মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবারের প্রতি সচেতন হওয়া উচিত। তাই আপনারা যারা ইতিমধ্যে মিল্ক শেক খাবেন ভাবছেন তাদের জন্য মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম

মিল্ক-শেক-এর-উপকারিতা-ও-অপকারীতা

বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারীতা এবং মিল্ক শেক খেলে ওজন বাড়ে কিনা সহ এর সাইড ইফেক্ট ও নানান পুষ্টি কথা সহ আরও যাবতীয় তথ্য নিয়ে সাজিয়েছি আজকের এই আর্টিকেলটি। চলুন মিল্ক শেক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নিন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা 

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা 

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা মিল্ক শেক  পুষ্টি কর হলেও এর উপকারিতা পাশাপাশি অপকারিতাও আছে। অতিরিক্ত মিল্ক শেক খাওয়ার ফলে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বাহিরের তৈরি মিল্ক শেক খাওয়া  স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই ঘরে তৈরি মিল্ক শেক খাওয়ার চেষ্টা করুন। সঠিক নিয়ম মেনে খেলে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা গুলো পাওয়া সম্ভব।

মূলত মিল্ক শেক ছোট থেকে বড়ো পর্যন্ত আমরা কম বেশি সবাই খেতে পছন্দ করি। মিল্ক শেক শরীরে দূবলতা দূর করতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের জন্য এটি ভালো যদি ঘরে তৈরি করে দিতে পারেন। স্কুল কলেজে এ পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য এটি অনেক উপকারী। এটি বাচ্চাদের মেধা বিকাশে সাহায্য করে। পুষ্টির ঘাটতি পূরন করে। বাচ্চাদের এনার্জি বাড়ায়তে সাহায্য করে এই মিল্ক শেক এবং দূবলতা দূর করে।  

মিল্ক শেক কি

মিল্ক শেক হলো পানীয় বা তরল একটি প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট । যেটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত বা দুগ্ধ উপকরণ দ্বারা তৈরি করা হয়। মিল্ক শেক বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে খেতে হয়। এটির স্বাদ মিষ্টি পানীয়  এবং নানান পুষ্টি গুনে ভরপুর যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মিল্ক শেক বর্তমানে শারীরিক গঠন উন্নত করার জন্য জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক।

মিল্ক শেক খেতে এখন প্রায় সবাই পছন্দ করে। বাসায় নিজের মতো করে বানিয়ে খেলে এই পুষ্টি উপাদান গুলো  সঠিক পাওয়া যায়। বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের পছন্দের সাপ্লিমেন্ট হয়ে উঠেছে এই মিল্ক শেক। মিল্ক শেক গরমের দিনে ক্রান্তি দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাছাড়া রমাদান মাসের জন্য অনেকেরই বন্ধু হয়ে উঠে এই মিল্ক শেক।

রোজার দিনে ফ্রুটসের তৈরি এই মিল্ক শেক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীর কে সতেজ ও এনার্জি বাড়ায়। সারাদিন এর ক্রন্তি দূর করে এই মিল্ক শেক। যা আমদের শরীর কে সতেজ রাখে সাথে শারীরিক গঠন কে মজবুত করে তাহলে বুজছেন মিল্ক শেক কি। এবার চলুন এর পুষ্টি উপাদান গুলো সম্পর্কে একটু জানি।

আরো পড়ুনঃ বিটরুটের উপকারিতা ও অপকারীতা

মিল্ক শেকের পুষ্টি উপাদান গুলো 

ড্রাই ফ্রুটস ও দুধের তৈরি এই প্রোটিন মিল্ক শেকটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।  নানান পুষ্টি গুনে ভরপুর এই মিল্ক শেক খেতে যেমন মজাদার ঠিক তেমনি তার পুষ্টি উপাদান। পুষ্টি গুনে ভরপুর এই মিল্ক শেক  আমাদের বিভিন্ন ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। তাছাড়া অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। চলুন এবার পুষ্টি উপাদান গুলো দেখি।

