চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানুন

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো অতি প্রয়োজনীয় ও উপকারী চিয়া সিড বা চিয়া বীজ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সব বিষয় গুলো।

চিয়া-সিড-খাওয়ার-নিয়ম-ও-উপকারিতা

এই আর্টিকেল এ চিয়া সিডের খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আরোও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলো জানানোর চেষ্টা করবো। আশা করি উপকূত হবেন। এবার চলুন প্রিয় পাঠক বিস্তারিত জেনে নিন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা 

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন । যেহেতু অসংখ্য পুষ্টি গুন ও উপকারিতা রয়েছে এই চিয়া সিডে। সেহেতু চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম গুলো জানা খুবই জরুরি। আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা জানাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন এখন প্রায় সবাই। নিজেকে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে সবার মধ্যেই বেড়েছে সচেতনতা। 

সেই সাথে খাবার ও খাবারের পুষ্টি গুন নিয়েও মানুষের মধ্যে বাড়ছে জ্ঞান। আর পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবারের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চিয়া সিড বা চিয়া বীজ। এখন অনেকেরই আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে এই চিয়া। তাই তো সকাল সন্ধ্যার সাথী হয়ে ওঠছে এই চিয়া। সকাল সন্ধ্যায় খাবারের তালিকায় সবার আগে এখন চিয়া সিড পাওয়া যায় অনেকেরই। স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পন্ন হওয়ায় চিয়া কে এখন অনেকেই পছন্দ করে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যাক্তিরা চিয়াকে বেশি পছন্দ করে থাকেন। তাছাড়া চিয়া আমাদের শরীরের এনার্জি বাড়াতে ব্যাপক সাহায্য করে। চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম গুলো সম্পর্কে আরও জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। আশা করছি উপকারে আসবে আপনার। এখন  চিয়া সিড  সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে। চলুন জেনে নিন এই সুপার ফুড চিয়া সিড কি।

 চিয়া সিড বা বীজ কি

চিয়া সিড বা চিয়া বীজ কি চলুন জানি। অনেক পুষ্টি গুন সর্ম্পন্ন একটি শস্য দানা বা খাদ্য হলো চিয়া সিড বা চিয়া বীজ। মরুভূমিতে জন্ম সালভিয়া হিসপানিকা উদ্ভিদের বীজ হলো এই চিয়া বীজ। এই অতি উপকারী বীজটির জন্মস্থান মধ্যে আমেরিকা এবং সেখানকার প্রাচীন আদিবাসী অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় এটি জনপ্রিয় খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত প্রমান পাওয়া যায় অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে।

তারা শারীরিক সুস্থতা ও নিজেদের শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে বলে ধারনা করতো। তারা মনে করেন এটি খুব শক্তি ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। যা তাদের এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। শারীরিক দূবলতা দূর করে। তাছাড়া  চিয়া মূলত একটি শস্য দানা। এগুলো দেখতে অনেকটা তোকমা দানার মতো কিন্তু তকমা দানার মতো বড়ো না। এটি সাদা কালো রঙের হয়ে থাকে এবং তিলের মতো ছোট ছোট আকারের হয় এই  চিয়া সিড।

অনেক পুষ্টি গুন থাকায় এটি পছন্দ সবার। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হওয়ার এটাকে সুপারফুড বলা হয়। চিয়া সিড পানিতে ভিজানোর পর জেলির মতো দেখতে লাগে। চিয়া সিডের মূলত নিজের কোন স্বাদ নাই। বিভিন্ন খাবারের সাথে স্বাদ বাড়াতে অনেকেই খেয়ে থাকে। আমি নিজেও খায় এই চিয়া সিড। আমার খেতে খুব মজা লাগে। আপনিও খেয়ে দেখতে পারেন এটি। তাহলে বুজছেন চিয়া সিড বা চিয়া বীজ কি।

