গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেল থেকে। তাছাড়াও আরও জানতে পারবেন বিটরুটের বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারীতা এবং ত্বক ও চুলের যত্নে বিটরুট, বিটরুটের পুষ্টি গুন সহ আরও অনেক বিষয় সম্পর্কে। 

গর্ভাবস্থায়-বিটরুট-খাওয়ার-উপকারিতা

পুষ্টি উপাদানে ভরা বিটরুট আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়াও গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই কর্যকরি এই বিটরুট। অতি অবহেলিত এই বিটরুট সম্পর্কে চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা

বিটরুট হলো স্বাস্থ্য উপকারী সবজি। সারা বিশ্ব ব্যাপি এই বিটরুটের ব্যবহার ব্যপক। এটি আবার গর্ভবতী মহিলারদের জন্য খুবই উপকারী। এই পুষ্টিকর বিটে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা গর্ভাবস্তায় লোহিত রক্ত কনিকা বাড়াতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া ঝুঁকি হ্রাস করে। বিটে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন সংক্রামন থেকে রক্ষা করে।

বিটে থাকা ক্যালসিয়াম আপনার হাড় ও দাঁত কে মজবুত করে এবং বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। বিটে থাকা বিটেইন প্রদাহ দূর করে যা গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ব্যাথা বা ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভূনের বৃদ্ধিতে সহায়তায় করে। ফোলিক এ্যাসিডে সমৃদ্ধ বিটরুট আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ও বিকাশের সাহায্য করে।

মেরুদণ্ড উন্নতিতে সহায়তা করে। শরীরের ফ্যাটি এ্যাসিড এবং বিষাক্ত পদার্থ কে দূর করে একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভধারন নিশ্চিত করে। ভিটামিন সি সরবরাহ করে। বিটে থাকা আয়রন ভিটামিন সি গর্ভাবস্থায় প্রসবের পথ ঠিক রাখে। জন্ম গত ক্রটি দূর করে। এটি খাওয়ার পর শরীরে nitric oxide তৈরি হয় যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে এর কিছু সাবধানতা ও রয়েছে।

সর্তকতা

অতিরিক্ত বিটের জুসে আপনার শরীরের বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখে দিতে পারে। যেমন বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। বিটে থাকা বিটেইন এর জন্য মূলত এই সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। বিটে থাকা নাইট্রেট এর জন্য গর্ভাবস্থায় ক্রান্তি দূবলতা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত বিটের জুস খেলে বিটুরিয়া হতে পারে। 

যা আপনার প্রসাবের রঙ লাল করবে। কিডনিতে পাথরের কারনও হতে পারে এই বিটরুট। তাই গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরর কে সুস্থ্য সুন্দর রাখতে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধি সবজিটি খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।

বিটরুটের উপকারিতা ও অপকারীতা গুলো

সারা বছর বিট রুট পাওয়া গেলেও, আমাদের দেশে শীতকালে এই সবজিটি বেশি পাওয়া যায়। এই সবজিটি দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি গুনাগুন এ ভরা। প্রাচীন মিশরীয় গ্রীক বা রোমানরা এটি কে শাখ সবজি হিসাবে উৎপাদন করতো। এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়ম করে খেত এই বিটরুট। বিটরুট বাংলাদেশীয় সবজি না হলেও। এটি কে সব সময়ই পাওয়া যায় সবজি বাজারে।

তবে শীতকালে বিটরুট বেশি পাওয়া যায়। চলুন বিটরুট কি এখন আগে জেনে নিন। বিট দেখতে সাধারণত গোলাকার শালগমের মতো একটু কালচে লাল উপরে। তবে ভিতর টা টকটকে লাল দারুণ দেখতে। এটি মাটির নিচে হয়। বিটরুট বা বিট সাধারণত ৩ ধরনের হয়ে থাকে। সাদা বিট, হলুদ বিট এবং লাল বিট। বিশ্ব জুড়ে এই তিনটি বিটই প্রচুর রয়েছে। তবে আমাদের দেশে গাঢ় লাল বিট টিই পাওয়া যায়।

বিটকে বিশেষজ্ঞরা মূলত Miracle Food বলে। বিট দেখতে টকটকে লাল হয় এবং খুবই উপকারী। অনেকেই এটাকে বিট কপি হিসাবেও চিনে। তাহলে বুজছেন বিটরুট কি, চলুন এখন তাহলে এর পুষ্টি গুন গুলো দেখে নিন। বিটে রয়েছে anti-cencer agent betacyanin যা ব্লাডার ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। বিটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো nitrates।

