নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন

নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন এই বিষয়টি নিয়ে যেসব গর্ভবতী মায়েদের জানার অনেক আগ্রহ। তাদের জন্য আজকে আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে। তাছাড়াও আরো জানতে পারবেন,বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার উপায় এবং

নবজাতকের-গায়ের-রং-পরিবর্তন-হয়-কেন

শিশু শুকিয়ে যায় কেন, আসল গায়ের রং কখন বোঝা যায় এবং শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো ইত্যাদি। প্রয়োজনীয় আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন।তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ  কারে পড়ুন।চলুন বিস্তারিত জেনে নিন।

পোস্ট সূচিপত্রঃনবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন

নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন

নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন। এ বিষয়টি নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয়। বিভিন্ন কারণে গায়ের রং পরিবর্তন হতে পারে। মূলত জন্মের প্রথমে শিশুর মোট তিনটি রং দেখা যায় কালো, নীল, হলুদ। নবজাতকের গায়ের রং মূলত মেলানিন এর জন্য পরিবর্তন হয়। শরীরে যদি মেলানিন বেশি তৈরি হয়। তবে বাচ্চার গায়ের রং কালো দেখায় এবং যদি মেলানিনের পরিমাণ কম হয়। তবে বাচ্চার রং ফর্সা দেখায়। এখন জন্মের শুরুতে বাচ্চার গায়ের রং গোলাপি বা লাল দেখায়। 

এই সময় বাচ্চার মেলানিনের পরিমাণ খুবই কম থাকে। পরবর্তীতে বাচ্চা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাচ্চার শরীরে মেলানিন বৃদ্ধি পায়। যার কারণে বাচ্চার গায়ের রং পরিবর্তন হতে থাকে বা কালো হয়। অনেক সময় জন্মগত বৈশিষ্ট্য বা জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণেও বাচ্চার গায়ের রং পরিবর্তন হয়। বাবা মায়ের গায়ের রং থেকেও সন্তানের রং আসে বা ফ্যামিলির অন্যান্য সদস্য থেকে নবজাতকের গায়ের রং হতে পারে।

আবার সুর্যরশ্মি জন্য বাচ্চার গায়ের রং পরিবর্তন হতে পারে। বাচ্চার জন্মের পর সূর্যের আলোর মাঝে মাঝে শিশুকে রাখতে হয়। এ সময় সূর্যের আলো বাচ্চার গায়ে বেশি পরিমাণ মেলানিন তৈরি করে। যেহেতু বাচ্চাদের বেশি রোদে রাখা হয়। তাই বাচ্চাদের গায়ের রং বেশি পরিবর্তন হতে থাকে। এজন্য বাচ্চাকে তীব্র রোদে রাখবেন না।এছাড়াও জন্মের পর শিশুর যদি জন্ডিস হয়ে থাকে। তবেও গায়ের রং হলুদ হয় তাই যদি বাচ্চার জন্ডিস হয়।

তবে অবশ্যই ভালো শিশু ডাক্তার দেখাবেন। এছাড়াও গায়ের রং পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সময়ের সাথে সাথে বাচ্চাদের গায়ের রং পরিবর্তন হয়। তবে বাচ্চা জন্মের পর পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। এজন্য কিছুদিন পরপর শিশুর গায়ের রং পরিবর্তন হতে থাকে। তাবে ধীরে ধীরে এটা ঠিক হয়ে যায় কয়েক মাস পর। বাচ্চা তারা আসল গায়ের রং এ ফিরে আসে।

বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার উপায়

বাচ্চার গায়ে রং ফর্সা করার উপায় কি এটি অনেক মা জানতে চান। নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন, এটি উপরে আলোচনা করেছি। আপনি অবশ্যই এতক্ষনে তা বুঝতে পেরেছেন। এখন জন্মের সময় অনেক বাচ্চা ফর্সা দেখায় কিন্তু পরে কালো হয়ে যায় কেন। এটার কারণ কি, এটা অনেকেই ভেবে থাকেন। তো চলুন এই বিষয়টি জেনে নিন। যেহেতু বাচ্চা জন্মের পর তার শরীরে মেলানিন আসে এবং রং পরিবর্তন হতে শুরু করে।