চিয়া সিডের পুষ্টি গুন গুলো 

চিয়া সিডের পুষ্টি গুন গুলো সম্পর্কে জানলে, আপনিও অবাক হতে বাধ্য হবেন। তবে এবার চলুন চিয়া সিডের চমৎকার পুষ্টি গুন সম্পর্কে একটু জেনে নিন। চিয়া সিডে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ফ্যাটি অ্যাসিড, রয়েছে  ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, কেম্পফেরল, কোয়েরসেটিন ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও দ্রবণীয় বিভিন্ন খাদ্য আঁশ ও বিভিন্ন ভিটামিন । 

দুধের থেকে প্রায় ৫ গুন বেশি ক্যালশিয়াম, পালোং শাখ এর থেকে ৩ গুন বেশি আয়রন, কমলার থেকে প্রায় ৭ গুন বেশি ভিটামিন সি, কলার থেকে দ্বিগুণ পটাশিয়াম এবং মাছের থেকে ৮ গুন ওমেগা- ৩ ফ্যাটি এ্যাসিড  আছে, বিশেষ করে সালমন মাছে। তাছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি, ই, ডি, সারফার, জিঙ্ক, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ সুপার ফুড এই চিয়া সিডে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিয়া বীজের  পুষ্টি উপাদান 

সুপার ফুড চিয়া সিডের পুষ্টি উপাদান গুলোঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়াতে ক্যালোরি ও পুষ্টি 

পানিঃ ৬%

চিনিঃ ০ গ্রাম

চর্বিঃ ৩০.৭ গ্রাম

ক্যালরিঃ ৪৮৬

ফাইবারঃ ৩৪.৪ গ্রাম

ওমেগা -৩ঃ ১৭.৮৩ গ্রাম

মনোস্যাচুরেটেডঃ ২.৩১ গ্রাম

পলিঅনস্যাচুরেটেডঃ২৩.৬৭গ্রাম

স্যাচুরেটেডঃ ৩.৩৩ গ্রাম

ট্রান্সঃ ০.১৪ গ্রাম

কার্বোহাইড্রেটঃ ৪২.১ গ্রাম

প্রোটিনঃ ১৬.৫ গ্রাম

তবে অনেক উপকার থাকার পরেও অনেকেই চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম না জানায় খেতে পারে না। বা সঠিক নিয়মে না খাওয়ায় অনেকেই এর সঠিক কার্যকারিতা পায় না। চলুন এই সুপার ফুড খাওয়ার নিয়ম গুলো এক নজরে দেখে  নিন।

চিয়া সিড বা বীজ খাওয়ার নিয়ম 

চিয়া সিড খাওয়া খুবই সহজ। শুধু একটু আপনার  বয়স অনুযায়ী পরিমানটা নিবেন। চিয়া সিডে মূলত নিজস্ব কোন স্বাদ নেই। এটিকে সাধারণত বিভিন্ন খাবারের মধ্যে এড করে খাওয়া হয়। পরিমাণ মতো চিয়া সিড বা চিয়া বীজ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিমাণ মতো না খেলে অনেক সময় পেটের সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া চিয়া সিড খাওয়ার অন্য কোন ঝামেলা নেই। শারীরিক অন্য কোন সমস্যা না থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। 

সেহেতু এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম গুলো জানা খুবই জরুরি। চিয়া সিড আপনি যে কোন খাবার এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন বা এমনিও খেতে পারেন। আপনি আপনার পছন্দ মতো বানিয়ে খাবেন। চাইলে আপনি চিয়া সিড ভেজেও খেতে পারেন। ভেজে বিভিন্ন খাবারে বা সালাতে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে চিয়া সিড পানি শোষণ করে বেশি তাই শুকনা চিয়া সিড খাওয়ার পর পানির দিকে গুরুত্ব দিবেন বেশি।  

পানি বা বিভিন্ন খাবারে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ১-২ টা চামচ চিয়া বীজ ২০-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। তবে মনে রাখবেন চিয়া বয়স অনুযায়ী পরিমানটা খাওয়া ভালো। এবার চাইলে সারা রাত ভিজিয়ে রেখেও সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। তবে বেশি পরিমাণে নিবেন না। কারণ এটি পানিতে, নিজের আকারের থেকে ২৭ গুন ফুলে ওঠে। তাই না ভিজিয়ে খাইলে এর বিপরীত হতে পারে। 

