গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যদি জনতে চান, তবে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।আজকে এই আর্টিকেলে আমি জানাবো ছোট্ট পুষ্টি গুনে ভরপুর দেখতে সুন্দর ফল করমচা নিয়ে বিস্তারিত। আরও জানতে পারবেন।

করমচার উপকারিতা ও অপকারীতা গুলো সহ। আলোচনা করবো করমচার স্বাস্থ্যে উপকারী পুষ্টি উপাদান  গুলো এবং গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি না।করমচা থেকে চেরি এবং আনার খেলে কি হয়, তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নিন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা  অনেক।ছোট খাটো দেখতে ভিশন সুন্দর খেতে মজা নানান পুষ্টি গুনে ভরপুর। এই উপকারী ফলটি গর্ভবতী মহিলার জন্য খুবই কার্যকারী। বিলুপ্ত প্রায় এই ফলটি অনেক সহজলভ্য। কিন্তু বেশি দিন পাওয়া যায় না,শেষ হয়ে যায় তারাতাড়ি। তাই আপনি চাইলে আসে পাসে বাজার থেকে নিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। চুলন বিস্তারিত জানি। 

  • করমচা এটি অবহেলিত ফল হলেও এটি গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য বেশ উপকারী। করমচাতে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার যা হজম শক্তি বাড়ায়। গর্ভবতি মায়ের শিশুর ওজন বাড়ানোর জন্য হজম শক্তি ঠিক থাকা উচিত যা বাড়াতে  করমচা সাহায্য করে। 
  • করমচাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানের ভিটামিন সি যা গর্ভবতি মায়ের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এবং গর্ভবতি মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন টক বা আচার খেতে ইচ্ছে করে। এই সময় করমচা ফল দিয়ে আচার বানিয়ে খেতে পারেন। এতে যেমন মুখের রুচি বাড়বে ঠিক তেমনি উপকারও পাবেন।
  • তাছাড়াও করমচাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার এবং আপনার গর্ভের বাচ্চার দূষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করবে। 
  • বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশে করমচা সাহায্য করে
  • বমি বমি ভাব দূর করতেও করমচা সাহায্য করে
  • অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • বাচ্চার মস্তিষ্ক বুদ্ধি বিকাশ ঘটাতে করমচা সাহায্য করে
  • বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগ থেকে করমচা মা ও শিশু কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

সর্তকতা

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতি মায়ের আরও অনেক অন্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই গর্ভাবস্থায় একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে পারেন। অতিরিক্ত কোন কিছু  স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তাই আপনি আপনার শারীরিক ওজন ও সুস্থতা অনুযায়ী গ্রহন করবেন।এবং  প্রয়োজনে ডক্টরে পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন । করমচা সম্পর্কে আরো চালুন বিস্তারিত প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো জেনে নিন। 

করমচা ফল কি

গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা  সম্পর্কে বলেছি কিন্তু করমচা ফল কি এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো এবার। পুষ্টি গুনে ভরপুর এই করমচার স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে ব্যাপক। তবে অনেকেই আছেন এই ফলটির সাথে পরিচিত না। আনেকেই আবার করমচা চিনলেও এর পুষ্টি উপাদান গুলো সম্পর্কে ধারণা নেই খুব একটা । তাই চলুন করমচার বিভিন্ন উপকারিতা গুলো জানার আগে এই ফলটার সম্পর্কে একটু জানি। 

আকৃতিতে ছোট্ট কিন্তু পুষ্টি গুনে ভরপুর এই করমচা ফল। করমচা কাঁচা অবস্থায় দেখতে সবুজ এবং পাকা অবস্থায় দেখতে ম্যাজেন্ডা বা লাল হয়ে থাকে। এটি খেতে টক,মিষ্টি হয়ে থাকে। করমচা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ এটি দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি তার স্বাস্থ্য  উপকারিতাও রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো carissa carandas। এশিয়া, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ান উপমহাদেশে এই ফলটির খোঁজ পাওয়া যায়। এই ফলটি সাধারণত আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। চলুন এবার এর পুষ্টি গুন গুলো জানি। 

করমচা ফলের পুষ্টি গুন গুলো 

প্রায় অবহেলিত এই ফলের পুষ্টি গুন দেখলে অবাক হবেন আপনি।  এতো উপকারী একটি ফল, কিন্তু অনেকেই জানেন না এর পুষ্টি গুন গুলো চলুন দেখি।  প্রচুর পরিমানে রয়েছে ভিটামিন সি, রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন, ক্যালসিয়াম সহ খনিজ উপাদান। আরও রয়েছে আবাক করার মতো এনার্জি যা এই সাইজের কোন ফলে নেই।চলুন করমচার পুষ্টি উপাদান গুলো একটু দেখে নিই।