তাই চলুন এবার বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার উপায় এই ব্যাপারে একটু বিস্তারিত জেনে নিন। সাধারণত বাচ্চার জন্মের পর মায়েদের একটু সচেতন হইতে হয় এবং সঠিক যত্ন নেওয়া এ সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাসের কম হয়, তবে সূর্য উঠার সময় রোদে নিয়ে যাবেন। এতে বাচ্চার ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হবে। ভিটামিন ডি ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন ধ্বংস করতে সাহায্য করে। 

এতে বাচ্চার গায়ের রং সুন্দর হয়। তবে বেশি রোদে রাখবেন না এতে বাচ্চার গায়ের রং খারাপ হয়।আর ছয় মাসের পর থেকে বাচ্চা ত্বকে সান ক্রিম লোশন লাগাবেন। দিনে দুইবার লোশন লাগাবেন।এতে ব্লাড সার্কুলার ভালো হয় এবং তখন ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। গায়ের রং ফর্সা করতে বিভিন্ন রকমের তেল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন নারিকেল তৈল,আমন্ড  অয়েল, বা বাদামের তেল। তিন মাস বয়স থেকে চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃমিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা

এটিও শিশুর জন্য অনেক উপকারী। তিন মাস বয়সের আগে  গন্ধযুক্ত কোন তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।  এতে শিশুর বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন দেখা দেয়। তাই এগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। তাছাড়া বাচ্চার যদি ঠান্ডা না লাগে তবে সপ্তাহে দুইদিন করে  কাঁচা দুধ ও টক দই দিয়ে ম্যাসাজ করুন। কাঁচা দুধ বাচ্চার ত্বকে থাকা বিভিন্ন মৃত কোষ ও অন্যান্য  যাবতীয় ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। এতে গয়ের রং ফর্সা দেখায়।

এর ঘরোয়া টিপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই বাচ্চাকে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন। কেননা বেশি ঠান্ডা পানি বা বেশি গরম পানি বাচ্চার জন্য খারাপ।তাছাড়া আরোও বিভিন্ন ভাবে ফর্সা করতে পারেন ।  শিশুর বড় হওয়ার সাথে সাথে তার আসল গায়ের রং ফিরে আসে। তার প্রতিদিন শিশুদের যত্ন নিবেন এতে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হতে সাহায্য করবে। 

কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়

কি খেলে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয় বা কোন খাবার খেলে বাচ্চার জন্য ভালো হবে। এসব বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গর্ভবতী মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। আসলে প্রতিটা মা চাই তার সন্তান সুষ্ঠ হয়ে পৃথিবীতে আসুক। তাই একটা সুন্দর সুষ্ঠ শিশুর জন্য খাবারের কোন বিকল্প নাই। সঠিক পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে একটি সুস্থ সুন্দর বাচ্চার জন্ম দেওয়া সম্ভব। চলুন কি খেলে বাচ্চার গায়ে রং ফর্সা হয়, একটু জেনে নিন।

প্রথমে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি সুষম খাবারের দিকে নজর দিবেন এবং  খাদ্য তালিকা অবশ্যই রাখার চেষ্টা করবেন। বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী বিশেষ করে গায়ের রং ফর্সা করার জন্য। ভিটামিন A যুক্ত খাবার গুলো বেশি খাবেন। যেমন কমলা, হলুদ, লাল এসব কালারের ফলমূল বা শাকসবজি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যেগুলো শিশুর রং ফর্সা করতে সাহায্য করে।

তাছাড়াও ভিটামিন সি এটিও শিশুর জন্য খুবই উপকারী এবং  শিশুর রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের টক জাতীয় ফল থেকে আপনি ভিটামিন সি পেয়ে যাবেন। তাছাড়াও বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে ভিটামিন ই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে ভিটামিন ই পাবেন। এছাড়াও বাচার গায়ের রং ফর্সা করতে প্রোটিন জাতীয় খাবারের দিকে নজর দিবেন। প্রোটিনের মধ্যে মাছ মাংস ডিম বা ডাল খাবেন।

প্রতিদিনের খাবার তালিকা রাখার চেষ্টা করবেন। ডিম বাচ্চার ব্রেন ও মস্তিষ্ক গঠনের সাহায্য করে। তাছাড়াও ডিমের সাদা অংশ শিশুর গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। গর্ভ অবস্থায় ৪ মাস বা ৫ মাস ও ৬ মাসের রোজ নিয়ম করে ডিমের সাদা অংশ খাবেন। এটি শিশুর জন্য অনেক উপকারী। তবে ডিম সিদ্ধ করে খাবেন। বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে আর একটি কার্যকর উপকরণ হলো দুধ। দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে খেলেও বাচ্চা গায়ের রং ফর্সা হয়।

