঁত ওঠে। তবে অনেক শিশুর দাঁত ওঠতে অনেক দেরি হয়। এতে মায়েদের অনেক চিন্তিত হতে দেখা যায়। শিশুদের দাঁত না ওঠার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন কারণ, জেনেটিক্যাল সমস্যা এগুলো থাকলে দেরিতে দাঁত বের হতে পারে।

আবার কোন বাচ্চা দশ মাস বয়সের আগে জন্মগ্রহণ করলে এবং বাচ্চার শারীরিকভাবে দুর্বল হলে এতে বাচ্চার দাঁত দেরিতে উঠতে পারে। কেননা বাচ্চার শারীরিক সমস্যার জন্য দাঁতের  এনামেলে ক্রুটি দেখা যায়। যার কারণে অন্যান্য শিশুদের তুলনায় এদের দাঁত দেরিতে উঠে। এছাড়াও বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে এবং পুষ্টি উপাদানের অভাবেও এ সমস্যা হতে পারে।

বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাবে এ সমস্যাগুলো হতে পারে। তাছাড়া সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চা ছয় মাস থেকে চব্বিশ মাসের মধ্যে তার দাঁত উঠে যাবে। ছয় মাস থেকে ১২ মাস এর মধ্যে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে শুরু হয় এবং ২৪ মাসের মধ্যে বাচ্চাদের দুধ দাঁত উঠে যায়। কিন্তু পনেরো থেকে ১৮ মাস এর মধ্যে দাঁত না ওঠলে একটু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ সময় ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয়

কোনটির অভাবে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে দেরি হয় এ সম্পর্কে এবার চলুন জানুন। আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করে আসছি বাচ্চার দাঁত ওঠার সময় করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে। এখন জানানোর চেষ্টা করব কোনটির অভাবে বাচ্চাদের দাঁত  উঠতে দেরি হয়। মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়ার পর থেকেই একটি শিশুর মুখে কোন দাঁত  থাকে না। দাঁত বিহীন মুখের হাসি সত্যি চমৎকার লাগে।

আবার দাঁত গজানোর পর মুখের হাসি আরেক রকমের চমৎকার লাগে। মূলত ছোট বাচ্চাদের ওই সময়টা এমনিতেই অনেক কিউট লাগে। দেখলে আদর করে দিতে ইচ্ছে করে। একটি সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চার দাঁত ৬ থেকে ১৮ মাস এর মধ্যে উঠে যায়। তারপরেও অনেকের বিভিন্ন সমস্যা কারণে দাঁত উঠতে দেরি হয়। বিশেষ করে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান এগুলোর ঘাটতি দেখা দিলে বাচ্চাদের দেরিতে  দাত ওঠে। 

যেমন ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এ সমস্ত পুষ্টির অভাব হলে বাচ্চাদের দাঁত দেরিতে উঠে। তবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য বাচ্চাকে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে পারেন এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দিতে পারেন। তাছাড়া চাইলে প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণের জন্য বাচ্চাকে রোদে রাখতে পারেন। এতে বাচ্চা ভিটামিন ডি পাবে।  

শেষ কথাঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলে। এছাড়াও বাচ্চার দাঁত না ওঠার কারণ, বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ, বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময়, বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় জ্বর, পায়খানা, বমি সহ বাচ্চার দাঁত ওঠার বয়স, বাচ্চা দাঁত না ওঠলে করণীয় বিষয়গুলো সহ আরো অনেক বিষয় বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনাদের যাদের ছোট বাচ্চা রয়েছে এবং সামনে কিছু দিন এর মধ্যে দাঁত ওঠবে। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। বাচ্চার দাঁত ওঠার সময় অবশ্যই সঠিকভাবে যত্ন নিবেন। তাছাড়াও বাচ্চাকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন। সঠিক মাত্রার পুষ্টিকর খাবার দিবেন। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি আপনার যদি ভালো লাগে তবে অবশ্যই কমেন্টে করে মতামত জানাবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url