মিল্ক শেকের প্রতি ১০০ গ্রাম পুষ্টি উপাদান গুলো হলোঃ

কোলেস্টেরল -১২ মিলিগ্রাম 

সোডিয়াম -৯৫ মিলিগ্রাম 

পটাসিয়াম -১৮৩ মিলিগ্রাম 

শর্করা -১৮ গ্রাম

ক্যালোরি- ১১১.৯ গ্রাম

প্রোটিন -৩.৯ গ্রাম

ফ্যাট -১.৯ গ্রাম

সুগার -১৮ গ্রাম

ম্যাগনেসিয়াম- ৩%

ক্যালসিয়াম -১৪%

ভিটামিন ডি -১২%

যেহেতু এটি বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বানিয়ে আমরা খায় সেহেতু এর পুষ্টি মান ও গুনাগুনের পরিমাণটাও বৃদ্ধি পায়।তবে পুষ্টি মানটা নির্ভর করে আপনি মিল্ক শেক বানাতে কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করছেন তার উপর। যে যার পছন্দ অনুযায়ী উপকরণ দিয়ে মিল্ক শেক তৈরি করে খেতে পারেন। তবে এমন কোন উপকরণ নিবেন না 

যেটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। যেমন অনেক ডায়াবেটিস রোগী আছে যাদের জন্য খুব বাছাই করে উপকরণ নেওয়া লাগে। তাছাড়াও বাচ্চার শারীরিক গঠন অনুযায়ী উপকরণ নেওয়া লাগে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগেন যারা তাদের জন্য আলাদা উপকরণ। 

মিল্ক শেক খেলে কি হয় 

মিল্ক শেক এর পুষ্টি উপাদান গুলো দেখলেন এবং মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা গুলো সম্পর্কে ধারনা নিলেন।এবার চলুন এটি কেন খাবেন বা খেলে কি হয় জেনে নিন কোন কিছু খাওয়ার আগে সেই উপকরণটি বা পণ্যটির সম্পর্কে আমাদের একটু ধারণা থাকা উচিত। কেননা আপনি যেইটা খাবেন সেইটা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী সেই টা জেনে তারপর খাওয়া উত্তম। 

স্বাস্থ্যের সুরক্ষার আমাদের সবাই কে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া উচিত। বর্তমান সময়ে আসল নকল বা ভেজাল পণ্য দিয়ে ভরা। তাই খাবার এর প্রতি সচেতন হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প পথ নাই। শরীর কে সুস্থ রাখতে অবশ্যই দেখে শুনে সঠিক টা গ্রহন করবেন। আমদের শরীর কে সতেজ রাখে সাথে শারীরিক গঠন কে মজবুত করে মিল্ক শেক খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। 

মিল্ক-শেক-এর-উপকারিতা-ও-অপকারীতা

এখন এই মিল্ক শেকটি  বিভিন্ন পুষ্টি কর উপকরণ দিয়ে তৈরি করে আমরা খেয়ে থাকি যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি অনেক ভিটামিনের ঘাটতিও পূরণ করে থাকে। তাছাড়াও মিল্ক শেক এ থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। শারীরিক গঠন কে মজবুত করে।  মিল্ক শেকে প্রায় ৫৯ ধরনের উপকরণ রয়েছে। যা আপনার শরীরের দূর্বলতা কাটিয়ে সুস্বাস্থ্যেতা বৃদ্ধি করে। 

এছাড়াও শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে তুলতে ব্যপক সাহায্য করে। আবার যাদের স্বাস্থ্য খারাপ বা চিকন ও দূর্বল তারা এটি অন্য যেকোনো সুষম খাবারের পাশাপাশি নিয়ম করে খেলে ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে এনার্জিটাও বাড়ে। তাছাড়াও মিল্ক শেকে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গের জন্য কার্যকারি ভূমিকা রাখে। তাহলে বুজছেন মিল্ক শেক খেলে কি হয়। এখন চলুন খাওয়ার নিয়ম গুলো জানি। 

মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম 

প্রতিটি খাবার থেকেই যদি সঠিক পুষ্টি গুন পেতে চান।তবে আপনাকে অবশ্যই সঠিক সময় ও সঠিক নিয়ম করে খেতে হবে। এটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ  সঠিক নিয়ম বা পরিমাণ অনুযায়ী না খেলে বিপরীত কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মিল্ক শেক খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে চলুন মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিই। মিল্ক শেক মূলত আমরা বিভিন্ন ভাবে খেতে পছন্দ করি যেমন

শুধু দুধ দিয়েঃ ১ গ্লাস হালকা গরম দুধ নিয়ে তারমধ্যে ১-২ টা চামচ মিল্ক শেক নিয়ে তৈরি করে খাওয়া যায়। এটি রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে খাওয়া উত্তম। 

খেজুরের মিল্ক শেকঃ খেজুর সবার বাসাতেই কম বেশি থাকে বা সব সময় পাওয়া যায়।এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। দানা ফেলে খেজুর নিন ৪ কাপ,ফ্রেশ দুধ নিন ৭২০ মিলিগ্রাম, আইস কিউপ নিন ১ কাপ ও পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে মিশিয়ে বা ব্লেন্ড করে সহজেই খেজুরের পুষ্টিকর মিল্ক শেক তৈরি করে খেতে পারেন। 

চকলেট মিল্ক শেকঃ এটি মূলত বাচ্চারা খুব পছন্দ করে এবং তাদের জন্য এটি  উপকারী  অনেক। এটি বানাতে দুধ নিন ২ কাপ পরিমাণে, ভ্যানিলা ফ্লেভার ৩ চামচ, কলা ১টি,ক্যারামেল আইসক্রিম এবং যেকোনো লিকুইড চকলেট ২ চা চামচ। এখন সব গুলো উপকরণ হালকা পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে তৈরি করুন মজাদার চকলেট মিল্ক শেক। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 

স্ট্রবেরি মিল্ক শেকঃ খুব সহজেই এখন বাজারে স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। তাই আপনিও স্ট্রবেরি দিয়ে পুষ্টিকর মিল্ক শেক খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন।এখন এই মিল্ক শেক তৈরির  জন্য, দুধ নিন ৩ কাপ, ভ্যানিলা ফ্লেভারের ১ কাপ আইসক্রিম নিন, স্ট্রবেরি কিউপ ২ কাপ, স্ট্রবেরি ফ্লেভার ১ টেবিল চামচ নিয়ে সব গুলো উপকরণ ভালো করে ব্লেন্ড করে পরিবেশন করুন স্বাদে ভরা দেখতে সুন্দর স্ট্রবেরি মিল্ক শেক। এটি আপনি সকালে পান করতে পারেন। 

কাজু পেস্তার মিল্ক শেকঃ এটিও পুষ্টি গুনে ভরপুর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কাজু ও পেস্তা বাদাম খোসা ছারিয়ে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখবেন কিছুক্ষন। ৩ টুকরো আইস কিউব, চিনি পরিমাণ মতো, ১ কাপ ঠান্ডা দুধ মিশিয়ে বানিয়ে খেতে পারেন স্বাস্থ্যকর মিল্ক শেক। স্বাস্থ্যের জন্য পরিমাণ ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

কাট বাদাম মিল্ক শেকঃ দুধে ভেজানো কাঠ বাদাম,৩টুকরো আইস কিউব, ১কাপ দুধ, চিনি ৩ চা চামচ দিয়ে বানিয়ে খেতে পারেন। বাসায় বানানো মিল্ক শেক ছোট বড় সবাই খেতে পারবে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। জিম করার পর বা রাতে এটি খেতে পারেন। 

কলার মিল্ক শেকঃ এটি খেতে যেমন মজাদার ঠিক তেমনি তার পুষ্টি গুন। এটি তৈরি করার জন্য ১টি কলা, ৩ টুকরো আইস কিউপ, ঠান্ডা ১ কাপ দুধ এবং ৩ চা চামচ চিনি, চিনি টা আপনি আপনার পরিমাণ মতো দিবেন। এবার সব গুলো ব্লেড করে পরিবেশন করুন।এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 