করমচার পুষ্টি উপাদান গুলো 

ছোট আাকূতির এই করমচার স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রচুর।প্রতি ১০০ গ্রাম করমচাতে রয়েছে। 

  • এনার্জি ৬২ কিলোক্যালরি
  • ভিটামিন-এ ৪০ আইইউ
  • ভিটামিন সি ৩৮ মিলিগ্রাম 
  • ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম 
  • পটাসিয়াম ২৬০ মিলিগ্রাম 
  • রিবোফ্লাভিন  ০.১ মিলিগ্রাম 
  • কার্বোহাইড্রেট ১৪ গ্রাম
  • নিয়াসিন ০.২ মিলিগ্রাম 
  • আয়রন ১.৩ মিলিগ্রাম 
  • কপার ০.২ মিলিগ্রাম 
  • প্রোটিন ০.৫ গ্রাম।

করমচার পুষ্টি সম্পর্কে জানা হলো আশা করছি বুঝছেন তাহলে  গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার  উপকারিতা কেন।এবার চলুন করমচার আরো উপকারিতা গুলো জানি।

করমচা ফলের উপকারিতা গুলো

করমচার উপকারিতা গুলো একটু জেনে নিন। উপরে ইতিমধ্যে গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা গুলো আলোচনা করছি।  এটি সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে বা বিভিন্ন বাজারের পাওয়া যায়। এখন আমরা বেশির ভাগই এই ফলকে গুরুত্ব দেয় না। বা এর সম্পর্কে তেমন জানিও না। আগে করমচা গ্রামে বাড়ির আঙ্গিনায় বা রাস্তার পাশে ও বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেত।

এখনোও অনেক জায়গায় করমচা গাছ আছে এবং  শহরের বাজার গুলোতেও করমচা পাওয়া যায়। ছোট এই ফলটির পুষ্টি গুনাগুন সমূহ গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। আপনি হয়তো এতোক্ষণে তা বুঝেছেন। এখন চলুন এর উপকারিতা গুলো জানি। 

  •  খাবারের রুচি বাড়ায়।করমচাতে প্রচুর পরিমানের ভিটামিন সি আছে। যা আপনার রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। 
  •  করমচাতে কোন ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নাই।তাই এটি ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। 
  •  করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।যার কারণে হ্রদরোগের ঝুঁকি কমে। 
  • মৌসুমি রোগ শর্দী,জ্বর নিরাময়ে করমচা সহায়তা করে। 
  •  ওজন কমাতে করমচা সাহায্য করে। 
  •  ত্বকের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। করমচাতে থাকা ভিটামিন বি যা ত্বকের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের সহায়তা  করে। 
  •  স্কার্ভিসহ দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের কার্যকারী ভূমিকা রাখে। 
  •  শরীরের অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ কমাতে সাহায্য করে। 
  •  যকূত ও কিডনির জন্য করমচা বেশ উপকারী। 
  •  করমচা কৃমিনাশক হিসেবে বেশ কার্যকারী।
  •  পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে করমচা।
  •  শরীরের ক্রান্তি ভাব দূর করতে সাহায্য করে করমচা।
  • বাত ও বাথ্যাজনিত রোগের জন্য করমচা বেশ উপকারী। 
  •  করমচা তে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য জন্য খুবই উপকারী। 
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ধমনিতে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে

করমচা ফলের অপকারিতা গুলো

করমচার অপকারিতা গুলো, করমচার যেমন উপকারিতা রয়েছে, ঠিক তেমনি এর অপকারিতাও রয়েছে। কিছুটা অতিরিক্ত করম চা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন হজমের সমস্যা, পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেট খারাপ ইত্যাদি। যে কোন খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই সঠিক উপকারিতা পাতে পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। 

আমরা অনেকেই করমচার আচার খেতে অনেক পছন্দ করি। সেটাও পরিমাণ মতো খেতে হবে অতিরিক্ত খেলে আমাদের শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই নিয়ম মেনে সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত। তবে আমরা করমচা থেকে ভিটামিন, প্রোটিন,ও যে খনিজ উপাদান পেয়ে থাকি। এই কিছু উপাদান অনেক সময়ে দেখা যায় খাওয়ার জন্য আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমনঃ

  • হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে কেননা করমচাতে ফাইবার থাকে বেশি।
  • ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত করমচা খাওয়ার ফলে। করমচাতে শর্করার পরিমাণটা বেশি থাকে যার কারণে ডায়াবেটিসের প্রবলেম দেখা দিতে পারে।
  •  অনেকের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু উপাদান রয়েছে  যা অ্যালার্জির সমস্যার কারণ হতে পারে এবং  ইমিউনিটি সিস্টেমের সমস্যা দেখা দেয়।
  • হাত পা চুলকানি সহ লাল হয়ে যাওয়া সম্ভবনা থাকে। 

অতিরিক্ত করমচা খাওয়ার ফলে পেট খারাপ হতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করছি করমচার অপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণ বুঝে খাবেন। পরিমিত যে কোন খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সঠিক পরিমাণে যেকোনো খাবার গ্রহণ করা উচিত।

করমচা ফল  খাওয়ার নিয়ম 

করমচা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে চলুন এবার বিস্তারিত জানি করমচা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। সাধারণত করমচা টক মিষ্টি স্বাদে হয়ে থাকে।  মুখের রুচি আনতে করমচা বেশ কার্যকারী। তবে করমচার আচার কিন্তু বেশ বিখ্যাত। বিভিন্ন রকমের আচার করে আমরা খেতে পারি। তাছাড়াও করমচা সেদ্ধ করে ভর্তা করে  খাওয়া যায়। করমচার চেরি বানিয়ে খাওয়া যায়। করমচা মূলত কাঁচা পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়।

করমচা  শরবত করেও খাওয়া যায়। অনেকেই করমচার শরবত করে খায় এটি শরীরের দুর্বলতা ও ক্রান্তি দূর করতে সাহায্য করে। সবজি রান্নার সাথেও খাওয়া যায় করমচা। সবজির সাথে রান্না করেও খাওয়া যায়। তাছাড়াও টক মিষ্টি স্বাদে ভরা করমচা কাঁচা পাকা বিভিন্ন ধরনের আচার, সুস্বাদু ভর্তা। এগুলো ছাড়াও আমরা আরো অনেক রকম ভাবে খেতে পারি।

এটা দিয়ে সুস্বাদু মোরব্বাও তৈরি হয়। পুষ্টিগুনে ভরা অপরূপ সুন্দর ছোট্ট একটি ফল এই ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। অবহেলিত এই ফল অনেকেই এখন চিনে না তাই পরিপূর্ণ পুষ্টি পেতে যে যার পছন্দ মতো করমচা খেতে পারেন। এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। এই করমচা কে মহাঔষধি ফলোও বলা হয়।

করমচা ফল থেকে চেরি তৈরি

করমচা থেকে চেরি তৈরি চলুন এ সম্পর্কে একটু জেনে আসি। বর্তমান বাজারের সাধারণত চেরির অনেক দাম। যা অনেকেই কিনে খেতে পারেন না। কিন্তু যানেন কি এই চেরি করমচা দিয়েও তৈরি করা হয়। শুনে অবাক হচ্ছেন তো সত্যি তাই। চলুন জানি করমচা দিয়ে কিভাবে চেরি তৈরি হয়। প্রথমে কটমচা গুলোকে  ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবেন। তারপর চেরি গুলো মাঝখান দিয়ে ছুরি দিয়ে চিরে বিচি গুলো বের করে ফেলে দিবেন।

তারপর কিছুক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। ভিজিয়ে রাখার ফলে চেরি থেকে কষগুলো বের হয়ে যাবে। তারপর আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এবার পাত্রে এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে।  করমচা দিয়ে কত গুলো চেরি  তৈরি করবেন। সেটা অনুযায়ী পানি দিয়ে চিনি দিয়ে একটি শিরা তৈরি করবেন। চিনি শিরা আঠালো হলে চেরিগুলো তার মধ্যে দিয়ে নাড়াচাড়া করবেন।

করমচা গুলো চেরির মতো করতে কিছুটা ফুড কালার মিশাবেন। তারপর একটু নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিবেন। পরপর পর্যায়ক্রমে ২-৩ বার এভাবে চিনির শিরায় নাড়াচাড়া করে নিবেন। এক পর্যায়ে করমচা গুলো একদম চেরির  মত হয়ে যাবে। চেরির মতো দেখতে লাগবে আপনি চাইলে এভাবে করমচা দিয়ে চেরি বানিয়ে খেতে পারেন। এটি দেখতে অনেক সুন্দর ঠিক তেমনি লোভনীয় এবং খেতেও খুব মজা।