তাবে এটাকে ভালো ভাবে পানিতে ভিজিয়ে ফুলতে দিবেন তার পর খাবেন। তাছাড়াও অতিরিক্ত গরম দুধ বা পানিতে এটাকে ভিজাবেন না। নরমাল ১ গ্ল্যাস পানিতে ১-২ টা চামচ চিয়া  ভিজিয়ে খাইতে পারেন। বা বিভিন্ন সালাদ, দই, সবজি, জুস ইত্যাদি খাবারে এড করে নিতে পারেন। আবার দুধ, মধুর সাথেও খেতে পারেন। চাইলে আপনি আপনার পচ্ছন্দ মতো যে কোনো খাবারে নিতে পারেন। ওটসের সাথে মিশিয়েও চিয়া খেতে পারেন। 

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম 

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে এবার জানুন। চিয়া সিডে আছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। যা আপনার  ক্ষুধা নিবারনে সাহায্য করে এবং পেটে ভরা ভরা ভাব আনে। যেহেতু চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে কয়েক গুন হয়ে যায় সেহেতু এটি সকালে খালি পেটে সামান্য লেবু দিয়ে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

চিয়া-সিড-খাওয়ার-নিয়ম-ও-উপকারিতা

তাছাড়া আপনি সালাদ, টকদই দিয়েও খেতে পারেন আবার চিয়া সিড দিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন। এতে ওজন তো কমবেই সাথে পেটও ভর্তি থাকবে। ১ গ্লাস পানিতে ২ চামচ চিয়া বীজ এবং ২ চামচ লেবুর রস ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে খেতে পারেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। চিয়া সিডে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন ও ফাইবার পাওয়া যায় 

যা ওজন কমাতে সাহায্য করে বা উপকারী। তাছাড়াও দ্রবণীয় ফাইবার  বা খাদ্য আঁশ আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। দুপুরে টক দইয়ের সাথে চিয়া সিড খেলে ওজন কমাতে ভালো কাজ করে। অনেকে জিম করেন, সো আপনি ব্যায়াম করে এসেও চিয়া সিড খাইতে পারেন। এটি আপনার এর্নাজি বাড়াতে সাহায্য করবে।

 গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম 

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে এবার জানুন। চিয়া কে সুপার ফুড বলা হয়। তাহলে বুজতেই পারছেন এর পুষ্টি গুন গুলো নিয়ে বেশি কিছু আর বলার প্রয়োজন নেই মনে করি। তারপরেও নতুন অনেকেই আছেন। যারা যানেন না তাদের জন্য জেনে নিন তাহলে। গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম গুলো। যেহেতু চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড রয়েছে।

যা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সেহেতু এটি মা ও শিশুর জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন ১ চামচ করে চিয়া সিড ভিজিয়ে প্রছন্দ মতো সবজি, ফল, বা দুধ দিয়ে খেতে পারেন সকালের নাস্তায়। চিয়া সিডে যেহেতু রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা -৩ ফ্যাটি এ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা গর্ভাবস্থায় খুবই উপকারী। 

তবে আপনি আপনার শারীরিক ওজন অনুযায়ী কোন ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম চিয়াতে প্রায় প্রোটিন থাকে ২০ গ্রাম। মানে ১  চামচে আপনি ৩ গ্রাম প্রোটিন পাবেন। তাছাড়া ও আরও পুষ্টি গুন গুলো থেকে আপনার পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে। এছাড়াও ২৮ গ্রাম চিয়াতে প্রায় ১৩৮ ক্যালোরি পাওয়া যায়। যা গর্ভবতি মায়ের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