শিশু গর্ভে থাকা  অবস্থায়  প্রতিদিন নিয়ম করে। যদি দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে খান তবে বাচ্চা গায়ের রং ফর্সা হয়। তাছাড়াও ডাবের পানি খেতে পারেন এটিও গায়ের রং ফর্সা করে। তাছাড়া শিশুর গায়ের রং ফর্সা করতে চেরি ফল দারুন কাজ করে। এ সময় আপনি চাইলে চেরি, বেরি  খাইতে পারেন। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা  গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। 

বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাবেন যেমন পালন শাক, পুঁইশাক লাল,লাল শাক আরও বিভিন্ন ধরনের শাখ রয়েছে। এতে ফলেট ভিটামিন পাওয়া যায় যা বাচ্চার মাথার খুলি, ব্রেন ও শির দ্বারা তৈরি করতে সাহায্য করে। এবং প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা মায়ের রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। এগুলো আইরনের ঘাটতিও পূরণ করে এবং নবজাতকের গায়ের রং ফর্সা করতে সাহায্য করে। 

বাচ্চার ঠোঁট কাঁপে কেন

বাচ্চাদের ঠোঁট কাপা এটি একটি সাধারণ লক্ষণ। তবে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় ঠোট কাপে তবে এটি চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।অনেক বাবা মার মনে এ প্রশ্নটি কাজ করে। তবে অনেক সময় এটি  চিন্তার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত কাপা চিন্তার ব্যাপার অনেক সময় জন্মগত কারণেও বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নবজাতকের-গায়ের-রং-পরিবর্তন-হয়-কেন

অবশ্যই এটা অভিজ্ঞ শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কেননা বিভিন্ন জন্মগত ক্রটির  কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার বাচ্চার ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকলেও ঠোঁট কাপতে পারে। তাই ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করবেন। অনেক সময় বংশগত বা অন্যান্য কারণেও হতে পারে।

নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ

জন্মের পর নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়া একটি স্বাভাবিক লক্ষণ। তারপরও কিছু মা-বাবা এ ব্যাপারে জানতে অনেক আগ্রহী হন। তবে চলুন বিস্তারিত জেনে নিন নবজাতকের ঠোট কালো হওয়ার কারন।  যদিও নবজাতকের জন্মের পর ঠোঁট কালো হওয়ার স্বাভাবিক ব্যাপার তারপরও কিছু কিছু সমস্যার জন্য ঠোঁট কালো হতে পারে।তার মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো সায়াসিন এটি মূলত রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কম হলে বা রক্তে অক্সিজেনের অভাবে বাচ্চার ঠোঁট বেগুনি বা কালো হয়ে যায়। 

আরো পড়ুনঃবাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

অনেক সময় বাচ্চা শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। ফুসফুস ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা হয় এই সমস্যার জন্যেও নবজাতকের ঠোঁট কালো হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া অনেক জন্মগত দাগ বা জন্মগত প্রবলেম ও বিভিন্ন ঠান্ডা লাগার জন্য শিশু ঠোঁটের রং বেগুনি বা কালো হয়ে যায়।আশা করছি প্রিয় পাঠক বুঝতে পেরেছেন। তবে শিশুর অতিরিক্ত ঠোঁট যদি কালো হয় তবে অবশ্যই একটি ভালো শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

নবজাতক শিশু শুকিয়ে যাওয়ার কারণ 

নবজাতক শিশু শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।যেমন জন্মের পরেই নবজাতক শিশুর প্রথম ১০ দিনের মধ্যে অনেকটাই ওজন কমতে থাকে। কেননা জন্মের পরে শিশুর গায়ের অতিরিক্ত পানিগুলো বের হয়ে যায়। এজন্য প্রথম দশ দিনের মধ্যে শিশুর ওজন কমে যায়। তাছাড়াও সঠিকভাবে না খাওয়ানো জন্য শিশু শুকিয়ে যায়। সঠিক ভাবে দুধ পাওয়ার পরেও, সঠিক নিয়মে না খাওয়ানোর জন্য বাচ্চা শুকিয়ে যায়।