উপরের প্রতিটি আইটেমের  মিল্ক শেক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এবং খেতেও ভারি মজা আপনি চাইলে আপনার পছন্দ মতো সাজিয়েও পরিবেশ করতে পারেন। আপনি আপনার পছন্দ মতো নিদিষ্ট পরিমাণ ও নিয়ম করে মিল্ক শেক গুলো খেতে পারেন। এট শরীর 

মিল্ক শেকের উপকারিতা 

ইতিমধ্যে মিল্ক শেকের পুষ্টি গুন সহ আরও অনেক কিছু আলোচনা করছি। মানসম্পন্ন দুধ দিয়ে তৈরি এক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান হলো এই মিল্ক শেক। ড্রাই ফ্রুটস ও দুধের তৈরি প্রোটিন মিল্ক শেক সব বয়সের যে কেউ এটি খেতে পারবে। বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে বানানো হয় পুষ্টিকর মিল্ক শেক যেমনঃ কাজুবাদাম, কিসমিস, ভাজা ছোলা, পেস্তা বাদাম, খেজুর, চিনি, কলা, গরুর দুধ ও বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি।

 চলুন এখন এই পুষ্টিকর মিল্ক শেকের উপকারিতা গুলো জেনে নিন।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ ফ্রুটস মিল্ক শেক এ থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের মস্তিষ্ককে বিভিন্ন ফ্রি রেডিক্যাল এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। 

কার্বোহাইড্রেটের অভাব দূর করেঃ মিল্ক শেক তৈরি করতে আমরা যে পরিমান মতো চিনি ব্যবহার করি। তা আমাদের কার্বোহাইড্রেটের অভাব দূর করতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।চিনি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হলেও পরিমিত চিনি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ফ্রুটস দিয়ে তৈরি মিল্ক শেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ একটি পুষ্টিকর মিল্ক শেক হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ফ্রুট মিস্ক মিল্ক এ ধরণের মিল্ক শেক কম ফ্যাটযুক্ত হওয়ার এটি হার্টের জন্য ভালো এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে অনেক। 

যৌন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যেমন খেজুর, কলা,দুধ,বাদাম, কিসমিস ইত্যাদি  এগুলোতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ছেলে মেয়ে উভয়েরই যৌন শক্তি বাড়ায়। আর এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। 

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ফ্রুটস মিল্ক শেক এ উচ্চ ফাইবার থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এবং এই ক্ষেত্রে কম ক্যালোরি যুক্ত উপাদানও আপনার ওজন কমাতে ভালো কাজ করে। 

সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারীঃ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান ও প্রোটিন যুক্ত দুধ দিয়ে মিল্ক শেক তৈরি করা হয়, যা আমাদের দেহেরে সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ঘরে তৈরি এই মিল্ক শেকের পুষ্টি  বিভিন্ন রোগ থেকেও আমাদের রক্ষা করে। 

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করেঃ মিল্ক শেক এ থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। সেই সাথে  ক্যান্সার সহ আরও অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। 

হাড় মজবুত করতে সাহায্য করেঃ মিল্ক শেক এ থাকা প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম শরীরের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে এবং বুদ্ধি বিকাশ ঘটায় ও শরীরে শক্তি বাড়ায়। 

পুষ্টি  উপাদানের ভালো উৎসঃ মিল্ক শেক এ থাকা উচ্চ পটাশিয়াম  শরীরে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং এতে থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্র কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন  B৬ শরীরের নতুন রক্ত কনিকা তৈরি করে এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। 

দাঁত ও মাড়ি ঠিক রাখেঃ মিল্ক শেক এ থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহ ভিটামিন সি, দাঁত ও দাঁতে গোড়া মজবুত রাখতে সাহায্য করে। 

পেশি গঠনে ভূমিকাঃ মিল্ক শেক এ থাকা উপকরণ গুলো পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং শরীর কে ভালো রাখে। 

ক্যালসিয়াম এর ঘাটতিঃ মিল্ক শেক থেকে আমাদের ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরন করতে পারি।ভরপুর পুষ্টি উপাদান গুলো থেকে ক্যালসিয়াম পায়।