বিট রুট বা বিট কিভাবে খাবেন

বিট রুট বা বিট কিভাবে খাবেন এটা অনেকেই ভেবে থাকেন। কেননা অনেকেই আছেন যারা নতুন বিট রুট খেতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য বলছি বিট আপনি বিভিন্ন ভাবেই খেতে পারেন। মূলত আপনি আপনার পছন্দ মতো বিট খেতে পারবেন। তারপর চলুন জেনে নিন বিটরুট বা বিট কিভাবে খাবেন। বিট সাধারণত অনেক রকমের করেই খাওয়া যায় যেমন।

গর্ভাবস্থায়-বিটরুট-খাওয়ার-উপকারিতা

সালাদ হিসাবেঃ বিটরুট, গাজর,শশা, টমেটোর মতো সালাদ করে খাওয়া যায়। সালাদ বানিয়ে কাঁচা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

জুস বানিয়ে খাওয়াঃ বিটরুটের তেমন কোন স্বাদ নাই। তাই এটিকে চিবিয়ে অনেকেই নিয়মিত খেতে চায় না। তবে উপকারী হওয়ার পুষ্টি গুন পেতে জুস করে খেতে পারেন। এতে যেমন খেতেও মজা পাবেন ঠিক তেমনি পুষ্টিও পাবেন। 

পাওডার জুসঃ বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিট ফলের পাওডার পাওয়া যায়। আপনি চাইলে এটিকেও পানিতে মিশিয়ে জুস করে খেতে পারেন। তবে বিট পাওডার কিনার আগে একটু অবশ্যই দেখে শুনে ভালো করে নিবেন।

রান্না বা ভাজি করেঃ এটিকে আপনি অন্য সবজির মতো ভাজি করেও খেতে পারেন। বা সবজি হিসাবে সিদ্ধ করে আপনার পছন্দ মতো খেতে পারেন। অনেকেই কাঁচা খেতে পারে না। তারা চাইলে এই ভাবে রান্না করে খেতে পারেন।

বিটরুট বা বিট কেন খাবেন

বিটরুট বা বিট কেন খাবেন চলুন জানুন। আপনারা অনেকেই আছেন যারা বিটরুট সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নাই। তাছাড়া অনেকেই আছেন যারা বিটরুটকে খুব অবহেলা করে। কিন্তু জানেন কি পুষ্টি গুন ও উপকারিতার জন্য। এটি কে বলা হয় মিরাকেল মলিকুল। এছাড়াও এখন পযন্ত ১০ হাজার গবেষণা হয়েছে এটি কে নিয়ে। আরও জানুন

  1.  বিটরুটে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তস্বল্পতা ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। শরীর কে সুস্থ রাখে। 
  2.  বিট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 
  3. পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটরুটের জুস খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শারীরিক গঠন মজবুত হয়।
  4.  কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য বিট কার্যকারী সবজি। যার ফলে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। 

কারা বিটরুট বা জুস খাবেন না

  1.  যাদের ব্লাড প্রেশার কম থাকে মানে, লো ব্লাড প্রেশারের রুগী তারা খাবেন না। কেননা তাদের জন্য সমস্যা হতে পারে। 
  2.  কিডনি রোগীরা খাবেন না। খেলে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন। 
  3. যাদের গিরায় গিরায় ব্যাথা তারা খাবেন না। বিটরুট খাওয়ার সমস্যা হতে পারে। 

বিটরুটের পুষ্টি গুন গুলো 

আমাদের দেশে এই ফলটি অনেকেই চিনেই না বা চিনলেও এর পুষ্টি গুন গুলো সম্পর্কে জানে না। আমাদের দেশে এই সবজিটি অনেক অবহেলতই বলতে পারেন। চলুন একটু পুষ্টি গুন গুলো জানি। হাজারো পুষ্টি গুনে ভরপুর এই বিট রুট এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবাব, জিঙ্ক, ক্যালোরি ইত্যাদি আরও রয়েছে খনিজে ভরপুর। এছাড়া রয়েছে আরও পুষ্টি উপাদান চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। 