এই জন্য একটা দূধ খাওয়ানো শেষ করে তারপর অন্য আরেকটি দুধ খাওয়াবেন । অনেক সময় আবার বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতির জন্য শুকিয়ে যায়। যেমন ক্যালোরি অভাবে শুকিয়ে যেতে পারে। ঘুমের জন্য অনেক মা শিশু কে জাগিয়ে তোলে না ফলে বাচ্চা অনেক সময় ধরে না খেয়ে থাকে এতে শিশুর ক্যালোরির ঘাটতি দেখা দেয়। অনেক সময় মায়ের  পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার জন্যেও এই সমস্যা হতে পারে।

তাই এই সময় মায়ের খাওয়া দাওয়া সহ অন্যান্য দিকে যন্ত নিতে হবে। ৬ মাস বয়স পর শিশুদের শক্ত খাবার খাওয়ানোর কথা বলে থাকেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। তবে এ সময় লক্ষ্য রাখুন শিশু বুকের দুধ ও ফর্মুলা খাওয়ার সাথে সাথে অন্য সলিড খাবার খাচ্ছে কিনা।এতে ক্যালোরির ঘাটতি দেখা দেয় তাই এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখবেন। 

বাচ্চার আসল গায়ের রং কখন বুঝা যায়

বাচ্চার আসল গায়ের রং বুঝতে একটু সময় লাগে।কেননা বাচ্চা জন্মের পর তার শরীরের মেলানিন তৈরি হতে থাকে। এইজন্য  বাচ্চার গায়ের রং অনেক বার পরিবর্তন হয়।ইতিম্যধ্যে আমরা নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন উপরে আলোচনা করেছি। একটি  বাচ্চা বড় হইতে হইতে মেলানিন এর মাত্রাও বৃদ্ধি পায় তাই গায়ের রং টা পরিবর্তন হতে থাকে। 

গায়ের রং টা মূলত বাচ্চার বয়স ৬ মাস থেকে ১ বছর পর থেকে পরিপূর্ণ বুঝা যায়। জন্মের পর বাচ্চার গায়ের রং গোলাপি বা লাল থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং এক পর্যায়ে এটি স্বাভাবিক হলে রং পরিবর্তন হতে শুরু করে। এই জন্য সম্পৃর্ণভাবে বুঝতে ৬ মাস থেকে ১ বছর লাগে। একটি শিশুর জন্মের সময়ের ওজন, শারীরিক অবস্থা এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারনের উপর ও অনেক সময় নির্ভর করে বাচ্চার গায়ের রং। 

মনে রাখবেন সব বাচ্চা এক রকম হয়ে জন্ম নেয় না।বিভিন্ন বাচ্চার শারীরিক গঠন ও ওজন বিভিন্ন হয়।এগুলো মূলত মায়ের খাদ্য অভ্যাস এব জীনগত বৈশিষ্ট্যর জন্য হয়ে থাকে। অনেক বাচ্চার গায়ের রং সম্পূর্ণ ভাবে স্থায়ী হতে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাহলে বুজছেন নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন এবং আসল গায়ের রং বোঝা যায় কখন।

শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো 

শীতে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো হবে। এবার চলুন এ বিষয়ে আলোচনা করি। শীতে শিশুর যত্ন নিয়ে মায়েদের চিন্তার কোন শেষ থাকে না। বাচ্চার ত্বক সুন্দর থাকবে কোন ক্রিম ব্যবহার করলে। বা কোন ক্রিম শিশুর জন্য ক্ষতিকারক হবে। এগুলো নিয়ে অনেক ভাবনায় পরেন মায়েরা। তবে বাচ্চাদের জন্য কিছু উপকারী ক্রিম রয়েছে যেগুলো বাচ্চার ত্বকের জন্য ভালো এবং

নবজাতকের-গায়ের-রং-পরিবর্তন-হয়-কেন

সুন্দর ও সতেজ রাখতে  সাহায্য করে। যেমন প্রথমেই বলি

  • জনসনের বেবি লোশন বা ক্রিম
  • অ্যাভিনো বেবি ডেইলি ময়েশ্চারাইজার লোশন
  • ক্যালিফোর্নিয়া বেবি ক্যালেন্ডুলা ক্রিম
  • বার্টস বিস বেবি ন্যুরিশিং লোশন 
  • বেবিগ্যানিক্স ডেইলি ময়েশ্চারাইজার 
  • সেটাফিল বেবি ডেইলি লোশন
  • মুস্তেলা হাইড্রা বেবি বডি লোশন
  • আভিনো
  • সেটাফিল
  • সেবামেড বেবি ক্রিম ইত্যাদি 