মিল্ক শেক এর অপকারিতা 

সব কিছুর ভালো দিক এর সাথে সাথে খারাপ কিছু দিকও থাকে। বাহিরের তৈরি মিল্ক শেক আমাদের স্বাস্থ্যর ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়াও শারীরিক গঠন অনুযায়ী মিল্ক শেক এর কিছু উপাদান ক্ষতি করে। তাই ঘরে তৈরি মিল্ক শেক খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও  মিল্ক শেকেরও কিছু খারাপ দিক রয়েছে। যেগুলো অনেকেরই সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত আমাদের সবাই শারীরিক গঠন এক না 

সেহেতু বিভিন্ন উপাদান বিভিন্ন জনের জন্য খারাপ ইফেক্ট ফেলতে পারে। তাই একটু সচেতন হয়ে সেসব করবেন। বিভিন্ন সমস্যার গুলো হলোঃ

এর্লাজির সমস্যাঃ মিল্ক শেক এ থাকা অনেক উপকরণ এর মাধ্যমে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। মিল্ক শেক এ থাকা ল্যাকটোজ বা দুগ্ধজাতে এর্লাজি হতে পারে। 

ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধিঃ অনেক সময়  মিল্ক শেক এ থাকা চিনি ডায়াবেটিস এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। মিল্ক শেক চিনি ও সুক্রোজের মতো বিভিন্ন  মিষ্টি উপাদানে তৈরি হয়।যার জন্য চিনির মাত্রা বেশি থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে ডায়াবেটিস, ওজন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হয়।

হজমের সমস্যাঃ মিল্ক শেক এর উপদান গুলো পরিমাণ ঠিক না থাকলে অনেক সময় হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এতে গ্যাস, ডায়রিয়া,  পেট ফোলা, বমি বমি ভাব সহ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। 

শরীরে চর্বিঃ মিল্ক শেক  তৈরি উপকরন থেকে ক্যালোরি ও চর্বি পাওয়া যায় এবং মিল্ক শেক এ যোগ করা থাকে শর্করা ও সিরাপ যা আমাদের শরীরের চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। 

ওজন বৃদ্ধি করেঃ মিল্ক শেক ওজন কমানোর পাশাপাশি ওজন বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। মিল্ক শেক এ থাকা শর্করা ও সিরাপ এবং উচ্চ ক্যালোরি ও ফ্যাট ওজন বৃদ্ধি করে।

মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা গুলো সম্পর্কে জানলেন আশা করি উপকূত হয়েছেন। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো,  মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে? অনেকেরই মনের কথা এটি, আপনার কি মনে হয় সত্যি ওজন বাড়ে, ওজন মূলত উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার থেকে বাড়ে বা বাড়তে সাহায্য করে। তাছাড়া শারীরিক গঠন অনুযায়ী কাজ করে। তাহলে ওকে চলুন মিল্ক শেক খেলে ওজন বাড়ে কিনা জেনে নিন ।

মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে

মিল্ক শেক বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। যার জন্য নিয়মিত অন্য সুষম খাবারের পাশাপাশি এটি খেলে ওজন বৃদ্ধি হয়। মিল্ক শেক আমরা মূলত বিভিন্ন আইসক্রিম ও দুধ দিয়ে বানিয়ে থাকি যা চর্বিযুক্ত ও ক্যালোরি যুক্ত। যা আপনার ওজন বাড়তি হতে সাহায্য করে। আবার মিল্ক শেক এ থাকা শর্করা ও সিরাপ এগুলোও  আপনার ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। 

তাছাড়াও ওজন বাড়াতে আপনি আপনার পছন্দ মতো যে কোনো উপকরণ দিয়ে তৈরি করে খেতে পারেন মিল্ক শেক । আবার মিল্ক শেক তৈরি করতে আমরা যে উপকরণ গুলো ব্যবহার করি যেমন বাদাম, দুধ, খেজুর,ও বিভিন্ন ফ্রুটস ইত্যাদি এগুলো পরিমাণে বেশি দিয়ে তৈরি করলেও তা আমাদ শারীরিক গঠন তৈরি করতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃগাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