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিনা

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিনা অনেক গর্ভবতী মায়েদেরই প্রশ্ন থাকে এটা। আসলে এই সময় খাওয়া-দাওয়া নিয়ে গর্ভবতী মায়েরা অনেকটায় টেনশনে থাকে। কোন খাবার খাওয়া উচিত হবে আর কোন খাবার খাওয়া উচিত হবে না এটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন। সন্তানের জন্য কোন খাবারটা উপকারী হবে এবং কোন খাবারটা ক্ষতিকারক হবে এগুলো নিয়ে ভাবনাই থাকেন। কেননা গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

তবে গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া উপকারী। এটি মুখে স্বাদ আনতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। গর্ভাবস্থায় প্রধান সমস্যা হলো বমি বমি ভাব। লেবু খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাছাড়াও লেবুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফলিক, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬ ,ভিটামিন  সি এবং উচ্চ খনিজ। এই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুনে ভরা লেবু একজন গর্ভবতী মা তার প্রতিদিনের খাবার এর তালিকায় লেবুর রাখতে পারেন।

লেবুর রস শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও লেবুর রয়েছে লিমোনেড যা ক্যান্সারের মতো রোগ  ধ্বংস করতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বাড়াতেও লেবু সাহায্য করে। লেবুতে প্রায় দুই গ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা গর্ভাবস্থায় অনন্ত কার্যকরী ও উপকারী। লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় গর্ভবতী মায়ের, ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে এবং সন্তানের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

তবে শুধু লেবু খেলে হবে না। পরিপূর্ণ পুষ্টি পেতে লেবুর পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের জন্য আরো সুষম খাবার খাওয়া উচিত। বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এতে মা ও শিশু উভয়ই ভালো থাকে। যে কোন খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা নিরাপদ। অতিরিক্ত খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। সঠিক পরিমাণ মেনে খাবার খেলে যে কোন খাবারের পরিপূর্ণ পুষ্ঠি পাওয়া যায়।

 গর্ভাবস্থায় আনার খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় আনার খেলে খেলে কি হয় চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি । গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবারের খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগন। তারমধ্যে আনার অন্যতম। এই আনারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। এই সুপারফুট গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য খুবই উপকারী। এটি গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

শিশুর গঠনের পাশাপাশি ভ্রণের নিউরাল টিউবের বিভিন্ন সমস্যা রোধ করে। গর্ভাবস্থায় আনার খাওয়ার ফলে মায়েদের ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে। গর্ভবতী মায়ের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা সরবরাহের ব্যাপক ভূমিকা রাখে আনার। আনারে খনিজ পদার্থ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী।  আনারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইটোকেমিকেল ও ভিটামিন থাকায় গর্ভবতী মহিলাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আনারে থাকা প্রোটিন ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, আয়রন, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এগুলো থাকায় গর্ভস্থ শিশুর  ফর্সা হতে সাহায্য করে। তাছাড়াও আরো বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে, চলুন দেখে নিন।

  • হজমে সাহায্য করে। আনারে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়।
  • মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করে। আনারে থাকা ফলিক শিশু সুষ্ঠ মস্তিষ্ক বিকাশের সাহায্য করে।
  • রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। আনারে থাকা ভিটামিন সি এবং আয়রন রক্তস্বল্পতা এবং গর্ভাবস্থায় ক্রান্তি ও দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • ক্র্যাম্প প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।আনারে থাকা পটাশিয়াম ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। 

তাছাড়াও আনারের রস গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী। আনার থেকে একটি গর্ভবতী মা তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি খনিজ উপাদানের অভাব পূরণ করতে পারে। ভালো ফলাফল পেতে সকাল বেলায় এই ফলটি খেতে পারেন। আনারে থাকা সাইকাস ও এ্যাসিটিক ফল হিসাবে রাতে না খাওয়াই উত্তম।  তাছড়াও গর্ভবতী মায়েরা এটার জুস করেও খেতে পারেন। বা বিভিন্ন স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।। ইয়োগার্ট বা দইয়ের সাথে খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাবেন না, পরিমাণ মতো খেলে সঠিক পুষ্ঠি গুনটি পাওয়া যায়। 

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় করমচা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আজকের আর্টিকেলের অনেক অবহেলিত পুষ্টিগুণের ভরপুর করমচা সম্পর্কে এতক্ষণ জানালাম।সাথে আরও আলোচনা করেছি করমচার  বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা দিক গুলো। করমচার পুষ্টি গুণ গুলো করমচার রেসিপি করমচা খাওয়ার নিয়ম সহ আরও অনেক টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি। 

 করমচা খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিনা। আনার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। সঠিক পুষ্টিগুন পেতে করমচা খেতে পারেন। সহজলভ্য এই ফল, আপনি চাইলে সহজেই খেতে পারবেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ফল। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url