চাইলে আপনি আপনার পছন্দ মতো করে বানিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। তবে অন্য কোন সমস্যা থাকলে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ টা খেলে মা ও বাচ্চা দুজনাই ভালো উপকার পাবেন। চিয়া সুন্দর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বুদ্ধি বিকাশেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এাছাড়া বাচ্চার গঠন তৈরি করতেও সাহায্য করে চিয়া সিড। 

বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ানোর নিয়ম 

বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত  দেখে নিন। চিয়া সিড বা বীজ ১০ মাস পর থেকে বাচ্চাদের দিতে পারেন। এটি বাচ্চার বয়স অনুযায়ী যে কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন। বিশেষ করে সূজি, সাগু, লাচ্চি বা বিভিন্ন ডেজার্ট আইটেমের সাথে দিতে পারেন। এই ভাবে দিলে বাচ্চারা খেতে মজা পাবে। যেহেতু চিয়া সিডের নিজের কোন স্বাদ নেই। 

সেহেতু আপনি চাইলে বাচ্চাদের বিভিন্ন ফল বা জুস ও তরল খাবারের সাথে খাওয়াইতে পারেন স্বাদের জন্য। খাওয়ানোর আগে ভিজিয়ে রাখবেন। বেশি পরিমাণে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। হাফ থেকে এক চা চামচ সপ্তাহে ৩-৪ দিন দিবেন। এটি বাচ্চাদের ব্রেন ডেভেলপমেন্টের সাথে সাথে শারীরিক ডেভেলপমেন্টেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এটি বাচ্চাদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে থাকে।  আপনি  চাইলে আপনার বাচ্চার  শারীরিক গঠন অনুযায়ী ডক্টরের পরামর্শ নিয়েও খাওয়াইতে পারেন। এটি বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়াও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

চিয়া সিড খাওয়ার উত্তম সময়

চিয়া সিড খাওয়ার উত্তম সময় সম্পর্কে না জানলে, জেনে নিন। এটি আপনার উপকারে আসবে। সঠিক কার্যকারিতা পেতে খাওয়ার সময় জানাটা কিন্তু খুবই জরুরি। সাধারণত চিয়া সিড সকালে ও রাতে খালি পেটে খাওয়া উত্তম। চিয়া সিড বা চিয়া বীজ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকালে অন্য খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে খালি পেটে ও রাতে ঘুমানোর আগে। 

এই সময় গুলোতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে অনেক সময় ওজন কমানোর জন্য বা সকালে খেতে ভুলে গেলে অনেকেই দুপুরেও এটি খেয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যেকোনো সময় চিয়া খেতে পারেন। চিয়া বিভিন্ন খাবারের সাথে হালকা ছিটিয়ে দিয়েও খেতে পারেন।  চিয়া সিড  মুলত জনপ্রিয় পুষ্টি সমৃদ্ধ সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। 

এখন সবাই প্রায় স্বাস্থ্য সচেতন চিয়া খেয়ে থাকে। তাই আপনিও  আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহন করতে পারেন এই সুপার ফুডটি। আপনার পছন্দ মতো যেকোনো সময় খেতে পারেন। তবে যদি  উত্তম ফলাফল পেতে চান। তাহলে নিয়ম গুলো মেনে খাবেন।

কিডনির জন্য চিয়া সিডের প্রভাব

পুষ্টি গুনে ভরপুর চিয়ার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ছোট এই বীজটি বাট কাজ করে চমৎকার। যা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিভিন্ন রোগের মহাঔষধ হিসেবেও কাজ করে এই চিয়া। তবে কিডনির জন্য চিয়া কেমন উপকারী চলুন বিস্তারিত জানি। কিডনি ভালো রাখতে চিয়া সিডের কার্যকারিতা অনেক। কিডনি ভালো রাখতে পানির কোন বিকল্প নাই তা আমরা সবাই জানি। এই সুপার ফুড চিয়ার পানি শোষণ করার ক্ষমতা রয়েছে ব্যাপক।