এছাড়া ওজন বৃদ্ধি করতে নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্য অভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক জীবন যাপন এর মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে পারেন। তাই যারা ওজন বাড়াতে চান না তারা পরিমাণ টা ঠিক রাখবেন।  তাছাড়া  শুধু মিল্ক শেক খেয়ে আপনার ওজন বৃদ্ধি হবে না। মনে রাখবেন আপনার ওজন বাড়াটা নির্ভর করে, আপনি কি পরিমাণ ক্যালরি গ্রহন করছেন তার উপর।

মিল্ক-শেক-এর-উপকারিতা-ও-অপকারীতা

এবং আপনার শারীরিক কার্যকলাপের উপর। অথাৎ আপনার ওজন বাড়ানো বা কমানো পুরোটায় কিন্তু নির্ভর করে ক্যালোরি ভারসাম্যে উপর। তাছাড়াও শুধু কোন খাবার বা পানীয় থেকে আপনি ওজন বাড়াতে পারবেন না। দৈনিক জীবন যাপন এর মান উন্নয়ন এবং সঠিক খাদ্য গ্রহনে মাধ্যমে আপনার শারীরিক পরিবর্তন হতে পারে। শুধু ওজন বৃদ্ধি করতে না এই নিয়ম গুলো আপনাকে সুস্থ ও ফিট রাখতেও সাহায্য করবে।

ভিতর থেকে দূবলতা দূর করে এনার্জি লেবেল তৈরি করতে সাহায্য করে। তবে এটার জন্য অবশ্যই সুষম খাদ্য, নিয়মিত শরীর চর্চা ও বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপ এর প্রয়োজন। এগুলোর মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্যকর ওজন ঠিক রাখতে পারবেন। এছাড়াও ত্বক সুন্দর ও সতেজ করতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে এই খাদ্য অভ্যাস গুলো। তাহলে বুজছেন মিল্ক শেক খেলে ওজন বাড়ে কিনা। এখন চলুন মিল্ক শেক এর কোন সাইড ইফেক্ট আছে কি না জেনে নিন। 

মিল্ক শেক এর সাইড ইফেক্ট

মিল্ক শেক একটি পানীয় বা তরল প্রোটিন খাদ্য। মিল্ক শেক এ থাকা ভিটামিন বি, আমাদের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং আমাদের শরীর কে সতেজ রাখে। সেই সাথে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। মিল্ক শেক থেকে পাওয়া ভিটামিন ই, বিটাক্যারোটিন এবং সেলেনিয়াম আমাদের হার্টের সমস্যা গুলো প্রতিরোধ করে। যা আপনাকে শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। 

তবে মিল্ক শেক রয়েছে কিন্তু উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার। আবার মিল্ক শেক এ থাকা কিছু উপাদান  আমাদের এলার্জির সমস্যা তৈরি করে। ১ কাপ মিল্ক শেকে কমপক্ষে ৩৫০-৫০০ ক্যালরি থাকে। মিল্ক শেক এ মূলত তেমন সাইড ইফেক্ট নাই। তবে অতিরিক্ত মিল্ক শেক গ্রহনের ফলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। যেহেতু সবার শারীরিক সুস্থতা এক না সেহেতু অনেকেরই অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই একটু সচেতন হয়ে গ্রহন করবেন। 

মিল্ক শেক এ থাকা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। যেমন-জ্বর,পেট ব্যাথা, মানসিক উদ্বিগ্নতা, পাচনতন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি। সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ বজায় রেখে খেলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সেই সাথে অতিরিক্ত গ্রহনের ফলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। যেকোনো খাবার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ মতো না খেয়ে আমাদের সমস্যা হয়।

আসল মিল্ক শেক চেনার উপায় 

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন প্রোডাক্টের আসল নকল এর ছড়াছড়ি। কোনটা আসল আর কোন টা নকল  এই নিয়ে খুব চিন্তায় পরে যায় আমরা। তাই আসল মিল্ক শেক সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিত। এতে আসল মিল্ক শেক চিনতে সাহায্য করবে এবং ঠকে যাওয়া থেকে বেচে যাবেন। তাছাড়াও পরিচিত কোন দোকান থেকে নিতে পারেন এতে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাবে চলুন এই বিষয়ে কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