বিট রুটের পুষ্টি উপাদান 

প্রতি ১০০ মিলি পুষ্টি উপাদান 

প্রোটিন ০.৪২ গ্রাম

ম্যাগনেসিয়াম ১৭ মিলি গ্রাম

ক্যালসিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম 

পটাসিয়াম ২৪২ মিলিগ্রাম 

সোডিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম

আয়রন  ০.৭৫ মিলিগ্রাম 

কার্বোহাইড্রেট ৮.৭৫ গ্রাম

ফসফরাস ১৭ মিলিগ্রাম 

চিনি ৮.৭৫ গ্রাম

ফোলেট ৩০ মাইক্রো 

শক্তি ৩৮ কিলোক্যালরি

ভিটামিন সি ২.৫ মিলিগ্রাম 

বিটরুট অনেক উপকারী একটি সবজি। এই বিটে এমন কিছু নেই যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায় না। তাই পৃথিবীর অন্যতম শেষ্ঠ পানিয় হিসাবে ধরা হয় এই বিট জুস কে। বিট পুষ্টি গুনে ভরপুর এটি আমাদের দেহের অঙ্গ প্রতঙ্গ থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের সমস্যা, পেটের সমস্যা এমনকি রুপ চর্চাতেও ব্যাপক কার্যকারী। এবার চলুন এই বিটরুটের আরও উপকারিতা গুলো জেনে নিই।

বিট বা বিটরুটের উপকারিতা 

বিট বা বিটরুটের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। আমরা ইতিমধ্যে বিটরুটের পুষ্টি গুন, বিটরুটের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাছাড়া বিটরুট সম্পর্কে অনেক ধারণা দিয়েছি। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়েন তো বুঝতে পারবেন। এই বিটরুটের উপকারিতা সম্পর্কে। তাছাড়াও চলুন আরও উপকারিতা গুলো দেখুন।

  • নিয়মিত বিটরুটের জুস খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 
  • শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। 
  • লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। 
  •  কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে।
  •  রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিটে থাকে নাইট্রেটস যা রক্তনালি প্রসারিত করে এবং রক্ত চাপ কমায়।
  •  মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 
  • জ্বালা পোড়া ও প্রদাহ কমায়তে সহায়তা করে। 
  • শারীরিক শক্তি বাড়ায়তে সহায়তা করে। 
  • পাচন শক্তি বাড়ায় এবং শরীর কে ভালো রাখে। 
  •  হজম শক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা হজম ক্ষমতা উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 
  • বিটরুটে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। 
  •  বিটে রয়েছে লুটেইন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 
  • এই উপকারী সবজি কোলন ক্যান্সার এর প্রতিরোধে সাহায্য করে । 
  •  বিটরুটে বিটেইন থাকে যা যকূতে চর্বি  জমতে বাধা দেয়।
  • বিটরুটের পুষ্টি উপাদান গুলো চেহারা সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। 
  •  হার্ট অ্যাটাক, ষ্টোক এবং হার্ট ফেইল প্রতিরোধ করে। 
  • ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। 

বিটরুটের অপকারীতা গুলো 

বিটরুটের অপকারীতা গুলো সম্পর্কে এবার বিস্তারিত চলুন জেনে নিন। বিটরুটের অনেক স্বাস্থ্যে উপকারিতা থাকলেও কিছু সমস্যাও আছে। মূলত বিটরুটের অপকারীতা গুলো সবার জন্য না। যারা ইতিমধ্যে অনেক রকম রোগে ভুগছেন বা বিভিন্ন সমস্যায় আছেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে। এছাড়া বিটরুট সবার জন্যই খুবুই উপকারি। চলুন তাহলে দেখে নিন। 

  • কিডনির সমস্যা থাকলে বা কিডনিতে পাথর থাকলে বিট খাওয়া যাবে না।
  • অনেকের এ্যালার্জির সমস্যা হয় বিটরুট খেলে। 
  •  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিটরুট ক্ষতি করে। 
  • নিম্ন রক্ত চাপ বা লো প্রেসার রোগীর জন্য বিট ক্ষতি করে। 
  • অতিরিক্ত বিট খেলে প্রসাবের রঙ লাল হয়, এটা সমস্যা না হলেও অতিরিক্ত বিট শরীরের সমস্যা হতে পারে। 
  • বাতের ব্যাথা রোগীদের জন্য বিট সমস্যা করে। 