এটি প্রায় ১০ গুন পানি শোষণ করে থাকে যা আপনার দেহের পানি শূন্যতা দূর করবে এবং কিডনির স্বাস্থ্যের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়াও চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি ভান্ডার রয়েছে। যা কিডনি ভালো রাখতে সহায়তা করে। আরও রয়েছে চিয়া সিডে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা কিডনির প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কিডনি ভালো রাখে।

সতর্কতা

কিডনি ভালো রাখতে চিয়া বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এটি কিডনি রোগীর জন্য সমস্যা হতে পারে। যেহেতু চিয়াতে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস রয়েছে যা কিডনি রোগীর জন্য  ভালো না। তাই আপনি যদি কিডনি রোগে ভুগেন তবে অবশ্যই  ডক্টরে পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড গ্রহন করবেন। 

ওজন কমাতে চিয়া সিডের ভুমিকা 

ওজন কমাতে চিয়া সিডের ভূমিকা কেমন চলুন দেখে নিন।  আমরা ইতিমধ্যে চিয়া সিডে খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছে। এতে বুঝতেই পারছেন ওজন কমানোর জন্য চিয়া কতটা উপকারী। পরিমাণ মতো চিয়া আপনার স্বাস্থ্য সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও চিয়াতে খাদ্য আঁশ ও ফাইবার রয়েছে প্রচুর। যার কারণে চিয়া যেকোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে খুদা  ভাব টা কম লাগে। 

অন্য খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়। চিয়া পানিতে বা যেকোন তরল খাবারে ফুলে জেলির মতো হয়। তাই পেট ভরা ভরা লাগে। এতে  অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের হার কমে। যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি যেমন অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনি আপনাকে এনার্জি দিবে ভরপুর। স্বাভাবিক সুন্দর সতেজ করবে আপনার শরীরকে এই সুপার ফুড। 

যার কারণে এখন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে অনেক বেশি।  তবে মনে রাখবেন এটি খেলে সরাসরি আপনার ওজন কমবে না। চিয়া মূলত আপনার খিদে ভাব টা কমায় দিবে। যার কারণে অন্য খাবার কম খাওয়া হবে। আর এজন্যই ওজন কমাতে চিয়া এই ভাবে সাহায্য করে। আর পুষ্টির ঘাটতি পূরন করতে সাহায্য করে। তাহলে বুজছেন চিয়াতে ওজন কমাতে ভূমিকা কতোটা।

ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে চিয়া সিডের ব্যাবহার

শুষ্ক ও প্রানহীন ত্বকে প্রান ফিরিয়ে আনতে চিয়া সিডের ভুমিকা অনেক বেশি। পুষ্টিবিদদের মতে চিয়া সিড হলো সুপার ফুড। এর মধ্যে অনেক পুষ্টি গুন থাকায় এটি ফ্রি-রেডিক্যাল এবং এন্টি এজিং এর বিরুদ্ধে ফ্রাইট করতে সহায়তা করে।  কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়ায় ও স্কিনের প্রাকৃতিক ব্যারিয়ার কে শক্তি শালী করতে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড করতে সাহায্য করে। 

এছাড়াও ইউভি ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে চিয়া সিড। রিংকলস এবং একনি দূর করতেও সাহায্য করে সুপার ফুড। ফেসপ্যাক হিসেবে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। যাদের অনেক ড্রাই স্কিন তারা একটু মধু দিয়ে দুধ ও চিয়া সিড ভিজিয়ে ১ ঘন্টা রেখে একটু মিহি করে ফেসপ্যাক বানিয়ে লাগাইতে পরেন। এটি ড্যামেজ স্কিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে 

আরোও অনেক রকম করেও ফেস প্যাক বানিয়ে চিয়া সিড ব্যবহার করতে পারবেন। এটি আপনার স্কিন কে টান টান রাখতে সাহায্য করবে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ কমিয়ে উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বক কে সুন্দর, সতেজ করতে চিয়া চমৎকার কাজ করে। চিয়া খেলে যেমন উপকার ঠিক তেমনি স্কিনের জন্যেও উপকার। তাহলে বুজছেন চিয়া ত্বক উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করবেন কিভাবে। 