আমাদের দেশে মায়েরা মূলত জনসনের প্রডাক্ট গুলো বেশি শিশুদের ব্যবহার করেন।তবে জনসনের পাশাপাশি এগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।বাচ্চাদের জন্য এই ক্রিম বা লোশন গুলো খুব ভালো কাজ করে। এতে শিশুর ত্বক সুন্দর ও সতেজ থাকে। 

নবজাতকের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

নবজাতকের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস সম্পর্কে এই পর্যায়ে আলোচনা করবো। শিশুর যত্নের কোন শেষ নাই। একজন শিশু কে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই তার পরিপূর্ণ যত্নের দিকে নজর রাখবেন। শিশুদের শরীর অনেক লাজুক থাকে এই সময়।  তাই খুব সাবধানতার সাথে তাদের যত্ন এবং খাওয়ানো দরকার হয়।তাছাড়া বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পরার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সময় মায়েদের কে একটু বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজন হয়। চলুন এবার আরও বিস্তারিত জেনে নিন। 

  • নিয়মিত ফিনাইল দিয়ে বাসা পরিষ্কার করুন।এতে রোগ জীবাণু নষ্ট হয়ে যাবে।
  • বচ্চাকে নেওয়ার আগে বা খাওয়ানো আগে এবং বাচ্চার যেকোনো জিনিস ধরার আগে অবশ্যই  লিকুইড হ্যান্ড সোপ দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন। 
  • বাসায় কোন মশা তাড়ানো কয়েল বা ধুপ কিছু ধরাবেন না।এতে বাচ্চার সমস্যা হয়। মশারী ব্যবহার করবেন। 
  • বাচ্চার ব্যবহার করার বিছানা ও প্রয়োজনীয় সব কিছু সব সময় সুন্দর করে পরিষ্কার করে রাখবেন। 
  • বাচ্চার জন্য ব্যবহার করা বাসন গুলো গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে তারপর পরিষ্কার করবেন। 
  • নিয়মিত নাভি পরিষ্কার করবেন। প্রতিদিন এক বার করে সূতির কাপর এর টুকরো গরম পানিতে ভিজিয়ে চিপে নাভি বা নাভির আসে পাসে পরিষ্কার করে নিবেন।
  • হালকা গরম পানি দিয়ে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন গোসল করাবেন।বাকি দিন গুলো ঘা মুছে দিবেন। খুব সাবধানে গোসল করাবেন যেন নাকে মুখে না যায়। এক দিন শাম্পু আর একদিন সাবান ব্যবহার করবেন।দুইটা এক দিনেই ব্যবহার করবেন না।
  • বাচ্চার শারীরিক গঠন সুন্দর করার জন্য বডি ম্যাসাজ করে দিতে হবে। খাঁটি সরিষার তেল বা নারিকেল, অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনেক ডক্টর সরিষা তেল দিতে নিষেধ করে। 
  • সঠিক নিয়ম মেনে ডাইপার ব্যবহার করবেন। একটা ডাইপার  পরিবর্তন করার পর। কটন কাপর গরম পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করে তারপর আবার ডাইপার পরিয়ে দিবেন। 
  • নিয়ম করে সুন্দর করে চোখ, জিব্বাহ,কান নাখ পরিষ্কার করে দিবেন।

শেষ কথাঃ নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন

নবজাতকের গায়ের রং পরিবর্তন হয় কেন এই বিষয়ে যাবতীয়  প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলে। সাথে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করার উপায়, ঠোঁট কালো হয় কেন, শিশু শুকিয়ে যায় কেন,সহ আরও অনেক প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করছি প্রিয় পাঠক আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন। তাবে বাচ্চার গায়ের রং যেমনই হোক না কেন।একটা সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চা জন্ম নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের যন্ত এবং পুষ্টির দিকে নজর দিবেন।একজন  মায়ের জন্য সব থেকে  বড় উপহার হলো একটি সুস্থ, স্বাভাবিক সুন্দর বাচ্চা। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url