ত্বক ও চুলের যত্নে বিটরুট 

এই চমৎকার পুষ্টি সম্পন্ন সবজিটি নিজে যেমন সুন্দর ঠিক তেমন আপনার সৌন্দর্যের জন্য উপকারী। প্রাকূতিক ভাবে উজ্জল ত্বক ও ঝলমলে চুল পেতে বিটরুটে রস ব্যবহার করুন। বয়সের ছাপ দূর করে ত্বকে লাবণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে এই বিট। বলিরেখা দূর করে এবং ডার্ক সার্কেল দূর করতেও সাহায্য করে এই বিটরুটের রস। শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এই বিটের রস। 

গর্ভাবস্থায়-বিটরুট-খাওয়ার-উপকারিতা

বিটরুটের ফেসপ্যাক বানিয়েও মুখে লাগাইতে পারেন। ২ চামচ বিটের রস,১ চামচ  দুধ এবং ২-৩ ফোঁটা নারিকেল তেল  বা ২ চামচ দই, ১ টা চামচ মধু দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ফেসপ্যাক ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিবেন। এটি আপনার ত্বককে প্রাকূতিক ভাবে উজ্জল করবে। ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে চিনি আর বিটের রস লাগান। ব্রনের সমস্যা থাকলে টমেটো রস ও বিট রস সম পরিমান লাগান সমস্যা দূর হবে।

সুন্দর স্কিন পেতে সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন। বিটে  ফাইবার রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি চুল পড়া রোধ করে। ভিনেগার ও নিমের রসের সাথে বিটরুটের রস লাগাতে পারেন। এটা খুশকি সমস্যা দূর করবে। চুল পড়া রোধ করতে কফি গুরার সাথে বিটরুটের রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন কিছক্ষন পর স্যাম্পু করে ফেলুন। চুলের রঙ ঠিক রাখতে গাজরের রস ও বিটরুটের রস  ব্যবহার করতে পারেন।

২ ঘন্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে নিবেন। সারাদিনের ব্যস্ততায় ঘরে বসেই আপনি আপনার স্কিনের যন্ত নিতে পারেন এই ভাবে। নিজেকে আরও সুন্দর রাখতে প্রতিদিন  বিট রুটের জুস খেতে পারেন। বিটরুটের জুস আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী ও চমৎকার কাজ করে। হাজার হাজার টাকা নষ্ট না করে এই যাদুকারি বিটের জুস খেয়ে দেখতে পারেন ত্বকের সব সমস্যা দূর করে দিবে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

বিটরুটের মহাঔষধি গুন গুলো 

বিটরুটের মহাঔষধি গুন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। শরীরকে ফিট রাখতে প্রয়োজনীয় এই বিটের গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গ কে ভালো রাখতে কাজ করে এই বিটরুট। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের করতে সাহায্য করে এই বিট রুট। এছাড়াও শরীরের এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর কে সুস্থ ও সতেজ রাখে। তাছাড়া আরও অনেক গুণ রয়েছে চলুন দেখে নিন। 

  • মেয়েদের মাসিকের সমস্যায় সাহায্য করে। অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করে। 
  •  যৌন শক্তি বাড়ায়তে সাহায্য করে। বিটের জুস যৌন শক্তির জন্য ভালো কাজ করে। 
  •  ড্যামেজ স্কিন কে glow করে । ত্বকের বলিরেখা দূর করে। 
  • জন্ডিস এর সমস্যা দূর করে। বিটের জুস জন্ডিসের জন্য উপকারী। 
  • থাইরয়েড সমস্যা দূর করে বিটের রস।
  • হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়ায়। রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। 
  • মানসিক সমস্যা দূর করে আমাদের মন ভালো রাখে। 
  • দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। ছানি পরা রোগও দূর হয়।
  • পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। 

শেষ কথাঃ  গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাছাড়াও পুষ্টিগুনে ভরপুর বিটরুট সম্পর্কে আরও অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। তাই আপনার যারা স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন। তারা সহজলভ্য এই সবজি টি খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের যাবতীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করবে।

গর্ভবতি মা ও শিশুর জন্য বেশ উপকারী এই বিট রুট। শিশুদের বৃদ্ধি  বিকাশে সাহায্য করে, তাছাড়াও হাড় মজবুত করে পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। তাই আপনি যদি স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হন তবে বিটরুট খেতে পারেন। প্রয় পাঠক সঠিক খাবার গ্রহন করার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ সুন্দর করে তুলতে পারেন আপনিও। তাই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্ট করে মতামত জানাবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url