চিয়া সিড বা বীজের উপকারিতা

বিশ্ব ব্যাপি চিয়া সিড জনপ্রিয় সুপার ফুড গুলো মধ্যে অন্যতম। চিয়া বীজ মুলত এক প্রকারের শস্য দানা। এটির জন্ম মেক্সিকোতে হলেও, অন্য দেশ গুলোতেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে অনেক।

চিয়া-সিড-খাওয়ার-নিয়ম-ও-উপকারিতা

 চলুন এইবার চিয়া সিডের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।

  • চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। যা হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে। হৃদরোগে ঝুঁকি কমায় এবং ক্ষতিকর কলেস্টেরল কমায়। যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। 
  • সুপার  ফুড চিয়া সিডে প্রোটিন রয়েছে অনেক যা হাড় শক্তি শালী করে এবং শারীরিক গঠন কে মজবুত করে। 
  • চিয়া সিড রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। 
  •  মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে চিয়া সিড ওজন কমাতে সাহায্য করে। যা আপনার শরীরকে ফিট রাখবে।
  •  এটি শরীরের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যার ফলে আপনার দূর্বলতা কমবে।
  •  প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়। এবং শরীর কে সুন্দর সতেজ রাখে।
  • এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড়ের গঠনের জন্য খুবই উপকারী। 
  • চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখে যার কারনে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে। 
  • এই সুপার ফুডটি শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পর্দাথ) বের করতে সহায়তা করে। এবং শরীর কে ভালো রাখে।
  • এটি পেটের গ্যাস ও প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করার পাশাপাশি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে। 
  •  হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যাথা দূর করতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে। 
  • এই সুপার ফুডটি ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে। যার ফলে  আপনার স্কিনও সুন্দর থাকে। 
  •  চিয়া সিড হজমের জন্য সাহায্য করে। এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকে। 
  •  চুল, ত্বক, নখ ভালো রখতে চিয়া সিডের তুলনা নাই। চুল পড়া দূর করতে সাহায্য করে এই চিয়া। 
  • সুপার ফুড চিয়া সিড আপনার শরীরের পুষ্টিগুন বাড়ায়, শরীরকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। 

চিয়া বীজের অপকারীতা গুলো

সব কিছুরই উপকারীতার পাশাপাশি কিছু অপকারীতাও থাকে। ঠিক তেমনি চিয়াতেও কিছু অপকারীতা রয়েছে। তবে অপকারিতার থেকে উপকারিতাই বেশি এই সুপার ফুড চিয়াতে, চলুন সেগুলো জেনে নিন।

  •  অতিরিক্ত বেশি চিয়া খাওয়ার জন্য ডায়রিয়া, গ্যাস,পেট ফোলা ও পেট ব্যাথা সহ আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারন চিয়াতে ফাইবার থাকে বেশি।
  •  আবার অতিরিক্ত চিয়া খাওয়ার ফলে অস্বাভাবিক হারে দেহের ওজন কমে যেতে পারে। এতে আপনাকে দেখতে বাজে লাগতে পারে। 
  •  বেশি চিয়া গ্রহনের ফলে রক্ত চাপ অধিক কমে যেতে পারে। যার কারণে শরীর ফুলে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব ও মাথা ব্যাথা হতে পারে। যার ফলে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। 
  •  চিয়া সিডে অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। 
  •  পরিমাণ বা সঠিক নিয়ম না জেনে খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। 

চিয়া সিড ও তোকমা কি এক

চিয়া সিড ও তোকমা কি এক চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আমাদের দেশে অনেকেই ভেবে থাকে এই দুইটা একই। আসলেও কিন্তু তোকমা আর চিয়া সিড এক না। দেখতে কিছু টা এক হলেও তোকমা আকারে বড় এবং কালো। অন্য দিকে চিয়া সিড আকারের তোকমার থেকে অনেক ছোট তিলের দানার মতো এবং দেখতে কালো ও সাদা হয়।