  • প্রথমেই পিএইচডি দ্বারা অনুমোদিত লিখাটার কালার ভালো করে দেখে নিবেন। আর আগে যদি কিনে থাকেন, তো কালার টার পার্থ্যক অবশ্যই বুঝবেন। 
  • অর্থেনটিক কোর্ড আছে কিনা দেখে নিবেন। নকলটায় এই কোড থাকবে না।
  • বার্র কোডের পাশেই অথেন্টিক কোর্ড আছে কিনা দেখে নিবেন। নকল টায় এমন থাকবে না।
  • আসল প্রোডাক্টির মূল্য MRP করে দেওয়া আছে কিনা দেখে নিবেন। নকল টায় MRP করা থাকবে না।
  • প্যাকেজের বডারটি থাকবে চিকন, এাটাও দেখে নিবেন। 
  • লোগোটা, BST অনুমোদিত লিখার পাশে থাকবে এটি দেখে নিবেন।
  • অথেন্টিক কোডের ৬ ডিজিট নাম্বার টি দেখে নিবেন। এমন আরও অনেক কিছুই আছে যেগুলো কিনার আগে দেখে শুনে নিবেন। পরিচিত এমন কোন ভালো শপিংমল  থেকে নিতে পারেন। আসল মিল্ক শেক খান সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

মিল্ক শেক এর দাম

সময় সাপেক্ষ অনুযায়ী মিল্ক শেক এর দাম কম বেশি হয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে পাওয়া যায় যেমন বিভিন্ন পেজ এ বিভিন্ন শপিংমলে। তাছাড়াও পাইকারি মুল্য এক রকম হয়।খুচরা মূল্য আরেক রকম হয়। তবে আসল মিল্ক শেক এর দাম একটু বেশিই হয়। নকল টা কম দামে পাওয়া যায়। বর্তমানে বিভিন্ন ফেসবুক পেজে মিল্ক শেক বিক্রি হয় বিভিন্ন দামে।

আসলটা ৩৮০ -১২০০ পযন্ত বিভিন্ন প্যাকেজ পাওয়া যায়। আপনারা কিনার আগে অবশ্যই  দেখে শুনে নিবেন। যেকোনো প্রোডাক্ট এর মূল্য কম, বেশি হয়।কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে।তাই আপনি যে সময় কিনবেন সেই সময়ের দাম অনুযায়ী একটু যাচাই করে নিবেন। তাহলে সঠিক মিল্ক শেক টি পাবেন। মিল্ক শেক খাওয়ার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাথে বিভিন্ন ফেভার এর মিল্ক শেক ও তৈরি হচ্ছে। 

শেষ কথাঃ মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারীতা 

আজকের আর্টিকেল এ মিল্ক শেকের উপকারিতা ও অপকারীতা সহ স্বাস্থ্য উপকারী বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনার ভালো লেগেছে ও উপকূত হয়েছেন।  এখন সঠিক সাপ্লিমেন্ট বাছাই করুন ও গ্রহন করুন। শারীরিক সুস্থ্যতা বজায় রাখতে ও নিজেকে ফিট রাখতে সঠিক খাদ্য গ্রহন গুরুত্বপূর্ণ। সুস্বাস্থ্যেই সকল সুখের মুল তাই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এমন সাপ্লিমেন্ট বাছাই করুন। 

তাবে খাবারের প্রতি সচেতন হবেন। সঠিক পরিমাণ ও নিয়মের সাথে খাবার খান ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।দৈনিক খাদ্য অভ্যাস এর সঠিক নিয়ম মেনে চলুন ও নিজেকে ভালো রাখুন। একটু সচেতন হয়ে যে কোন খাবার গ্রহন করলে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে।  এছাড়াও  চুল এবং ত্বক সুন্দর  ও সতেজ করে। তাই  নিজের যত্ন নিন সুস্থ থাকুন। আর আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তবে অবশ্যই মতামত জানাতে ভুলবেন না।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লানিং টিপস ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url