পুষ্টি গুন কিছু টা এক হলেও দুইটা এক শস্য দানা না। পুষ্টি গুনের দিক দিয়ে চিয়া সিড সুপার ফুড নামে পরিচিত। অন্য দিকে তোকমার জনপ্রিয়তা অনেক। মূলত যে যার পছন্দ অনুযায়ী চিয়া সিড বা তোকমা খেয়ে থাকেন। তাহলে বুজছেন চিয়া আর তোকমা এক কিনা। এখন চিয়া সিড বা বীজ রান্না করা যায় কিনা এ সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নিন। 

চিয়া সিড বা বীজ রান্না করা যায়

চিয়া সিড বা বীজ রান্না করা যায়। এটি অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের জন্য চলুন দেখে নিন। আসলে চিয়া রান্না করার প্রয়োজন নেই। চিয়া ভিজিয়ে বা বিভিন্ন খাবারের সাথে খেতে পারেন। তবে হালকা ভেজে অন্য খাবারে যুক্ত করে খেতে পারেন। মূলত তাপমাত্রায় চিয়ার পুষ্টি হ্রাস পায়। চিয়াতে প্রচুর ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা ২৮০°F ও ৩২০°F ( ১৪০°-১৬০°c)  তে নষ্ট হয়ে যায়। 

যার কারণে আপনি হারাতে পারেন প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই চিয়া থেকে উপকারিতা পেতে হলে রান্না করে না খাওয়ার ভালো। চিয়া মূলত সবাই পানিতে বা বিভিন্ন তরল খাবার ও পছন্দ  মতো খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে ভালো বাসে। এতে চিয়া সিডের পুষ্টি গুনও ঠিক থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই কার্যকারি।

চিয়া বীজের সাইড ইফেক্ট আছে কি

চিয়া বীজের সাইড ইফেক্ট আছে কি। এটাও অনেকেই জানতে চান তাদের জন্য জেনে নিন। চিয়া সিডের সাধারণত কোন সাইড ইফেক্ট নাই। তবে শারীরিক সমস্যা অনুযায়ী কিছু কিছু সমস্যা হতে পারে। কেননা সবার শরীর সুস্থতা এক না তাই ক্ষেত্র বিশেষে কারো কারো সমস্যা হতে পারে। যেমন আমার এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়াও যারা আরও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কিছুটা সমস্যা হতে পারে।

তাই এমন কোন সমস্যা আপনার থাকলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। এছাড়া বীজ জাতীয় প্রায় সব শস্য পুষ্টি গুনে ভরপুর। তার মধ্যে চিয়া কে সুপার ফুড বলে পুষ্টিবিদরা। তবে সব কিছুর নিদিষ্ট কোন নিয়ম বা পরিমাণ রয়েছে যেগুলো না মানলে অবশ্যই সাইড ইফেক্ট হতে পারে। যা উপরে আলোচনা করে আসছি, আশা করছি আপনি মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়েছেন এবং বুঝেছেন।

শেষ কথাঃ চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা 

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। সাথে চিয়া সিড ওজন কমাতে সাহায্য করে কিনা, কোন সাইড ইফেক্ট আছে কিনা, গর্ভাবস্থায় চিয়া খাওয়া যাবে কিনা, বাচ্চাদের জন্য উপকারী কিনা, ত্বকের জন্য উপকারী কিনা সহ আরও অনেক টপিক আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন।

সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন এর জন্য আমাদের প্রয়োজন সঠিক যত্ন আর সঠিক খাবারের। সুস্থ থাকতে খাবারের ভূমিকা অনেক। তাই খাবারের গুনাগুন এর দিকে সচেতন হন সুস্থ থাকুন। পুরো আর্টকেল জুড়ে ছোট্ট শস্য দানা চিয়া সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি উপকূত হয়েছেন। তাই পুড়ো ব্লগটি যদি ভালো লেগে থাকে আপনার তবে অবশ্যই মতামত জানাবেন কমেন্ট করে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url